ঢাকা: বাংলাদেশের টেস্ট অধিনায়ক মুশফিকুর রহিমের এমন একটি কীর্তি হয়তো অনেকেরই জানা নেই। যেখানেই তিনিই সবার শীর্ষে।
এমনই এক তথ্য উঠে এসেছে ক্রিকেটের সবচেয়ে জনপ্রিয় অনলাইন নিউজপোর্টাল ইএসপিএন ক্রিকইনফোতে। যেখানে সংবাদ মাধ্যমটির বিশেষজ্ঞ স্টেভেন লিঞ্চের কাছে খালিদ জাফর নামের এক পাকিস্তানি জানতে চান, একই মাঠে ১০০টির বেশি আন্তর্জাতিক ম্যাচ খেলা ক্রিকেটারের নাম কি?
স্টেভেন জানান, ক্রিকেটের তিন ফরম্যাট মিলিয়ে একমাত্র ক্রিকেটার হিসেবে বাংলাদেশের মুশফিকুর রহিম এখন পর্যন্ত মিরপুরের শের-ই-বাংলা ক্রিকেট স্টেডিয়ামে ১০০টির বেশি (১০৫টি) ম্যাচ খেলেছেন। একই মাঠে বিশ্বসেরা অলরাউন্ডার সাকিব আল হাসান খেলেছেন দ্বিতীয় সর্বোচ্চ ৯৭টি ম্যাচ। সেই মাঠে ৯৩টি ম্যাচ খেলে তৃতীয় অবস্থানে আছেন তামিম ইকবাল।
বাংলাদেশিদের বাইরে একই মাঠে সর্বোচ্চ ম্যাচ খেলা ক্রিকেটার হলেন জিম্বাবুয়ের হ্যামিল্টন মাসাকাদজা (৯১ ম্যাচ) ও এলটন চিগুম্বুরা (৮৯)। তারা নিজ দেশের মাঠ হারারে স্পোর্টস ক্লাবে ম্যাচগুলো খেলেছেন।
শের-ই-বাংলায় মুশফিক এখন পর্যন্ত ৭৩টি ওয়ানডে ম্যাচ খেলেছেন। যেখানে সাদা পোশাকের ম্যাচ রয়েছে ১৩টি। আর টি-টোয়েন্টি ম্যাচ ১৯। টি-২০ ম্যাচে আবার এক মাঠে সর্বোচ্চ অবস্থানে রয়েছেন উইকেটরক্ষক-ব্যাটসম্যান মুশফিকই। দুবাইয়ের মাঠে ১৮টি টি-২০ খেলে দ্বিতীয় অবস্থানে আছেন পাকিস্তানের উমর আকমল।
এদিকে কলম্বোর সিংহলিজ স্পোর্টস ক্লাবে সর্বোচ্চ ২৭টি টেস্ট ম্যাচ খেলে সাদা পোশাকে সবার ওপরে রয়েছেন শ্রীলঙ্কান কিংবদন্তি মাহেলা জয়াবর্ধনে। যেখানে একই মাঠে স্বদেশি স্পিন কিংবদন্তি মুত্তিয়া মুরালিধরন ২৪টি ম্যাচ খেলে দ্বিতীয় অবস্থানে আছেন। আর গলে ২৩ ম্যাচ খেলা কুমার সাঙ্গাকারার সঙ্গে যৌথভাবে তৃতীয় অবস্থানে রয়েছেন সেই জয়াবর্ধনে।
৫০ ওভারের ক্রিকেটে এক মাঠে সবচেয়ে বেশি ম্যাচ খেলার রেকর্ড রয়েছে পাকিস্তানের সুইং মাস্টার ওয়াসিম আকরামের। তিনি সংযুক্ত আরব আমিরাতের মাঠ শারজায় সর্বোচ্চ ৭৭টি ম্যাচ খেলেছেন। দ্বিতীয় অবস্থানে ৭৩ ম্যাচ খেলা মুশফিক। আর কলম্বোর প্রেমাদাসা স্টেডিয়ামে ৭১ ম্যাচ খেলে তৃতীয় অবস্থানে আছেন আরেক শ্রীলঙ্কান সনথ জয়সুরিয়া।
বাংলাদেশ সময়: ১৬৩৫ ঘণ্টা, ২০ সেপ্টেম্বর, ২০১৬
এমএমএস