যখন নিয়মিত বোলারদের দ্বারা সাকিব আল হাসান ও মেহেদী হাসান মিরাজের জুটি ভাঙা সম্ভব হচ্ছিল না, ঠিক তখন বল হাতে তুলে নিলেন বাবর আজম। ওভারের দ্বিতীয় বলেই এই পার্ট-টাইম স্পিনারের বলেই লেগ বিফোরের ফাঁদে পড়লেন মিরাজ।
টেস্ট ক্রিকেটে পাকিস্তানি অধিনায়কের প্রথম উইকেট মিরাজ। আর তার শিকার হয়ে ফিরলেন ৭০ বলে ১৪ রানের ধৈর্যশীল ইনিংস খেলা বাংলাদেশি অলরাউন্ডার। যদিও শুরুতে আম্পায়ার বাবরদের আবেদন সাড়া দেননি। কিন্তু রিভিও নিয়ে উইকেট পতন নিশ্চিত করে পাকিস্তান। ফলে শেষ হয় সাকিব ও মিরাজের ৫১ রানের দারুণ এক জুটির। পরের ওভারে সাকিব বিদায় নিলেন সাজিদ খানের বলে বোল্ড হয়ে। মূলত সাকিবের ১৩০ বলে ৯ চারে ৬৩ রানে আউট হওয়ায় বাংলাদেশের লিড পাওয়ার সম্ভাবনাও ক্ষীণ হয়ে এলো।
এই প্রতিবেদন লেখা পর্যন্ত বাংলাদেশের সংগ্রহ ৮ উইকেট হারিয়ে ২০০ রান। স্বাগতিকরা এখনও ১৩ রানে পিছিয়ে আছে।
ঢাকা টেস্টের পঞ্চম দিনে ৭ উইকেটে ৭৬ রান নিয়ে খেলা শুরু করে বাংলাদেশ। তবে পাকিস্তানি বোলিং তোপে আজ মাত্র ১০ রান যোগ করতে পেরেছে টাইগাররা, গুটিয়ে গেছে মাত্র ৮৭ রানে। ফলে ফলোঅনে পড়েছে বাংলাদেশ।
পাকিস্তানের সাজিদ খান ৮ উইকেট শিকার করেছেন। বাংলাদেশ আজ যে ১০ রান করেছে পুরোটাই এসেছে সাকিব আল হাসানের ব্যাট থেকে। ৩৩ করে বাংলাদেশ ইনিংসের সর্বোচ্চ স্কোরার তিনিই। নাজমুল হোসেন শান্তর ব্যাট থেকে এসেছে ৩০।
ফলোঅনে পড়ে দ্বিতীয় ইনিংস শুরু করে বাংলাদেশ। কিন্তু এই ইনিংসেও পূর্বের ন্যায় পরপর উইকেট হারায় বাংলাদেশ। অভিষেক হওয়া মাহমুদুল হাসান জয় গত ইনিংসে ডাক মারার পর এই ইনিংসে ফিরেছেন ৬ রানে। কয়েক বল না যেতেই আফ্রিদির বলে এলবিডব্লিউ হয়ে উইকেট হারান সাদমান ইসলাম (২)।
সাদমানের ফেরার কিছুক্ষণ পর বিদায় নেন অধিনায়ক মুমিনুলও। হাসান আলীর বলে এলবিডব্লিউ হয়ে ব্যক্তিগত ৭ রানে সাঝঘরে ফেরেন তিনি। গত ইনিংসে থিতু হয়ে থাকা নাজমুল হাসান শান্ত এবার আর পারলেন না। ফাওয়াদ আলমের হাতে ক্যাচ তুলে শাহিন আফ্রিদির দ্বিতীয় শিকার হয়ে ব্যক্তিগত ৬ রানে বিদায় নেন তিনি।
শান্তর ফেরার পর ব্যাট করতে নেমে মুশফিকুর রহিমকে নিয়ে দলের হাল ধরেন লিটন দাস। দারুণ ব্যাট করে দলকে শতকের কাছে আনতেই উইকেট হারান এ ব্যাটার। সাজিদ খানের স্পিনে ফাওয়াদের হাতে ক্যাচ তুলে ব্যক্তিগত ৪৫ রানে বিদায় নেন তিনি।
ম্যাচ বাঁচানোর লড়াইয়ে আশা দেখাচ্ছিলেন মুশফিকুর রহিম ও সাকিব আল হাসান। দুজনের জুটিতে ৪৯ রানও যোগ হয়েছিল। কিন্তু চা বিরতির ঠিক আগে অকারণে ঝুঁকিপূর্ণ সিঙ্গেল নিতে গিয়ে ব্যক্তিগত ৪৮ রানেই রান আউট হয়ে ফিরলেন মুশফিক। ১৩৬ বল স্থায়ী ইনিংসটি ৩ চারে সাজানো। মুশফিকের বিদায়ের পর থিতু হয়ে ব্যাট করে অর্ধশতক তুলে নেন সাকিব। ৮ চারে ৯০ বলে ফিফটির দেখা পান তিনি।
এর আগে সিরিজের দ্বিতীয় ও শেষ টেস্টে মিরপুর শেরে বাংলা ক্রিকেট স্টেডিয়ামে পাকিস্তান প্রথম ইনিংস ৩০০ রানে ঘোষণার পর ব্যাট করতে নেমে মাত্র ৮৭ রানেই সবগুলো উইকেট হারিয়ে বসে বাংলাদেশ। দেশের মাটিতে টেস্ট ফরম্যাটে এটাই বাংলাদেশের সর্বনিম্ন রান।
বাংলাদেশ সময়: ১৬৩৬ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ০৮, ২০২১
এমএইচএম