কলকাতা: সন্ত্রাসের প্রতিবাদ করতে গিয়ে এবার তৃণমূল কর্মীদের হাতে ঘেরাও হলেন উত্তর ২৪ পরগনার বামফ্রন্ট নেতারা।
বামনেতাদের অভিযোগ, এ সময় সাবেক মাদ্রসা শিক্ষামন্ত্রী ড. আবদুস সাত্তারের গাড়ি ভাঙচুর করে তৃণমূল সমর্থকরা।
গত বৃহস্পতিবার তৃণমূলের ব্রিগেড সমাবেশের দিন আমডাঙার বইছগাছা গ্রামে সন্ত্রাসীরা হামলা চালায়। এ ঘটনায় গুলিবিদ্ধ হয় সিপিএম কর্মী ও পঞ্চায়েত সদস্য জাকির আলি বুল্লুক এমদাদুল হক।
শুক্রবার সন্ধ্যায় জেলা বামফ্রন্টের প্রতিনিধিদল আতঙ্কিত গ্রামবাসীর পাশে গেলে তৃণমূলকর্মীরা তাদের ঘেরাও করে।
সিপিএম অভিযোগ করে, বৃহস্পতিবার সকালে আমডাঙার বইছগাছিতে সম্পূর্ণ বিনা উস্কানিতে কর্মীদের ওপর হামলা ও স্থানীয় একটি দলীয় কার্যালয় ভাঙচুর করে সশস্ত্র তৃণমূলকর্মীরা। এ সময় বোমাও ছোড়া হয়।
ওইদিন উত্তর ২৪ পরগনা জেলা বামফ্রন্টের এক প্রতিনিধিদল আক্রান্ত মানুষের সঙ্গে কথা বলতে গিয়েছিলেন। প্রতিনিধিদলে ছিলেন সিপিএমের রাজ্য কমিটির সদস্য অমিতাভ নন্দী, তড়িৎবরণ তোপদার, সুভাষ মুখার্জি, আমডাঙার সাবেক বিধায়ক আবদুস সাত্তার প্রমুখ।
গ্রামের মহিলারা প্রতিনিধিদলকে জানান, বৃহস্পতিবার তৃণমূলের ওই হামলার পর থেকেই গ্রামের পুরুষরা ঘরছাড়া। তাদের ঘর এমনভাবে ভাঙচুর করা হয়েছে যে বর্ষাকালে ঘরে থাকার অবস্থাও নেই। ঘরের সবকিছু লুটপাট করা হয়েছে।
তৃণমূলকর্মীরা সেখানে অকস্মাৎ জড়ো হয়ে পুলিশের সামনেই প্রতিনিধিদলকে গালিগালাজ করে।
আমডাঙা থানায় সিপিএমের পক্ষ থেকে ওই ঘটনায় তৃণমূলের ৫৬ জন কর্মীর বিরুদ্ধে এফআইআর করা হয়েছে।
এরপর প্রতিনিধিদলটি আমডাঙা থানায় আলোচনার জন্য উপস্থিত হন। থানার ভেতরে আলোচনা চলার সময় বাইরে সমবেত হয় তৃণমূল নেতা-কর্মীরা। বৃহস্পতিবার গুলিবিদ্ধ জাকির আলিকে গ্রেপ্তারের দাবিতে তারা সেøাগান দিতে থাকে।
এর মধ্যেই উত্তেজিত তৃণমূল কর্মীরা আমডাঙার সাবেক বিধায়ক আবদুস সাত্তারকে দেখে তার দিকে ছুটে যান।
অমিতাভ নন্দী জানান, ঘটনার সঙ্গে জড়িত দুষ্কৃতকারীদের গ্রেপ্তার করা না হলে তারা আবার গ্রামে যাবেন। থানায় স্মারকলিপিও দেওয়ার কথা জানান তিনি।
তিনি বলেন, পার্টি অফিস দখলমুক্ত না হওয়া পর্যন্ত এলাকার মানুষকে সঙ্গে নিয়েই তীব্র আন্দোলন গড়ে তোলা হবে।
বাংলাদেশ সময়: ১২১০ ঘণ্টা, জুলাই ২৩, ২০১১