কলকাতা: দার্জিলিংয়ের পাহাড়ের বিরাজমান সমস্যার সমাধানে শুধু বিমল গুরুংয়ের জনমুক্তি মোর্চার প্রতিনিধির সঙ্গে আলোচনা করলেই হবে না, তাদেরও ডাকতে হবে বলে জানিয়েছে অখিল ভারতীয় গোর্খা লীগ।
গোর্খা লীগের নেতা প্রতাপ খাতি দার্জিলিংয়ে সংবাদমাধ্যমকে এ নিয়ে বলেন,‘ বিমল গুরুং পাহাড়বাসীর ‘পেইন কিলারের’ মতো।
গোখ্যাল্যান্ডের দাবি মনে থাকলেও, আপাতত স্বশাসনে আপত্তি নেই মোর্চার। স্বশাসন আর উন্নয়নের দাবিকে সামনে রেখে সোমবার মোর্চার ৭ সদস্যের প্রতিনিধিদল মুখ্যমন্ত্রী মমতা ব্যানার্জির সাথে বৈঠক করবেন।
মোর্চা সুত্রে জানা গেছে, এই বৈঠকের নেতৃত্ব দেবেন মোর্চার শীর্ষ নেতা রোশন গিরি। এছাড়াও থাকবেন মোর্চা নেতা হরকা বাহাদুর ছেত্রী, উইলসন চম্পামারি, এল বি পারিয়ান, শঙ্কর অধিকারী, সমরদীপ ব্লো ও কমল পাখরিন।
সুত্রটি আরও জানাচ্ছে, বৈঠকে প্রস্তাবিত স্বশাসনের আওতায় পাহাড় ছাড়া তরাই, ডুর্য়াসের এলাকা অর্ন্তভুক্ত করার দাবি নিয়ে তারা আলোচনা করবেন।
সোমবার সকালে কলকাতায় মোর্চা নেতা শঙ্কর অধিকারী বলেছেন, শেষ ত্রিপাক্ষিক বৈঠকে যে সব সমস্যার সমাধান হয়নি তা নিয়ে আলোচনা হবে। যার মধ্যে অন্যতম হল স্বশাসন চালু করা এবং তার সীমানা নির্ধারণ করা। এছাড়াও উন্নয়নের প্রশ্নে আলোচনা হবে। ’
গত বছর ডিসেম্বর মাসে কেন্দ্র-রাজ্য-মোর্চা বৈঠকে অন্তর্বর্তী স্বশাসনের বিষয়টি চূড়ান্ত হয়ে গেলেও পাহাড়ে ফিরে গিয়ে মোর্চা নেতারা স্বশাসনের বিষয়টি থেকে কোন এক অজ্ঞাত কারণে সরে গিয়েছিলেন।
এবার কী হবে? এই প্রশ্ন করলে মোর্চা নেতা শঙ্কর অধিকারী জানান, ‘ তখন পাহাড়ের ৩টি মহকুমার সাথে তরাই ডুর্য়াসের কিছু অংশ এই এলাকার আওতায় অনা নিয়ে মতবিরোধ হয়েছিল। সাবেক বাম সরকার তা মানতে চায়নি। ’
‘তবে বর্তমান জোট সরকার বিষয়টি সহানুভূতির সঙ্গে বিচেনা করবেন বলে তারা আশা করছেন’ বলে জানিয়েছেন তিনি।
ভারতীয় সময়: ১৪০০ ঘন্টা, জুন ৬, ২০১১