কলকাতা: বাংলাদেশের সঙ্গে ভারতের ট্রানজিট ও ফেনী নদীর পানিবণ্টন চুক্তি না হওয়ার জন্য পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা ব্যানার্জিকে দায়ী করেছে উত্তর-পূর্বের রাজ্য ত্রিপুরা।
প্রধানমন্ত্রী মনমোহন সিং এর সঙ্গে সফর শেষ করে বুধবারই আখাউড়া সীমান্ত দিয়ে রাজ্যে ফিরেছেন মুখ্যমন্ত্রী মানিক সরকার।
রাজ্যের শিল্প ও বাণিজ্যমন্ত্রী জিতেন্দ্র চৌধুরী বলেছেন, এই সফরেই দিয়ে চুক্তি হলে ভাল হতো। কিন্তু রাজনৈতিক বাধ্যবাধকতার কারণে তিস্তা নিয়ে শেষ পর্যন্ত কোন সমঝোতায় পৌঁছানো যায়নি।
তিনি বলেন, ফেনী নদীর পানিবণ্টন ও ট্রানজিট নিয়ে আলোচনা পাকা হয়ে গেছে। তিস্তার বিষয়টি মিটলেই পথ পাবে ফেনী ও ট্রানজিট।
ত্রিপুরায় সিপিএমের দলীয় মুখপাত্র দৈনিক সংবাদপত্র ‘ডেইলি দেশের কথা’য় মমতা ব্যানার্জির এই মনোভাবের কড়া সমলোচনা করা হয়েছে। বলা হয়েছে, মমতার জন্যই সমগ্র উত্তর-পূর্বাঞ্চলের স্বার্থ বিঘ্নিত হল।
রাজ্য কংগ্রেসের মুখপাত্র রতন চক্রবর্তী বলেছেন, রাজ্যের জন্য এই দুটি সমঝোতা নিয়ে যথেষ্ট প্রত্যাশা ছিল। হল না। কী করা যাবে।
তিনি বলেন, তিস্তার পানিবণ্টন সমস্যার যাতে দ্রুত সমাধান হয়, ট্রানজিট হয় এনিয়ে দলমত নির্বিশেষে সবার কথা বলা দরকার।
তিনি আরও বলেন, মমতা ব্যানার্জি যা করেছেন তা তার রাজ্যের জন্য। তবে রাজ্যের পাশাপাশি জাতীয় স্বার্থও দেখা দরকার।
ফরওয়ার্ড ব্লকের রাজ্য সম্পাদক শ্যামল রায় বলেন, খুব আশায় ছিলাম। তিস্তা জল ঢেলে দিল আশায়। তবে তিস্তার মতো একটি র্স্পশকাতর ইস্যু নিয়ে প্রধানমন্ত্রীর দফতরের সাবধানে এগোনোর প্রয়োজন ছিল।
বিজেপির’র রাজ্য সভাপতি সুধীন্দ্র দাশগুপ্ত মনে করেন ট্রানজিট ও ফেনী চুক্তি হলে ভাল হত। তবে তিস্তাই বাধা হয়ে উঠল। একাজে প্রধানমন্ত্রীর দফতরকে আরো স্বচ্ছ ও স্পষ্ট হওয়া উচিত ছিল।
রাজ্যের বিশিষ্ট শিল্পপতি মিন্টু কর এই চুক্তি না হওয়ায় হতাশ। তিনি বলেন, এটা হলে উভয় দেশই আর্থিক ও বাণিজ্যিকভাবে লাভবান হত।
তিনি বলেন, এই সমস্যা না মেটায় ফেনী নদীর সাব্রুম অববাহিকায় বহু সেচ ও পানীয় জল সংশোধন প্রকল্প আটকে আছে । সাব্রুমবাসীও খুব আশায় ছিলেন চুক্তি হবে বলে।
বাংলাদেশ সময়: ১৩৩৩ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ০৯, ২০১১