চট্টগ্রাম: নগরীর বাহির সিগনাল এলাকায় ট্রেন-মিনিবাস সংর্ঘষে তৈরি পোশাক কারখানার ৪ নারীশ্রমিকের মর্মান্তিক মৃত্যুর ঘটনায় কর্মস্থলে অনুপস্থিত থাকায় এক কর্মকর্তা ও এক কর্মচারীকে সাময়িক বরখাস্ত করেছে রেলওয়ে কর্তৃপক্ষ।
ঘটনাস্থলের পাশ্ববর্তী জালানিহাট স্টেশন মাস্টার নেজাম উদ্দিন ও পরিবহন বিভাগের কর্মচারী (পয়েন্সম্যান) টিটু কান্তি দাশকে বরখাস্ত করা হয় বলে জানিয়েছেন রেলওয়ে পূর্বাঞ্চলের প্রধান পরিবহন কর্মকর্তা মিহির কান্তি গুহ।
সংশ্লিষ্ট বিভাগের কর্মকর্তারা জানান, চট্টগ্রাম-দোহাজারী রুটের জালানীহাট স্টেশনের কয়েক’শ গজের মধ্যেই দুর্ঘটনা ঘটে। ঘটনার একঘন্টা পরও দায়িত্বে থাকা স্টেশন মাস্টার ঘটনাস্থলে যেতে পারেননি।
এছাড়া ট্রেন চলাচলের জন্য রেললাইনের ক্লিয়ারেন্স দেয়ার দায়িত্বে থাকা টিটু কান্তি দাশ কর্মস্থলে উপস্থিত ছিলেন না। তাই তাদের দুইজনকেই সাময়িক বরখাস্ত করা হয়।
তবে মঙ্গলবার সকালে স্টেশনে উপস্থিত ছিলেন বলে দাবি করেছেন নেজাম উদ্দিন। তিনি বাংলানিউজকে বলেন, যেখানে দুর্ঘটনা ঘটেছে সে স্থান আমার দায়িত্বের মধ্যে পড়ে না। তাই আমাকে দায়ী করার কোন সুযোগে নাই।
এদিকে স্টেশনে দায়িত্ব পালন না করে রেলওয়ে পূর্বাঞ্চলের পাহাড়তলী ও সিআরবিতে মিছিল মিটিং নিয়েই বেশি ব্যস্ত থাকেন বলে অভিযোগ রয়েছে নেজাম উদ্দিনের বিরুদ্ধে।
রেলওয়ে পূর্বাঞ্চলের একাধিক কর্মকর্তা-কর্মচারী বাংলানিউজকে জানান, মঙ্গলবার সকাল ৯টার সময়ও নেজাম উদ্দিনকে পাহাড়তলীতে ঘুরোফেরা করতে দেখা গেছে। তখনও দুর্ঘটনার কথাই জানতেন না তিনি।
রেলওয়ে পূর্বাঞ্চল সূত্রে জানা গেছে, নেজাম উদ্দিন বাংলাদেশ রেলওয়ে স্টেশন মাস্টার ও কর্মচারী ইউনিয়নের চট্টগ্রাম বিভাগীয় সম্পাদক। এ সুবাদে মিছিল মিটিং এবং বিভিন্ন তদবির নিয়েই ব্যস্ত থাকেন।
উর্ধ্বতন কয়েকজন কর্মকর্তা বাংলানিউজকে জানান, এসব নেতাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে গেলেই শ্রমিক নেতারা তদবির শুরু করেন। কঠোর অবস্থানে গেলে সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তার বিরুদ্ধে আন্দোলন করেন। ফলে কাজ না করেই বছরের পর বছর বেতন গুনছেন তারা।
অফিস চলাকালীন সময়ে আপনাকে বিভিন্ন মিছিল সমাবেশে দেখা গেছে এমন প্রশ্নের উত্তরে নেজাম উদ্দিন বলেন, মিছিল সমাবেশ আমি করতেই পারি।
** ট্রেন-মিনিবাস সংঘর্ষ: উচ্চ পর্যায়ে ৫ সদস্যের তদন্ত কমিটি
বাংলাদেশ সময়: ১৬২৭ঘণ্টা, মার্চ ১১, ২০১৪