ঢাকা, শনিবার, ১৫ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ৩০ নভেম্বর ২০২৪, ২৮ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

দিল্লি, কলকাতা, আগরতলা

রাষ্ট্রপতি নির্বাচন ঘিরে সংঘাত চরমে কংগ্রেস-তৃণমূলের

কলকাতা ব্যুরো | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ০০৩৩ ঘণ্টা, জুলাই ৬, ২০১২
রাষ্ট্রপতি নির্বাচন ঘিরে সংঘাত চরমে কংগ্রেস-তৃণমূলের

কলকাতা: ভারতের রাষ্ট্রপতি নির্বাচন নিয়ে এবার কেন্দ্রের ক্ষমতাসীন কংগ্রেসের সঙ্গে সরাসরি সংঘাত তৃণমূলের।

বৃহস্পতিবার কলকাতায় দুই শীর্ষ কেন্দ্রীয় মন্ত্রী পি চিদাম্বরম এবং কপিল সিব্বলকে মমতা ব্যানার্জি বুঝিয়ে দেন, প্রণব মুখার্জিকে কোনো অবস্থাতেই সমর্থন করবে না তার দল।



তারপরই যৌথ সাংবাদিক সম্মেলনে কলকাতা প্রেসক্লাবে কেন্দ্রের দুই শীর্ষ মন্ত্রী বলেন, প্রণব মুখার্জিকে রাষ্ট্রপতি পদে নির্বাচিত করতে মমতা ব্যানার্জির সমর্থন অপরিহার্য নয়। তার সমর্থন ছাড়াই রাষ্ট্রপতি নির্বাচনে জয়ের ব্যাপারে নিশ্চিত কংগ্রেস।

কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী পি চিদাম্বরম বলেন, রাষ্ট্রপতি নির্বাচনে বৈধ ভোটের ৬৫ শতাংশই পাবেন প্রণব মুখোর্জি।

বৃহস্পতিবার কলকাতায় এসে প্রথমেই মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে মহাকরণে বৈঠক করেন কপিল সিব্বল। কিন্তু সেই বৈঠক যে ব্যর্থ হয়েছে, তা পরিষ্কার হয়ে যায় কিছুক্ষণ পরই।

এরপরই রাজ্যের আইনশৃঙ্খলা থেকে শুরু করে ঋণ মকুবের দাবি, সব ইস্যুতেই সরকারকে কড়া আক্রমণে নামে কংগ্রেস।

রাজ্যের ঋণ মকুবের দাবিতে দিল্লিতে দরবার করে মমতা ব্যানার্জির যে কোনো লাভ হবে না, তা-ও সোজাসাপ্টা বলে দেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী।

পরিসংখ্যান দিয়ে তিনি বলেন, অন্য রাজ্য যা সাহায্য পাচ্ছে তার সমতূল্য বা কখনও বেশিই সাহায্য পাচ্ছে এ রাজ্য। একাদশ পঞ্চবার্ষিকী পরিকল্পনায় যা বরাদ্দ হয়েছিল, দ্বাদশ পঞ্চবার্ষিকী পরিকল্পনায় পশ্চিম বঙ্গের জন্য বরাদ্দ একশো আট গুণ বাড়ানো হয়েছে।

এদিকে বৃহস্পতিবারই তুমুল বিতর্কের মধ্যেই রাজ্যের ঋণ মকুবের দাবিতে দিল্লিতে সর্বদলীয় প্রতিনিধি পাঠানোর প্রস্তাব গৃহীত হয় বিধানসভায়। সরকারি প্রস্তাবের বয়ানের তীব্র বিরোধিতা করে বাম নেতৃত্ব জানিয়ে দেন তারা যোগ দেবেন না।

কংগ্রেসের পক্ষ থেকেও জানিয়ে দেওয়া হয়েছে তারাও থাকছে না তৃণমূলের পাশে। ফলে মোরেটোরিয়ামের দাবি নিয়ে তৃণমূলের প্রতিনিধিদেরই দিল্লি যাওয়ার কথা ছিল। কিন্তু স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর এদিনের বক্তব্যে তা সম্পূর্ণ নস্যাৎ হয়ে যায়।

রাজ্যের আইনশৃঙ্খলা নিয়ে এদিন রীতিমত উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী পি চিদাম্বরম। তিনি বলেন, ২০১১-এর তুলনায় রাজ্যের আইনশৃঙ্খলার অবনতি হয়েছে। এটা সুস্থ গণতন্ত্রের লক্ষ্য হতে পারে না। বেশির ভাগই রাজনৈতিক সংঘর্ষ। চলতি বছরেই ৪৫৫টি হিংসার ঘটনা ঘটেছে।

যদিও এরপরই স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর বক্তব্যের বিরোধিতা করে রাজ্য সরকারের তরফ থেকে কড়া বিবৃতি দেওয়া হয়।

রাজ্যের পঞ্চায়েতমন্ত্রী সুব্রত মুখার্জি বলেন, রাজ্যের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র করা হচ্ছে। স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বিকৃত তথ্য তুলে ধরেছেন। তার মন্তব্যের তীব্র ধিক্কার জানাচ্ছি। রাষ্ট্রপতি নির্বাচনে যেহেতু ইউপিএ জোট প্রার্থীকে সমর্থন করছে না তৃণমূল, তাই প্রচ্ছন্ন হুমকি দেওয়া হল। দেশের অন্যান্য রাজ্যের তুলনায় অনেক বেশি সুশৃঙ্খল এখানকার আইনশৃঙ্খলা।

বাংলাদেশ সময়: ০০২৯ ঘণ্টা, জুলাই ০৬, ২০১২
আরডি/রানা রায়হান, অ্যাসিসট্যান্ট আউটপুট এডিটর

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।