ঢাকা, রবিবার, ৯ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৪ নভেম্বর ২০২৪, ২২ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

দিল্লি, কলকাতা, আগরতলা

পেট্রাপোলে সুসংহতি চেকপোস্ট ভবনের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন

জামাল হোসেন, বেনাপোল প্রতিনিধি | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৭২৭ ঘণ্টা, আগস্ট ২৭, ২০১১
পেট্রাপোলে সুসংহতি চেকপোস্ট ভবনের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন

বেনাপোল (যশোর): ভারতের পেট্রাপোলে শনিবার সকালে সুসংহতি চেকপোস্ট ভবনের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করা হয়েছে।

সকাল ১১টায় ভিত্তিপ্রস্তর স্থপান করেন ভারতের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী পি চিদাম্বরম।



এসময় উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী সাহারা খাতুন ও পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা ব্যানার্জি।

অনুষ্ঠানে ভারতীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী পি চিদাম্বরম বলেন, ‘ দু’দেশের মধ্যে ব্যবসা বাণিজ্যে আরও গতিশীলতা বৃদ্ধি করতে এই ভবন নির্মাণ করা হচ্ছে। একই ছাদের নিচে ইমিগ্রেশন, কাস্টমস ও বন্দরের কার্যক্রম চালানো হবে। ’

অনুষ্ঠানে দু’দেশের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীদের মধ্যে ব্যবসা-বাণিজ্যের সম্প্রসারণ, আমদানি রপ্তানির সুযোগ-সুবিধা বৃদ্ধি, পাসপোর্ট যাত্রীদের যাতায়াত সমস্যা এবং নিরাপওা ব্যবস্থাসহ সীমান্তের বিভিন্ন সমস্যা নিয়ে আলোচনা হয়।

অনুষ্ঠানে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বানার্জি বলেন, ‘দু’দেশের মধ্যে যোগাযোগ ব্যবস্থা আরও উন্নতি ও সহজীকরণ করতে ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে। ’

অনুষ্ঠানে অন্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন ভারতের পশ্চিমবঙ্গ রাজ্য সরকারের খাদ্য ও সরবরাহ মন্ত্রী জ্যোতিময় মল্লিক, ত্রাণ ও পূর্ণবাসন মন্ত্রী মঞ্জুর কৃষ্ণ ঠাকুর, এমএলএ সুরজিত বিশ্বাস, বিশ্বজিত দাস, বাংলাদেশের স্বরাষ্টসচিব আব্দুস সোবহান, যুগ্ম সচিব (রাজনৈতিক) কামাল উদ্দিন, যশোর-১ আসনের সংসদ সদস্য আলহাজ্ব শেখ আফিল উদ্দিন, ইমিগ্রেশন পাসপোর্ট মহাপরিচালক মাহাবুবুর রহমান, বিজিবি মহাপরিচালক মেজর জেনারেল আনোয়ার হোসেন, পুলিশের ডিআইজি হেমায়েত হোসেন, বিজিবি খুলনা সেক্টর কমান্ডার কর্নেল আলী আহম্মদ, বেনাপোল পৌর মেয়র আশরাফুল আলম লিটন প্রমুখ।

অনুষ্ঠানে শেষে ফিরে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী সাহারা খাতুন চেকপোস্টে সাংবাদিকদের বলেন,  ‘দু’দেশের ব্যবসা-বাণিজ্য ও অন্তরিকতা বৃদ্ধি পাচ্ছে। এ কারণে ভারতের মন্ত্রীর আমন্ত্রণে আমরা অনুষ্ঠানে যোগ দিয়েছি। ’

তিনি বলেন, ‘সীমান্তে আর নিরীহ বাংলাদেশীদের গুলি করে হত্যা করা হবে না। এ বিষয়ে দু’দেশের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী পর্যায়ে বৈঠকে এ সিদ্ধান্ত হয়েছে। ’

পেট্রাপোল চেকপোস্টে আন্তর্জাতিক ইমিগ্রেশন, কাস্টমস ভবন স্থাপনের জন্য প্রকল্পের আনুমানিক ব্যয় হবে ১৭২ কোটি রুপি। পরিকাঠামো নির্মাণের জন্য ব্যয় করা হবে ৯৩.৬১ কোটি রুপি। ৮০ একর জমির উপর নির্মিত হবে এ চেকপোস্টে। ২০১৩ সাল নাগাদ এর কাজ শেষ হবে।

ভারতের সীমান্ত ব্যবস্থাপনা বিভাগ প্রাথমিকভাবে বাংলাদেশ, নেপাল, পাকিস্তান ও মায়ানমার সীমান্তে এ রকম ১৩টি প্রকল্প বাস্তবায়ন করবে।   এরই মধ্যে ভারত-পাকিস্তান সীমান্তে আটারিতে, ভারত-বাংলাদেশ সীমান্তে আগরতলায় ও ভারত-নেপাল সীমান্তে রৌক্সল যোগবনীতে এই প্রকল্পের কাজ শুরু হয়েছে। এই প্রকল্পের সুবিধার মধ্যে থাকছে যাত্রীদের প্রতিক্ষালয়, ইন্টারনেট সুবিধা, কার্গো মাল পরীক্ষার জন্য শেড, মালামাল পরীক্ষা করার জন্য একটি গবেষণাগার, ব্যাংক, মানি এক্সচেঞ্জ, মাল গুদাম, হিমঘর, মালামাল পরীক্ষার জন্য স্ক্যানার, কাফেটিরিয়া ইত্যাদি।

বাংলাদেশ সময়: ১৭১৭ ঘণ্টা, আগস্ট ২৭, ২০১১

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।