টেস্ট ক্যারিয়ারের ২০তম ফিফটি থেকে ৭ রান দূরে থাকতে ইনিংসের ৫৪তম ওভারে মোহাম্মদ শামির বলে বোল্ড হন মুশফিক। তাতে বাংলাদেশি কোনো ব্যাটসম্যান হিসেবে ভারতের বিপক্ষে সর্বোচ্চ রান করার কীর্তি গড়তে আরেকটু অপেক্ষায় থাকতে হবে মুশফিককে।
ব্যাট হাতে নামার আগে জাতীয় দলের বাইরে থাকা সাবেক অধিনায়ক মোহাম্মদ আশরাফুলকে টপকে যাওয়ার সুযোগ পান মুশফিক। দুই টেস্টে অটোমেটিক চয়েজ মুশফিক আর ৫০ রান করতে পারলে আশরাফুলকে টপকে যাবেন এমন সমীকরণ নিয়ে নামলেও প্রথম ইনিংসে করেন ৪৩ রান। তার ১০৫ বলের ইনিংসে ছিল চারটি বাউন্ডারি আর একটি ওভার বাউন্ডারি।
ভারতের বিপক্ষে সাদা পোশাকে অ্যাশ করেছিলেন ৩৮৬ রান। যেখানে ১১ ইনিংসে ছিল একটি সেঞ্চুরি আর দুটি ফিফটি। ভারতের বিপক্ষে টেস্টে আশরাফুলের ব্যাটিং গড় ৪২.৮৮।
বাংলাদেশি কোনো ব্যাটসম্যান হিসেবে ভারতের বিপক্ষে সর্বোচ্চ ব্যাটিং গড় মুশফিকের। এই ম্যাচের আগে ৫৬.১৬ গড়ে মুশি করেন ৩৩৭ রান। এই নিয়ে ভারতের বিপক্ষে তিনি খেললেন পাঁচটি টেস্ট। আগের সাত ইনিংসে ব্যাট করে দুটি সেঞ্চুরিও পেয়েছেন মুশি। ভারতের বিপক্ষেই তার গড়টা ৫০’র ওপরে।
টেস্ট ক্যারিয়ারে ৬৮ ম্যাচ খেলতে নামা এই মিডলঅর্ডার ব্যাটসম্যানের নামের পাশে আছে ৬টি সেঞ্চুরি। তার মধ্যে ভারতের বিপক্ষেই দুটি। একটি করে সেঞ্চুরি করেছেন নিউজিল্যান্ড (১৫৯), শ্রীলঙ্কা (২০০), ওয়েস্ট ইন্ডিজ (১১৬) এবং জিম্বাবুয়ের (অপরাজিত ২১৯) বিপক্ষে।
ভারতের বিপক্ষে মুশফিকের এগিয়ে যাওয়ার আরও পথ খোলা থাকছে। বাংলাদেশি ব্যাটসম্যানদের মাঝে তামিম ইকবাল টেস্টে করেছেন সর্বোচ্চ ৪৩২৭ রান। এই ম্যাচে নামার আগের মুশফিকের ছিল ৪০২৯ রান। তিনে থাকা সাকিবের নামের পাশে ৩৮৬২ রান। চার ও পাঁচে থাকা হাবিবুল বাশার সুমন আর আশরাফুলের রান যথাক্রমে ৩০২৬, ২৭৩৭। ছয়ে থাকা মাহমুদউল্লাহর (২৬৭৯) সুযোগ থাকছে আশরাফুলকে টপকে যাওয়ার। আবার সাতে থাকা মুমিনুলের (২৬৫০) সুযোগ থাকছে মাহমুদউল্লাহ-আশরাফুলকে টপকে যাওয়ার।
বাংলাদেশ সময়: ১৪৪৩ ঘণ্টা, নভেম্বর ১৪, ২০১৯
এমআরপি