ঢাকা, শুক্রবার, ১৫ চৈত্র ১৪৩০, ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৮ রমজান ১৪৪৫

চট্টগ্রাম প্রতিদিন

দুর্নীতি তদন্তে ডায়াবেটিস হাসপাতালে স্বাস্থ্য সেবার প্রতিনিধি দল

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৬৩৬ ঘণ্টা, মে ২৯, ২০২৩
দুর্নীতি তদন্তে ডায়াবেটিস হাসপাতালে স্বাস্থ্য সেবার প্রতিনিধি দল ...

চট্টগ্রাম: চট্টগ্রাম ডায়াবেটিস জেনারেল হাসপাতালের পরিচালকের বিরুদ্ধে অর্থ আত্মসাৎ সহ বিভিন্ন অনিয়ম খতিয়ে দেখতে হাসপাতাল পরিদর্শনে এসেছেন স্বাস্থ্য সেবা বিভাগের দুই সদস্যের প্রতিনিধি দল।

সোমবার (২৯ মে) সকাল সাড়ে ১১টায় ডায়াবেটিস হাসাপাতালে আসেন তারা।

প্রায় সাড়ে তিন ঘণ্টা ধরে চলে তাদের তদন্ত কর্যক্রম। এ সময় হাসপাতালের বিভিন্ন নথি পর্যালোচনা করেন প্রতিনিধি দলের সদস্যরা।

পরে সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলেন প্রতিনিধি দলের প্রধান স্বাস্থ্য সেবা বিভাগের জনস্বাস্থ্য শাখার উপ সচিব মু. জসীম উদ্দিন খান

তিনি সাংবাদিকদের জানান, আমরা মূলত হাসপাতালের ৫ অর্থ বছরের আর্থিক দিকগুলো নিয়ে তদন্ত করছি। যেসব তথ্য চাওয়া হয়েছে আমাদেরকে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ তা সরবরাহ করেছে। পর্যালোচনা করার পর আমরা প্রতিবেদন আকারে যথাযথ কর্তৃপক্ষের কাছে হস্তান্তর করবো।

কোনো অসঙ্গতি পাওয়ায় গেছে কিনা এমন প্রশ্নে তিনি কোনো মন্তব্য করতে রাজি হননি।

এদিকে, বরাবরের মত নিজেকে নির্দোষ দাবি করেন হাসপাতালের পরিচালক জাহাঙ্গীর চৌধুরী।

তিনি সাংবাদিকদের জানান, আমার বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র করা হচ্ছে। আজ যে প্রতিনিধি দল এসেছে তাদের কাছে আমরা হাসপাতালের সব তথ্য হস্তান্তর করেছি। যদি আরও কোনো তথ্য প্রয়োজন হয় তাও সরবরাহ করা হবে।  

সমাজ সেবা অধিদফতর থেকে দেওয়া তদন্ত প্রতিবেদনের বিষয়ে দ্বিমত পোষন করেন তিনি। দাবি করেন, হাসপাতালের পরিচালনা পর্ষদ নিয়ে সমাজ সেবা অধিদফতর অনিয়ম হয়েছে বলে উল্লেখ করেছিল। কিন্তু পরিচালনা পর্ষদ কমিটির মেয়াদ বাড়ানোর জন্য তদন্তের আগেই আবেদন করে। কিন্তু তা আমলে না নিয়ে সমাজ সেবা অধিদফতর প্রতিবেদন জমা দেয়। এতে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ ও আমার কোনো অনিয়ম ছিল না। তাই আমি আদালতে শরণাপন্ন হয়েছিলাম। উচ্চ আদালত সব কিছু বিবেচনায় নিয়ে সমাজ সেবা অধিদফতরের সুপারিশের বিরুদ্ধে স্থগিতাদেশ দেন

প্রসঙ্গত, ২০০১ সালে তৎকালীন হাসপাতালের দায়িত্বে থাকা ডায়াবেটিস সমিতির সাধারণ সম্পাদককে হটিয়ে দায়িত্ব নেন জাহাঙ্গীর চৌধুরী। সেই থেকে শুরু হয়  জাহাঙ্গীরের তুঘলকি শাসন। কেউ তার বিরুদ্ধে কথা বললেই চাকরিচ্যুত সহ বিভিন্ন ব্যবস্থা নিতেন। পাশাপাশি তার অনিয়ম ঢাকতে হাসপাতালে বিভিন্ন পদে নিজের আত্মীয়স্বজনকে বসান। গত ২০২১ সালের ২৮ জুন জনতা ব্যাংক লিমিটেড এবং ব্যাংক (খাতুনগঞ্জ শাখা) কর্তৃক দায়েরকৃত অর্থঋণ মামলায় চট্টগ্রামের চকবাজার থানা জাহাঙ্গীরকে গ্রেফতার করে। এরপর একই বছরের ২১ জুলাই জাহাঙ্গীরের বিরুদ্ধে ৩ সদস্যের কমিটি গঠন করে সমাজসেবা অধিদপ্তর। প্রতিষ্ঠানটির দেওয়া প্রতিবেদনে জাহাঙ্গীরকে অভিযুক্ত করে সুপারিশ করা হয় এবং তাকে পরিচালকের পদ থেকে অব্যহতি দেয়। পরবর্তীতে জাহাঙ্গীর চৌধুেরী উচ্চ আদালতে রিট করলে আদালত এ সিদ্ধান্তের ওপর স্থগিতাদেশ দেন।

 বাংলাদেশ সময়: ১৬৩০ ঘণ্টা, মে ২৯, ২০২৩
এমআর/পিডি/টিসি

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।