ঢাকা, রবিবার, ২৫ শ্রাবণ ১৪৩২, ১০ আগস্ট ২০২৫, ১৫ সফর ১৪৪৭

চট্টগ্রাম প্রতিদিন

সাতকানিয়ায় এনসিপি নেতার পদত্যাগ 

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট  | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৭:২৮, আগস্ট ৯, ২০২৫
সাতকানিয়ায়  এনসিপি নেতার পদত্যাগ  এ ইউ মাসুদ

চট্টগ্রাম: চট্টগ্রামের সাতকানিয়া উপজেলার জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) সমন্বয় কমিটি থেকে ১ নম্বর যুগ্ম সমন্বয়কারী এ ইউ মাসুদ (আরফান উদ্দিন) পদত্যাগ করেছেন।

শুক্রবার (৮ আগস্ট) রাত ৯টার দিকে ফেসবুকে নিজের ব্যক্তিগত অ্যাকাউন্টে পোস্ট দিয়ে তিনি এ সিদ্ধান্ত জানান।

এ ইউ মাসুদ সাতকানিয়া উপজেলার একটি মাদরাসার শিক্ষক।  

ফেসবুক পোস্টে পদত্যাগপত্র আকারে এনসিপির দক্ষিণাঞ্চলের মুখ্য সংগঠক হাসনাত আবদুল্লাহর বরাবর একটি লেখা লেখেন এ ইউ মাসুদ ।

তিনি লিখেছেন, এনসিপির সূচনালগ্ন থেকে সাতকানিয়া উপজেলায় সাংগঠনিক কার্যক্রমে তিনি সক্রিয়ভাবে অংশগ্রহণ করে আসছেন। গত ২৫ জুন কেন্দ্রীয় সদস্যসচিব আখতার হোসেন ও মুখ্য সংগঠক (দক্ষিণাঞ্চল) হাসনাত আবদুল্লাহ স্বাক্ষরিত চিঠির মাধ্যমে সাতকানিয়া উপজেলা সমন্বয়ক কমিটি ঘোষণা করা হয়। এতে তাকে ১ নম্বর যুগ্ম সমন্বয়কারী হিসেবে রাখা হয়েছে।

পোস্টে তিনি অভিযোগ করে বলেন, কমিটি ঘোষণার ক্ষেত্রে এক ব্যক্তির একক সিদ্ধান্তে কোনো ধরনের আলোচনা বা পরামর্শ ছাড়া এ কমিটি গঠন করা হয়েছে, যা গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়ার পরিপন্থি। তা ছাড়া তিনি এ পদে থাকবেন—এ ব্যাপারে তাকে আগে অবগত করা হয়নি। এ কারণে তিনি পদত্যাগ করছেন। পাশাপাশি এরপর থেকে এনসিপির রাজনৈতিক কর্মকাণ্ডের সঙ্গে আর কোনো সম্পর্ক রাখবেন না।

পদত্যাগের বিষয়ে এ ইউ মাসুদ বলেন, আমাকে না জানিয়ে কমিটিতে পদ দেওয়া হয়েছে। কমিটির পদ দেওয়ার আগে আমার সঙ্গে কথা বলা হয়নি। এক ব্যক্তির বলতে তিনি এনসিপির দক্ষিণ জেলার সমন্বয়ক সিফাত হোসাইনকে বুঝিয়েছেন। মূলত তার একক সিদ্ধান্তেই এ কমিটি গঠন করা হয়েছে।

তিনি আরও বলেন, কমিটি দেওয়ার আগে জানানো হয়েছিল, আমি প্রধান সমন্বয়কারীর পদ পাবো। কিন্তু কমিটি প্রকাশ হওয়ার পর দেখলাম, যুগ্ম সমন্বয়কারীর পদ দেওয়া হয়েছে। ফলে এখানে কমিটি গঠনের ক্ষেত্রে আর্থিক লেনদেন কিংবা সম্পর্ক অনুঘটক হিসেবে কাজ করতে পারে।

এ ইউ মাসুদের অভিযোগের বিষয়ে দলটির চট্টগ্রাম দক্ষিণ জেলার সংগঠক সিফাত হোসাইন বলেন, কমিটি গঠনের পর থেকেই এ ইউ মাসুদের বিষয়ে নানা অভিযোগ আসে। তিনি আগে আওয়ামী লীগের সুবিধাভোগী ছিলেন। অভিযোগের বিষয়ে তিনি নিজের অবস্থান পরিষ্কার করতে পারেননি। এ কারণে কমিটির অন্য সদস্যরা তার সঙ্গে কাজ করতে আগ্রহী ছিলেন না। এসব কারণেই তিনি পদত্যাগ করেছেন। তবে কমিটি গঠনের ক্ষেত্রে আর্থিক লেনদেন বা ব্যক্তিগত সম্পর্ক—কোনোটাই ঘটেনি।

এমআই /টিসি/জেএইচ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।