ঢাকা, শনিবার, ১৫ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ৩০ নভেম্বর ২০২৪, ২৮ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

দিল্লি, কলকাতা, আগরতলা

কলকাতায় বিদ্রোহী কবিতার ৯০ বছর

বঙ্গবন্ধু ‘জয়বাংলা’ ধ্বনি নিয়েছেন নজরুল প্রবন্ধ থেকে: মুহিত

কলকাতা ব্যুরো | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৯৫৫ ঘণ্টা, জুলাই ৪, ২০১২

কলকাতা: ভারত সরকারের সংস্কৃতি মন্ত্রণালয়ের আমন্ত্রণে কবি নজরুলের বিদ্রোহী কবিতার ৯০ বছর উপলক্ষে ভারত-বাংলাদেশ সংস্কৃতি বিনিময় কর্মসূচির অনুষ্ঠানে বুধবার বিকেল সাড়ে ৫টায় কলকাতার বিধানগরের পূর্বাঞ্চল সাংস্কৃতিক কেন্দ্রে অংশ নেন বাংলাদেশের অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিত। এই অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন ভারতে কয়লামন্ত্রকের মন্ত্রী প্রকাশ জসোওয়াল।



এছাড়া উপস্থিত ছিলেন, বাংলাদেশের হাইকমিশনার তারেক এ করিম, কবি নজরুলের নাতনি খিলখিল কাজী, ভারত সরকারে সংস্কৃতি মন্ত্রকের যুগ্ম সচিব অরিভিন্দ মনজিৎ সিং, সংস্কৃতি মন্ত্রকের ডিরেক্টর কে কে ব্যানার্জি।

এদিন বাংলাদেশের নজরুল ইনস্টিটিউটের নির্বাহী পরিচালক রশীদ হায়দার ইনস্টিটিউটের কয়েকটি প্রকশনা তুলে দেন প্রকাশ জসোওয়ালের হাতে।

অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিত বাংলাদেশ সরকারের পক্ষ থেকে শুভেচ্ছা উপহার তুলে দেন প্রকাশ জসোওয়ালের হাতে।

খিলখিল কাজী এদিন, তার বক্তব্যে কবির জীবনের বিভিন্ন দিক তুলে ধরেন। বর্ণনা করেন বিদ্রোহী কবিতার ইতিহাস।

তিনি বলেন, “আমরা বাংলাদেশে নজরুল ইনস্টিটিউটের মধ্য দিয়ে কাজ করছি। দুই দেশ মিলে যৌথভাবে কবির গান, লেখা ও স্মৃতি সংরক্ষণ করা হোক। ”

তিনি অভিযোগ করেন, কলকাতায় সঠিক সুরে নজরুল সংগীত গাওয়া হয় না।

এরপরই প্রদীপ প্রজ্জলন করে অতিথিরা বিদ্রোহী কবিতার ৯০ বছরের অনুষ্ঠানের উদ্বোধন করেন।

অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিত বলেন, “নজরুল নিশ্চয় আজ বেহেস্ত থেকে আমাদের দেখছেন, আর খুশি হচ্ছেন আমরা দুই দেশ একত্রে তার বিদ্রোহী কবিতার ৯০ বছর পালন করছি। ”

তিনি বলেন, “নজরুল এই পশ্চিমবাংলার মাটির সম্পদ, এই মাটিতেই তার সব কাজ। এখান থেকেই শুরু হলো তাকে স্মরণ। বিশ্বসাহিত্যে এই কবিতাটি একটি চিরায়ত সম্পদ। কবিতাটির মধ্য দিয়ে সমাজে সব অসাম্যের বাঁধনকে ভাঙার কথা বলেছেন কবি। ”

তিনি আরও বলেন, “বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধে তার কবিতা "চল চল চল" ও তার প্রবন্ধ "বাঙালির বাংলা" অনুপ্রেরণা যুগিয়েছিল। "জয় বাংলা" ধ্বনি বঙ্গবন্ধু এই প্রবন্ধ থেকেই নিয়েছিলেন।

প্রকাশ জসোওয়াল বলেন, “নজরুলের বিদ্রোহী কবিতা ভূমিকম্পের কাজ করেছিল। নিপীড়িত মানুষের মনে বিদ্রোহের জন্ম দিয়েছিল। কাজী নজরুল ইসলাম ভারত-বাংলাদেশকে মৈত্রীর বন্ধনে আবদ্ধ করেছেন। ”

তিনি বাংলায় বক্তব্য রাখার অক্ষমতা স্বীকার করে হিন্দিতে বলেন, “যেমন মহাত্মা গান্ধীকে বাদ দিয়ে বঙ্গবন্ধুকে ভাবা যায় না, তেমনই রবীন্দ্রনাথকে বাদ দিয়ে নজরুলতে ভাবা যায় না। নজরুল দুটো স্বাধীনতার লড়াই করেছিলেন, একটি ব্রিটিশদের বিরুদ্ধে, অন্যটি মুক্তিযুদ্ধে পাকিস্তানের বিরুদ্ধে। ”

এরপর দু’দেশের শিল্পীরা সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান পরিবেশন করে।

অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিত ৩ দিনের সফরে বুধবারই কলকাতায় পৌঁছান। তার সঙ্গে আছে ১৫ সদস্যর একটি সাংস্কৃতিক প্রতিনিধিদল।

বাংলাদেশ সময়: ১৯৫১ ঘণ্টা, জুলাই ০৪, ২০১২
আরডি/সম্পাদনা: আহমেদ জুয়েল, অ্যাসিসট্যান্ট আউটপুট এডিটর

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।