ঢাকা: আফগানিস্তানের বিপক্ষে তিন ম্যাচ সিরিজের তৃতীয় ও শেষ ওয়ানডে ম্যাচে ডাক পাওয়াকে প্রত্যাশিত বললেন বাঁহাতি স্পিনার মোশাররফ হোসেন রুবেল। বিসিবি ঘোষিত প্রথম দুই ওয়ানডে স্কোয়াডে বাদ পড়া রুবেল এই ম্যাচে জায়গা পেয়েছেন পেসার রুবেল হোসেনের জায়গায়।
জাতীয় ক্রিকেট লিগের (এনসিএল) চলতি আসরে ঢাকা বিভাগের হয়ে খেলছেন রুবেল। সেজন্যই অবস্থান করছিলেন বগুড়ায়। বৃহস্পতিবার (২৯ সেপ্টেম্বর) সকালে বিসিবি’র ডাকে সেখান থেকে এসেই সরাসরি যোগ দিলেন অনুশীলনে। সকাল ১১টা থেকে শুরু করে হেড কোচ চন্ডিকা হাথুরুসিংহে ও ফিল্ডিং কোচ রিচার্ড হ্যালসেলের অধীনে ব্যাটিং, বোলিং ও ফিল্ডিংয়ে ঘাম ঝড়ালেন দুপুর ১টা পর্যন্ত।
এরপর গণমাধ্যমের সামনে বললেন আফগানিস্তানের বিপক্ষে সিরিজ নির্ধারণী ম্যাচে নিজের করণীয় সম্পর্কে, যেখানে তাকে বেশ প্রত্যয়ী মনে হলো, ‘ডাকের জন্য অপেক্ষা করছিলাম। যেহেতু দুই ম্যাচের জন্য দল ঘোষণা করা হয়েছিল তাই আশা ছিল তৃতীয় ওয়ানেডতে সুযোগ পাব। তবে দলের অবস্থা খুব একটা ভাল না। শেষ ম্যাচটি হেরে গিয়েছি। দলকে সিরিজ জেতাতে হলে এখন বাড়তি দায়িত্ব নিয়ে খেলতে হবে। আর সেজন্য আমি প্রস্তুত। ’
উল্লেখ করার মতো বিষয় হলো, আফগানিস্তান ও ইংল্যান্ড সিরিজেকে সামনে রেখে ঘোষিত বাংলাদেশের ৩০ জনের প্রাথমিক স্কোয়াডে ছিলেন না মোশাররফ হোসেন রুবেল। তার ভাগ্য ফেরে হাইপারফরমেন্স ইউনিটের সংক্ষিপ্ত ক্যাম্প দিয়ে। যেখানে তাঁর বোলিংয়ে মুগ্ধ হন ৭ দিনের জন্য বাংলাদেশ দলের স্পিন পরামর্শক হয়ে আসা ভারতের সাবেক স্পিনার ভেঙ্কটপতি রাজু।
মূলত, তার সুপারিশেই প্রাথমিক স্কোয়াডে ডাকা হয় মোশাররফকে। তবে ৩০ সদস্যের প্রাথমিক দলে ডাক না পেলেও তিনি ২০ সদস্যের স্কোয়াডে জায়গা করে নেন।
কিন্তু আফগানদের বিপক্ষে সিরিজের প্রথম দুই ওয়ানেডের জন্য ঘোষিত ১৪ সদস্যের স্কোয়াড থেকে বাদ পড়েন। তবে শেষ পর্যন্ত সিরিজের তৃতীয় ওয়ানডেতে তার দলে ঠাঁই মিললো।
এবার পালা সেরা একাদশের যেখানে জায়গা পেলে দীর্ঘ সাড়ে আট বছর পর তার আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে ফেরা হবে। রুবেল সবশেষ ওয়ানডে খেলেছেন ২০০৮ সালে দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে। একই বছর নিষিদ্ধ ঘোষিত আইসিএল এবং ২০১২ সালে বিপিএলে স্পট ফিক্সিংয়ের দায়ে নিষেধাজ্ঞা কাটিয়ে ঘরোয়া ক্রিকেটে ফেরেন ২০১৪ সালের বিসিএল দিয়ে।
বাংলাদেশ সময়: ১৭৪০ ঘণ্টা, ২৯ সেপ্টেম্বর, ২০১৬
এইচএল/এমআরএম