ফতুল্লা থেকে: আইসিসির নিয়ম অনুযায়ী ২০১৭ সালের ৩০ সেপ্টেম্বর প্রকাশিতব্য র্যাঙ্কিংয়ের শীর্ষ আট দল ২০১৯ বিশ্বকাপে সরাসরি অংশ নেবে। বাকি দু’টি দলকে আসতে হবে বাছাইপর্ব খেলে।
তবে বিসিবি সভাপতি নাজমুল হাসান পাপন দিলেন নতুন তথ্য। তার কথায় বাংলাদেশের বিশ্বকাপে সরাসরি খেলা অনেকটাই নিশ্চিত, ‘কোয়ালিফিকেশনের জন্য যে র্যাঙ্কিং, আর নরমালি যে র্যাঙ্কিং আমরা দেখি তার মধ্যে পার্থক্য আছে। আমি আপনাদের আগেই বলেছিলাম আমরা র্যাঙ্কিংয়ের পাঁচে ছিলাম। এখন ছয়ে আছি। কোয়ালিফিকেশনের জন্য যে র্যাঙ্কিং সেখানে আইসিসি ক্যালকুলেট করে দেখেছে যে, আমরা র্যাঙ্কিংয়ের ৬ এ আছি। নিচে যাওয়ার কোনো সুযোগ নেই। ওয়ার্ল্ডকাপের আগে ওই মুহূর্তে (২০১৭ সালের ৩০ সেপ্টেম্বর) কোয়ালিফাইং করার কোনো সুযোগ নেই। ’
ফতুল্লার খান সাহেব ওসমান আলী স্টেডিয়ামে ইংল্যান্ড ও বিসিবি একাদশের মধ্যকার প্রস্তুতি ম্যাচ দেখতে এসে সংবাদমাধ্যমকে পাপন আরও জানান, অস্বাভাবিক কিছু না হলে সরাসরি বিশ্বকাপ খেলবে বাংলাদেশ।
‘অস্বাভাবিক’ বলতে পাপন আসলে বুঝাতে চেয়েছেন ২০১৭ সালের ৩০ সেপ্টেম্বরের আগে বাংলাদেশ যত ম্যাচ খেলবে সেসব ম্যাচে হারের কথাটিকে। ‘ধরে নিচ্ছি আমরা যদি সবগুলা সিরিজ হেরে যাই, সবগুলা ম্যাচ হেরে যাই, খালি সিরিজ হার না, সবগুলা ম্যাচও যদি হেরে যাই, তারপর যদি এখানে আয়ারল্যান্ডের সঙ্গেও হারি এটাতো অস্বাভাবিক ব্যাপার। ’
‘আমাকে যদি জিজ্ঞেস করেন আমি তো বলবো, আমরা ইংল্যান্ডের সঙ্গে জিতব, আমরা শ্রীলঙ্কার সঙ্গে, নিউজিল্যান্ডে গিয়ে যখন খেলবো সবচেয়ে বৈরি পরিবেশে ওখানেও তো অন্তত একটা ম্যাচ আমরা জিতবো। তাহলেই তো আমরা পয়েন্ট পাবো। তাই আমি যেটা বলতে চাচ্ছি, এগুলো যদি নাও হয় আয়ারল্যান্ডের কাছেও হারি, এখানেও হারি তাহলে তো হতেই পারে। কিন্তু এটাতো কেউ চিন্তা করে না বাংলাদেশ হারবে। আমি মনে করি এটা চিন্তা করাটাই উচিত হবে না। ’-যোগ করেন পাপন।
ইংল্যান্ড সিরিজের পর ডিসেম্বরে বাংলাদেশ যাবে নিউজিল্যান্ড সফরে। এরপর আগামী বছরের ৩০ সেপ্টেম্বরের আগে দ্বিপক্ষীয় সিরিজ খেলার কথা শ্রীলঙ্কা ও পাকিস্তানের সঙ্গে। মে মাসে আয়ারল্যান্ডে নিউজিল্যান্ড ও আয়ারল্যান্ডের সঙ্গে তিন জাতি সিরিজ। জুনে ইংল্যান্ডে চ্যাম্পিয়নস ট্রফি।
বাংলাদেশের পেছনে থাকা দলগুলো বর্তমান এফটিপির বাইরে নতুন কোনো সিরিজ খেলে, আর বাংলাদশে যদি হারতে থাকে তাহলে কঠিন হয়ে যাবে সরাসরি বিশ্বকাপে খেলা।
এ ব্যাপারে বিসিবি সভাপতি বলেন, ধরেন আমরা যদি খুব খারাপ খেলতে থাকি, সব ম্যাচ হারতে থাকি তাহলে আমরা একটা রিস্কের মধ্যে পড়বো ডেফিনেটলি। কিন্তু আমার দৃঢ় বিশ্বাস এরকম কোনও কিছু হবে না এবং আমরা আরও উপরে উঠব।
ইভেন্ট কোয়ালিফিকেশন র্যাঙ্কিং হয় সর্বশেষ দুই বছরের ফলাফলের ওপর। সে হিসেবে ২০১৭ সালের ৩০ সেপ্টেম্বরের মধ্যে ইভেন্ট কোয়ালিফিকেশন র্যাঙ্কিং প্রকাশ করা হবে। সেখানে হিসাব হবে ২০১৫ ও ২০১৬ সালের পারফরম্যান্স। ২০১৪ সালটি বাদ পড়ে যাবে। ওই বছরটিতেই সবচেয়ে খারাপ পারফরম্যান্স করেছিল বাংলাদেশ। ওই বছরটি বাদ পড়লে র্যাঙ্কিংয়ে ভালো অবস্থানেই থাকার কথা বাংলাদেশের। তবে আয়ারল্যান্ডের বিপক্ষে হেরে গেলে পয়েন্ট হারাবে বাংলাদেশ। কারণ র্যাঙ্কিংয়ের নিচের সারির দলের কাছে হারলে পয়েন্ট তুলনামূলক অনেক বেশি কমে। আফগানিস্তানের সঙ্গে তিন ম্যাচ ওয়ানডের এক ম্যাচ হারের ফলে ৩ পয়েন্ট কাটা পড়েছিল বাংলাদেশের।
দলগুলোর সর্বশেষ অবস্থা বোঝার জন্য এ র্যাঙ্কিং শুধু আইসিসির সদস্য বোর্ডগুলোকেই জানানো হয়। আইসিসির এ গোপন তথ্যই সংবাদমাধ্যমের কাছে ফাঁস করলেন বিসিবি সভাপতি।
বাংলাদেশ সময়: ১৮১৫ ঘণ্টা, অক্টোবর ০৪, ২০১৬
এসকে/এসএইচ