নয়াদিল্লি: রাহুল গান্ধী ভারতের পরবর্তী প্রধানমন্ত্রী হওয়ার বিষয়টি দিন দিন জোরদার হচ্ছে। সম্প্রতি সিএনএন-আইবিএন এবং সিএনবিসি-টিভি১৮’র করা জরিপে দেখা যায় ভারতের জনগণ পরবর্তী প্রধানমন্ত্রী হিসেবে রাহুল গান্ধীকেই দেখতে চায়।
ব্যক্তি হিসেবে মনমোহন সিং প্রশ্নাতীত হলেও সরকারের বিভিন্ন পর্যায়ে দুর্নীতি সংক্রান্ত ঝামেলার কারণে জনগণের কাছে তার জনপ্রিয়তা এখন অনেকটাই তলানিতে গিয়ে ঠেকেছে। কমনওয়েলথ গেমস থেকে শুরু করে টুজি কেলেঙ্কারি নিয়ে সোনিয়া গান্ধী এবং মনমোহন সিং দুজনেই বেশ নাজেহাল অবস্থায়।
ব্যক্তিত্ব এবং নেতৃত্ব দেওয়ার গুনাবলীভিত্তিক প্রশ্ন দিয়ে এ জরিপ করা হয়। এতে দেখা যায়, জনগণ রাহুল গান্ধীর মতো তরুণ ও গতিশীল নেতৃত্বকেই চাইছে ভারতের শীর্ষ নেতৃত্বে।
রিপোর্ট অনুযায়ী, জরিপে অংশগ্রহণকারীদের মধ্যে প্রায় ১৯ শতাংশই সোনিয়া গান্ধীর ছেলে রাহুল গান্ধীকে কংগ্রেসের সাধারণ সম্পাদক হিসেবে পছন্দ করছেন। আর ৩৪ শতাংশ মানুষ এখনই তরুন রাহল গান্ধীকে ভারতের প্রধানমন্ত্রী হিসেবে দেখতে চাইছে।
তবে ২৫ শতাংশের মতে, রাহুল গান্ধী প্রধানমন্ত্রী হবার জন্য এখনই প্রস্তুত নন। আর ১০ শতাংশ মনে করছে রাহুল এই পদের জন্য অযোগ্য। এর আগে ২০০৬ সালে এক জরিপে ৩৪ শতাংশ ভারতবাসী মনে করতো রাহুল গান্ধী প্রধানমন্ত্রী হবার মতো যোগ্য নন। এসময় প্রধানমন্ত্রীর পদের জন্য বর্তমান অর্থমন্ত্রী প্রণব মুখার্জিও পেয়েছিলেন মাত্র ৭ শতাংশ ভোট।
২০০৪ সালে মাত্র এক শতাংশ মানুষ মনমোহন সিংকে দেশ পরিচালনায় সক্ষম বলে মনে করতেন। তবে আজ সেটা পৌঁছেছে ১০ শতাংশে গিয়ে। ২০০৯ সালের আরেক জড়িপে দেখা যায় ৭০ শতাংশ মানুষ মনমোহন সিংকে প্রধানমন্ত্রী হিসেবে সমর্থন দিচ্ছে। কিন্তু ২০১১ সালে এসে এ পরিসংখ্যান দাড়ায় ৫৬ শতাংশে।
উল্লেখ্য, মনমোহন সিংকে সবাই ভালো মানুষ হিসেবেই জানে। জনগণ এও মনে করে যে তিনি সৎ কিন্তু দুর্নীতি দমন করার মতো যথেষ্ট সাহসী নন। ২৯ শতাংশ মানুষ মনে করে তিনি দুর্নীতি দূর করতে সচেষ্ট। আর নয় শতাংশ মানুষ মনে করেন যে তিনি নিজেই দুর্নীতিগ্রস্ত।
ভারতের ৩৩ শতাংশ মানুষ মনমোহন সিংকে আর প্রধানমন্ত্রী হিসেবে দেখতে চাইছেন না, অপরদিকে ২২ শতাংশ মানুষ চাইছেন যে তিনিই থাকুন প্রধানমন্ত্রী হিসেবে।
বাংলাদেশ সময় ১৯১৩ ঘণ্টা, আগস্ট ০৮, ২০১১