এমনিতেই নিজেদের মাটিতে পাকিস্তান খুবই শক্তিশালী দল। তারচেয়ে বড় কথা হলো, তাদের বোলিং আক্রমণ আরও বেশি শক্তিশালী।
এবার যদি ব্যাটসম্যানদের কথা বলি, আজহার আলী, আসাদ শফিকের মতো অভিজ্ঞ ব্যাটসম্যান আছেন। এছাড়া আবিদ আলী, বাবর অাজমের মতো ব্যাটসম্যান যাদের বয়স ৩০ পার হলেও আন্তর্জাতিক টেস্ট খেলতে এসে নিজেদের অভিজ্ঞতা দিয়ে নিজেদের সামর্থের প্রমাণ দিয়েছেন।
অন্যদিকে বাংলাদেশ দলেও রয়েছেন তামিম ইকবাল, মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ, মুমিনুল হকের মতো অভিজ্ঞ ক্রিকেটার। তবে অভিজ্ঞতার চেয়ে বাংলাদেশ দলের সবচেয়ে বড় প্রশ্ন হলো টাইগারদের সাম্প্রতিক টেস্ট ফর্ম। লিটন দাস, মোহাম্মদ মিঠুনের মতো ক্রিকেটার রয়েছেন যাদের প্রথম শ্রেণির ক্রিকেটে অভিজ্ঞতা থাকলেও আন্তর্জাতিক অঙ্গনে নিজেদেরে মেলে ধরতে পারেনি। তবে বাংলাদেশ ক্রিকেট লিগে সবাই রান করেই পাকিস্তানে গেছেন। মিঠুন ছাড়া সবাই সেঞ্চুরির দেথা পেয়েছেন।
বোলিংয়ের দিকে তাকালে দেখা যাবে আবু জায়েদ, আল আমিন হোসেন, এবাদত হোসেন, নাঈম হাসান, রুবেল হোসেন সবাই মিলে টেস্টে উইকেটে নিয়েছেন ৭৪টি। তাইজুল ইসলাম একাই নিয়েছেন ১০৬টি উইকেট। অন্যদিক দিয়ে চিন্তা করলে, মাহমুদউল্লাহর ৪৮ উইকেট যোগ করলে বাংলাদেশের টেস্ট স্কোয়াডে থাকা স্বীকৃত বোলারদের উইকেটে সংখ্যা ২২৮টি। পাকিস্তানের ইয়াসির শাহের উইকেট সংখ্যাই ২০৯টি। অার আব্বাসের উইকেট সংখ্যা যোগ করলে তো তা তিনশ’র কাছাকাছি। তাই বাংলাদেশের বোলারদের জন্য চ্যালেঞ্জটাও কম নয়।
পরিসংখ্যান যা হোক না কেন, পাকিস্তানের বিপক্ষে বাংলাদেশ যে কয়টি সেশনই খেলুক না কেন, পুরোটাই চ্যালেঞ্জ নিতে হবে টাইগারদের। অপরিচিত কন্ডিশনে বাংলাদেশ কেমন করে সেটাই এখন দেখার বিষয়।
বাংলাদেশ সময় সকাল ১১টায় শুরু হবে ম্যাচটি।
বাংলাদেশ সময়: ১০১০ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ০৬, ২০২০
আরএআর/ইউবি