ঢাকা, রবিবার, ৯ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৪ নভেম্বর ২০২৪, ২২ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

ক্রিকেট

ভারতের কাছে হেরে যুবাদের স্বপ্নভঙ্গ

স্পোর্টস ডেস্ক | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ২০৩১ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ১৪, ২০১৯
ভারতের কাছে হেরে যুবাদের স্বপ্নভঙ্গ ছবি:সংগৃহীত

অনূর্ধ্ব-১৯ এশিয়া কাপ ফাইনালে রোমাঞ্চ জাগিয়েও শেষ পর্যন্ত জয় পেল না বাংলাদেশ। ৫ রানের জয়ে আসরটির রেকর্ড সপ্তম শিরোপা ঘরে তুললো ভারতীয় যুবারা। এশিয়া কাপ থেকে নিদাহাস ট্রফি, প্রতিপক্ষ ভারত বলেই কিনা বাংলাদেশের ঘাড়ে চেপে বসে জুজুর ভয়।

পুরো টুর্নামেন্টে অসাধারণ খেলা বাংলাদেশ অনূর্ধ্ব-১৯ দল ফাইনালের মঞ্চেও দাপট দেখিয়েছে। শিরোপা নির্ধারণী ম্যাচে প্রথমে ব্যাট করতে নামা ভারতীয় অনূর্ধ্ব-১৯ দলকে ৩২.৪ ওভারে মাত্র ১০৬ রানে গুটিয়ে দিয়েছিল।

কিন্তু জবাবে ৩৩ ওভার পর্যন্ত ব্যাটিং করেও ১০১ রানে অলআউট হয়েছে প্রথমবারের মতো ফাইনালে উঠা টাইগার যুবারা।

শনিবার (১৪ সেপ্টেম্বর) শ্রীলঙ্কার আর প্রেমাদাসা স্টেডিয়ামে অনূর্ধ্ব-১৯ এশিয়া কাপে মুখোমুখি হয় আসরের অপরাজিত দুই দল বাংলাদেশ ও ভারত। যদিও ছোটদের এই টুর্নামেন্টে প্রথমে ব্যাট করা ভারতকে কোনো পাত্তাই দেয়নি বাংলাদেশের বোলাররা।

বাংলাদেশি বোলারদের দাপটে এদিন শুরু থেকেই আসা-যাওয়ার মিছিলে ব্যস্ত থাকে ছয়বারের চ্যাম্পিয়ন ভারত। দলীয় ৮ রানেই হারিয়ে বসে তিন উইকেট। মাঝে অধিনায়ক ধ্রুব জুরেল (৩৩) ও শাশাওয়াত রাওয়াত (১৯) কিছুটা চেষ্টা করলেও শামীম হোসেনের ঘূর্ণিতে আর পেরে ওঠেননি।

৮৪ রানে ৯ উইকেট হারানো ভারত শেষ উইকেট জুটিতে ২২ রান করে। দলের রান ১০০ ছাড়িয়ে নিতে বড় ভূমিকা রাখেন কারান লাল। দলীয় সর্বোচ্চ রান করা এই ব্যাটসম্যান শেষ পর্যন্ত ৪৩ বলে ৩৭ রানে মৃত্যুঞ্জয়ী চৌধুরীর বলে আউট হন।

বাংলাদেশি বোলারদের মধ্যে মৃত্যুঞ্জয়ী ও শামীম ৩টি করে উইকেট ভাগাভাগি করেন। এছাড়া একটি করে উইকেট পান তানজিম হাসান সাকিব ও শাহীন আলম।

লক্ষ্যটা মাত্র ১০৭ রানের হওয়ায় হালকা মেজাজে ব্যাট করতে গিয়ে সর্বনাশ হয়েছে যুবা টাইগারদের। মাত্র ১৬ রানেই ৪ উইকেট হারিয়ে বসার পর কার্যত ম্যাচ থেকে ছিটকে পড়তে শুরু করে দলটি। ২৩ রানের ইনিংস খেলে যা একটু লড়েছিলেন আকবর আলী।  

কিন্তু দলীয় ৭৮ রানে অধিনায়ক আকবর যখন বিদায় নিলেন ততক্ষণে ৭ উইকেট হারিয়ে পরাজয়ের প্রতীক্ষা শুরু বাংলাদেশের। এরপর তাকে যোগ্য সঙ্গ দেওয়া মৃত্যুঞ্জয় চৌধুরীও (২১) বিদায় নিলেন তখন প্রায় সবই শেষ।  

কিন্তু নবম উইকেট জুটিতে ২৩ রান তুলে আশা জাগিয়েছিলেন তানজিম হাসান সাকিব ও রাকিবুল হাসান। কিন্তু জয় থেকে মাত্র ৬ রান দূরত্বে ‘প্রশ্নবিদ্ধ’ এলবিডব্লিউ হয়ে বিদায় নেন সাকিব (১২)। রিপ্লে দেখে অবশ্য বল আগে ব্যাটে লেগেছিল বলেই মনে হয়েছে। এমনকি ভাষ্যকারও তাই বললেন।  

শেষ ব্যাটসম্যান হিসেবে নেমে ২ বল কোনোমতে ঠেকাতে পারলেও মুখোমুখি হওয়া তৃতীয় বলে বোল্ড হয়ে যান শাহীন আলম।  অপর প্রান্তে থাকা রাকিবুল (১১*) দর্শক হয়ে দেখলেন আরও একটি হতাশার পরাজয়, তাও ১০৪ বল হাতে রেখে।  ভারতীয় বোলার এঙ্ককলেকার একাই ৫ পাঁচ উইকেটে নিয়ে টাইগার যুবাদের ব্যাটিংয়ে ধস নামান।  বাংলাদেশের কপালে শিরোপা ভাগ্য বোধহয় এমনই। তাছাড়া এভাবে তীরে এসে তরী ডোবা তো নতুন কিছু নয়।

বাংলাদেশ সময়: ঘণ্টা, ১৪ সেপ্টেম্বর, ২০১৯
এমএমএস/এমএইচএম

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।