চট্টগ্রাম: সামুদ্রিক মৎস্য দপ্তরের পরিচালক আবদুস সাত্তার বলেন, সমুদ্রের মাছ নবায়নযোগ্য সম্পদ। এ মাছের প্রজনন, সংরক্ষণ ও আহরোনত্তর সঠিক পরিচর্যার মাধ্যমে আহরণ করার জন্য সরকার সামুদ্রিক মৎস্য আইন-২০২০ এবং সামুদ্রিক মৎস্য বিধি-২০২৩ জারি করেছে।
তিনি বাংলাদেশ মেরিন ফিশারিজ এসোসিয়েশনের উদ্যোগে এবং ফিশারি প্রোডাকস্ বিজনেস প্রমোশন কাউন্সিলের সহযোগিতায় দুইদিন ব্যাপী কর্মশালার গত ১৮ জুন সমাপনী দিনে প্রধান অতিথির বক্তব্যে একথা বলেন। চট্টগ্রামস্থ একটি রেষ্টুরেন্টে এ অনুষ্ঠানের সভাপতিত্ব করেন বাংলাদেশ মেরিন ফিশারিজ এসোসিয়েশনের সেক্রেটারি শেখ আবিদ হোসেন।
অনুষ্ঠানে সামুদ্রিক মৎস্য দপ্তরের পরিচালক আবদুস সাত্তার বলেন, মৎস্য আহরণের ক্ষেত্রে আইন ও বিধি মেনে চললে সামুদ্রিক মৎস্য সম্পদ প্রজনন ও সংরক্ষণ করা সম্ভব। পাশাপাশি সঠিক উপায়ে আহরোনত্তর পরিচর্যা বৃদ্ধি মাধ্যমে মাছের গুনগতমান উন্নয়ন সম্ভব এবং উন্নত মানের মাছ মানুষের মধ্যে বিপননের করা মাধ্যমে উন্নত জীবন গঠন করা যাবে।
অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ে বিজনেস প্রমোশন কাউন্সিলের সহকারি পরিচালক পলাশ কুমার ঘোষ। অনুষ্ঠানে এসোসিয়েশনের সদস্যভুক্ত বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের ট্রলার থেকে আগত অফিসার, নাবিকবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।
মূল প্রবন্ধ উপস্থাপনায় শওকত কবির চৌধুরী বলেন, সামুদ্রিক মাছ মানব শরীরের জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। এই মাছ আহরণের ক্ষেত্রে ট্রলারে কর্মকর্তা ও নাবিকদের ভূমিকা অনেক বেশি। সামুদ্রিক মৎস্যের গুরুত্ব বিবেচনায় সরকার বিভিন্ন অংশীজনের সমন্বয়ে ব্যবস্থাপনার জন্য মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়, মৎস্য অধিদপ্তর, সামুদ্রিক মৎস্য দপ্তর, বাংলাদেশ মৎস্য উন্নয়ন কর্পোরেশন, বাংলাদেশ নেভী, বাংলাদেশ কোস্ট গার্ড ও নৌ-পুলিশের সমন্বয়ে নিয়োজিত করা হয়েছে। বিভিন্ন অংশীজন এই ব্যবস্থাপনার সাথে জড়িত। বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের মতামতের ভিত্তিতে সামুদ্রিক সম্পদ ব্যবস্থাপনা করে আসছে। ব্যবস্থাপনার অন্যতম বিষয় হলো আইন-বিধি ও কারিগরি নির্দেশিকা বাস্তবায়ন এবং অংশীজনদের মধ্যে আইন-বিধির সকল বিষয় মেনে চলতে উদ্বুদ্ধ করা। সামুদ্রিক মৎস্য সম্পদ ব্যবহাপনায় ট্রলারের মালিক, কর্মকর্তা, নাবিক এবং সরকারের যৌথ প্রচেষ্টার মাধ্যমে এটি অব্যাহত আছে।
টিসি