ঢাকা: ক্রিকেটের সর্বোচ্চ নিয়ন্ত্রক সংস্থা আইসিসির সবশেষ প্রকাশিত ওয়ানডে র্যাংকিংয়ে বোলারদের ক্যাটাগরিতে নয় নম্বরে উঠে এসেছেন টাইগারদের দলপতি মাশরাফি বিন মর্তুজা। মাশরাফির উপরে রয়েছেন বিশ্বসেরা অলরাউন্ডার সাকিব আল হাসান।
ম্যাশ নয় নম্বরে থাকলেও টাইগারদের সেরা অলরাউন্ডার সাকিব রয়েছেন ছয় নম্বরে। ক্যারিয়ার সেরা নবম স্থানে উঠে আসতে শেষ দুটি সিরিজ মিলিয়ে ১২ উইকেট নিয়েছেন বাংলাদেশের অধিনায়ক।
ইংল্যান্ডের বিপক্ষে টাইগারদের শেষ হওয়া তিন ম্যাচ ওয়ানডে সিরিজের পর আইসিসি তাদের ওয়ানডে র্যাংকিং প্রকাশ করে। ইংলিশদের বিপক্ষে দ্বিতীয় ম্যাচে ব্যাট হাতে ঝড় তোলেন মাশরাফি, বল হাতে দুর্দান্ত স্পেলে ইংলিশ টপ অর্ডার ভেঙে দেন তিনি। অসাধারণ অলরাউন্ড নৈপুণ্যে ম্যাচসেরার পুরস্কারও তার হাতে উঠে।
সিরিজের প্রথম ম্যাচে মাশরাফি নিয়েছেন দুটি উইকেট আর শেষ ম্যাচে নিয়েছেন আরও দুটি উইকেট। এর আগে আফগানিস্তানের বিপক্ষে প্রথম ম্যাচে দুটি উইকেট দখল করলেও মাশরাফি পরের দুটি ম্যাচে নিয়েছিলেন একটি করে উইকেট।
সবশেষ প্রকাশিত র্যাংকিংয়ে সাকিবের অর্জন ৬৬০ রেটিং পয়েন্ট। বাঁহাতি এই স্পিনার পিছিয়েছেন দুই ধাপ। তবে ওয়ানডেতে অলরাউন্ডারদের শীর্ষস্থান ধরে রেখেছেন তিনি। আর মাশরাফির অর্জন ৬২৩ রেটিং পয়েন্ট। ছয় ধাপ এগিয়েছেন ম্যাশ। সর্বোচ্চ ৭৩১ রেটিং পয়েন্ট নিয়ে শীর্ষে আছেন নিউজিল্যান্ডের ট্রেন্ট বোল্ট।
বর্তমানে বাংলাদেশের হয়ে সবচেয়ে বেশি ম্যাচ সেরার তালিকায় বাংলাদেশ অধিনায়ক এখন এককভাবে দুইয়ে। আফগানিস্তানের বিপক্ষে শেষ ওয়ানডেতে ম্যাচ সেরা হয়ে তামিম ইকবাল স্পর্শ করেছিলেন মাশরাফিকে। দুজনই ম্যান অব দ্য ম্যাচ হয়েছেন ১০ বার করে। ইংল্যান্ডের বিপক্ষে দ্বিতীয় ওয়ানডেতে টাইগার দলপতি ছাড়িয়ে যান তামিমকে। তবে, বাংলাদেশের সবচেয়ে বেশি ১৫ বার ম্যান অব দ্য ম্যাচ হয়েছেন সাকিব আল হাসান।
মূলত দ্বিতীয় ওয়ানডেতেই দুর্দান্ত পারফর্ম করে র্যাংকিংয়ে নয় নম্বরে এসেছেন মাশরাফি। নয় নম্বরে ব্যাটিংয়ে নেমে ২৯ বলে ৪৪ রান করার পর বল হাতে নিয়েছেন ২৯ রানে ৪ উইকেট। ২০০৮ সালের পর বল হাতে আবার ওয়ানডেতে ৪ উইকেট পান মাশরাফি।
বাংলাদেশ সময়: ১৬৪০ ঘণ্টা, ১৩ অক্টোবর ২০১৬
এমআরপি