কলকাতা: রাজ্যের সাবেক পশ্চিমাঞ্চল উন্নয়নমন্ত্রী ও সিপিএমের পশ্চিম মেদিনীপুর জেলার প্রভাবশালী নেতা সুশান্ত ঘোষের জামিনের আবেদন বৃহস্পতিবার নাকচ করল মেদিনীপুর আদালত। এরপরই সিআইডি তাকে ৭দিনের জন্য রিমান্ডে নেয়।
এদিন ছিল সুশান্ত ঘোষের বিরুদ্ধে দায়েরকৃত একটি হত্যা মামলার তিন দিনের জামিনের শেষ দিন। তিনি দুপুর ২টার মধ্যে হাজিরা দিতে আদালতে আসেন।
তিনি এদিন আদালত চত্বরে আসামাত্রই বহু তৃণমূল সমর্থক সুশান্ত ঘোষের কঠোর সাজার দাবিতে বিক্ষোভ করেন। আদালতে রাখা তার গাড়িটি ভাংচুর করে উত্তেজিত জনতা। পুলিশ বাঁধা দিতে আসলে পুলিশকে লক্ষ্য করে পাথর ছোঁড়া হয়।
মুহূর্তের মধ্যে আদালত চত্বর রণক্ষেত্রের রূপ নেয়। পুলিশের সঙ্গে জনতার খন্ডযুদ্ধ শুরু হয়। চলে ধাওয়া পাল্টা ধাওয়া। একটা পর্যায়ে পুলিশ পিছু হটলে, র্যাফ এসে পরিস্থিতি সামাল দেয়। ঘটনাস্থল থেকে ৩জনকে আটক করে পুলিশ।
এদিকে এদিন সুশান্ত ঘোষের হয়ে সওয়াল করেন রাজ্যের সাবেক আইনমন্ত্রী রবিলাল মৈত্র। সিআইডি তরফে ছিলেন আইনজীবি সুদীপ্ত চ্যাটার্জি।
আইনজীবি সুদীপ্ত চ্যাটার্জি আদালতে বলেন, ‘সুশান্ত ঘোষ তার বাড়ির ঠিকানা সঠিক দেন নি। যেহেতু তার নামে এফ আই আর করা আছে পুলিশের তা জানা প্রয়োজন এবং তদন্তের স্বার্থে তাকে রিমান্ডে নিতে চায় সিআইডি। ’
সিআইডির এই আবেদন মঞ্জুর করে আদালত। সুশান্ত ঘোষের জামিন খারিজ করে ৭ দিনের রিমান্ডে পাঠানো হয়।
আদলতের এই রায়ের সিপিএম সুশান্ত ঘোষের পক্ষে আছে বলে জানিয়েছে। সিপিএমনেতা মহম্মদ সেলিম বলেছেন, ‘রাজনৈতিক প্রতিহিংসার কারণে এই ঘটনা ঘটানো হয়েছে। আমরা আদলতেই লড়াই করব। ’
উল্লেখ্য, গত ১১ জুন গড়বেতায় সুশান্ত ঘোষের বাড়ির পাশে ৫টি কঙ্কাল উদ্ধার করা হয়। তৃণমূলের অভিযোগ তাদের কর্মীদের খুন করে মাটিতে পুঁতে রাখা হয়েছিল এবং এর মূল অভিযুক্ত সাবেক মন্ত্রী সুশান্ত ঘোষ।
এর পর ৯ই আগস্ট কঙ্কাল গুলি ডিএনএ টেস্ট হয় তার মধ্যে দুটি সনাক্ত করা গেলেও বাকি তিনটি সনাক্ত করা যায় নি। এর মধ্যে দুটি কঙ্কাল রাজু সিংহ এবং অজয় আচার্যের। এরা দুজনেই তৃণমূল কর্মী ছিলেন।
ভারতীয় সময়: ১২১৭ ঘন্টা, আগস্ট ১২, ২০১১