ঢাকা, শনিবার, ১৫ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ৩০ নভেম্বর ২০২৪, ২৮ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

দিল্লি, কলকাতা, আগরতলা

নয়াদিল্লি থেকে খুররম জামান

‘বঙ্গবন্ধু বাংলাদেশ বানায়া, হাসিনা বাংলাদেশ বাঁচায়া’

খুররম জামান, ডিপ্লোম্যাটিক অ্যাফেয়ার্স এডিটর | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ২০১৪ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ২০, ২০১৪
‘বঙ্গবন্ধু বাংলাদেশ বানায়া, হাসিনা বাংলাদেশ বাঁচায়া’ ছবি: বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম

নয়াদিল্লি থেকে: বাংলাদেশ-ভারত যৌথ পরামর্শক কমিশনের (জেসিসি) বৈঠক শেষে দিল্লির তাজমান সিং হোটেলের নিজ কক্ষে সাংবাদিকদের মুখোমুখি হন পররাষ্ট্রমন্ত্রী  আবুল হাসান মাহমুদ আলী।

স্থানীয় সময় সন্ধ্যা ছয়টা থেকে পরবর্তী ৪০ মিনিট সাংবাদিকদের সামনে জেসিসি বৈঠক সহ ভারত সফরের নানা দিক তুলে ধরেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী।



এ সময় পররাষ্ট্রমন্ত্রী ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর সঙ্গে তার বৈঠকের নানা দিক উপস্থাপন করেন।

শুক্রবার বিকেলের ওই বৈঠকে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার উচ্ছ্বসিত প্রশংসা করেন বলে উল্লেখ করেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী।

এ সময় নরেন্দ্র মোদীর সামনে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সংগ্রামী জীবনের নানা দিক তুলে ধরেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী।

এছাড়া ১৫ আগস্টের হত্যাকাণ্ড থেকে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও তার বোন শেখ রেহানার বেঁচে যাওয়া, ষড়যন্ত্র সত্ত্বেও বার বার নির্বাচনী বৈতরণী পার হওয়া, ২১ আগস্টের গ্রেনেড হামলা, ওয়ান-ইলেভেনের সময় শেখ হাসিনার সংগ্রামী ভূমিকা ইত্যাদি বিষয়ও নরেন্দ্র মোদীকে অবহিত করেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী।

এ সময় মোদী বলেন, ‘বঙ্গবন্ধু বাংলাদেশ বানায়া, শেখ হাসিনা বাংলাদেশ বাঁচায়া। ’ পাশাপাশি তিনি বাংলাদেশ সফরের আগ্রহ ব্যক্ত করে বাংলাদেশে আসার প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার আমন্ত্রণও গ্রহণ করেন।   নরেন্দ্র মোদী প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকেও ভারত সফরে যাওয়ার আমন্ত্রণ জানিয়েছেন বলে জানান পররাষ্ট্রমন্ত্রী।

বৈঠকে ৫ জানুয়ারির নির্বাচনকে কেন্দ্র করে বিএনপি-জামায়াতের সহিংসতার বিষয়টি নরেন্দ্র মোদীকে অবহিত করেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী। এ সময় পররাষ্ট্রমন্ত্রী  ভারতকে বাংলাদেশের সবচেয়ে বড় সহযোগী এবং বিশ্বস্ত মিত্র হিসেবে অভিহিত করেন।

উল্লেখ্য, শনিবার নয়াদিল্লিতে তৃতীয় বাংলাদেশ-ভারত জেসিসি বৈঠকে বাংলাদেশের প্রতিনিধি দলের নেতৃত্ব দেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী আবুল হাসান মাহমুদ আলী। এর আগে শুক্রবার বিকেলে ভারতীয় প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎ করেন তিনি।

প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী ছাড়াও রাষ্ট্রপতি প্রণব মুখার্জি, অর্থমন্ত্রী অরুণ জেটলি, পানিসম্পদমন্ত্রী উমা ভারতী, জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা অজিত দোবাল, রাজ্যসভার (উচ্চকক্ষ) বিরোধী দলীয় নেতা গোলাম নবী আজাদের সঙ্গে বৈঠক হয় পররাষ্ট্রমন্ত্রীর।

সবগুলো বৈঠকই অত্যন্ত সৌহার্দ্যপূর্ণ পরিবেশে অনুষ্ঠিত হয়েছে বলে জানায় পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়।

ভারত সফর শেষে শনিবার রাতেই জাতিসংঘের সাধারণ অধিবেশনে যোগ দিতে দিল্লি থেকে নিউইয়র্কের উদ্দেশে যাত্রা করবেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী।
 
বাংলাদেশ সময়: ১৯৫৯ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ২০, ২০১৪

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।