শ্রীলঙ্কান ইংরেজি পত্রিকা দ্য আইল্যান্ড তাদের ওয়েবসাইটে এই পরাজয়কে 'লঙ্কান ক্রিকেটের মৃত্যু' বলে অভিহিত করেছে।
কলম্বোর পি সারা ওভালে ১৯১ রানের লক্ষ্যটা ছয় উইকেট হারিয়ে টপকে যেতেই বাঁধভাঙা উল্লাসে মাতে টিম বাংলাদেশ।
দ্য আইল্যান্ড মৃত্যুফলক বানিয়ে তাতে লিখেছে: ‘আন্তরিকতার সঙ্গে স্মরণ করছি শ্রীলঙ্কান ক্রিকেটকে। মৃত্যু: ১৯ মার্চ, ২০১৭, স্থান: দ্য ওভাল (পি সারা ওভাল)। এই মৃত্যুতে তার সকল শুভানুধ্যায়ী গভীরভাবে শোকাহত। আর.আই.পি (রেস্ট ইন পিস-আত্মা স্বর্গলাভ করুক)। পুনশ্চ: মৃতদেহ দাহ করা হবে এবং ছাই নিয়ে যাওয়া হবে বাংলাদেশে। ’
এপিটাফটি ১৮৮২ সালে দ্য স্পোর্টিং টাইমসে লেখা রেজিন্যাল্ড ব্রুকসের সেই বিখ্যাত এপিটাফটির হুবহু অনুকরণ। অস্ট্রেলিয়ার কাছে ইংল্যান্ড ৭ রানে টেস্ট হেরে যাওয়ার পর ব্রুকস এটিকে প্রতীকী মৃত্যু হিসেবে দেখেছিলেন। এর পরেই ইংল্যান্ড-অস্ট্রেলিয়ার এই আদি দ্বৈরথ ‘অ্যাশেজ’ সিরিজ নামে বিখ্যাত হয়ে যায়।
অনেকে বলছেন, এটি যতটা না লঙ্কান ক্রিকেটের মৃত্যু, তার চেয়ে বেশি ক্রিকেটীয় অহংবোধের মৃত্যুর প্রতীক।
উল্লেখ্য, ঘরের মাঠে টানা ছয় টেস্ট জয়ের পর বাংলাদেশের কাছে ধরাশায়ী হয় শ্রীলঙ্কা। হোম সিরিজে টেস্টের নাম্বার ওয়ান টিম অস্ট্রেলিয়াকে হোয়াইটওয়াশ (৩-০) করা লঙ্কানরাই টাইগারদের কাছে হারের লজ্জায় ডোবে। নিজেদের ক্রিকেট ইতিহাসে শততম টেস্ট জেতার কীর্তি গড়ে মুশফিকুর রহিমের দল। বাংলাদেশ সিরিজের আগে ঘরের মাটিতে এক কথায় অপ্রতিরোধ্য ছিল লঙ্কানরা। গত বছরের জুলাই-আগস্টে শ্রীলঙ্কায় গিয়ে তিন ম্যাচ সিরিজে ধবলধোলাই হয়েছিল অস্ট্রেলিয়া। তারও আগে ২০১৫ সালের অক্টোবরে দুই টেস্টেই হার বরণ করে ওয়েস্ট ইন্ডিজ।
গল টেস্টে মুশফিকদের ২৫৯ রানে হারিয়ে আরেকটি হোম সিরিজ জয়ের স্বপ্ন দেখা শ্রীলঙ্কাকে রীতিমতো মাটিতে নামায় বাংলাদেশ দল। অসাধারণ জয়ে স্মরণীয় করে রাখে ঐতিহাসিক টেস্ট। তাইতো বলাই যায়, ওয়েস্ট ইন্ডিজ, অস্ট্রেলিয়া যা পারেনি সেটিই করে দেখিয়েছে বদলে যাওয়া দুর্দান্ত বাংলাদেশ! তাতেই কি মৃত্যু হলো লঙ্কান ক্রিকেটের?
বাংলাদেশ সময়: ১৮১০ ঘণ্টা, ২০ মার্চ ২০১৭
এমআরপি