দার্জিলিং: গোর্খা জনমুক্তি মোর্চার সভা শেষে ব্রিটিশ আমলের ঝুলন্ত সেতু পার হতে গিয়ে ব্রিজটি ছিঁড়ে খাদে পড়ে ৩২ জন নিহত ও ১৩২ জন আহত হয়েছে। সেতু ছিড়ে তারা ৭০ ফুট নিচে নদীতে পাথরের ওপর আছড়ে পড়ে।
শনিবার সন্ধ্যা সাতটার দিকে দার্জিলিংয়ের অদূরে বিজনবাড়ির চুংথুং চা বাগানের কাছে এ ঘটনা ঘটে। মৃতের সংখ্যা বাড়তে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে।
সেতুতে ১৫০ জনেরো বেশি মানুষ ছিলেন বলে ধারণা করা হচ্ছে। সেনাবাহিনী ও দমকল কর্মীরা উদ্ধার অভিযান চালায়।
দার্জিলিং হাসপাতালে আহতদের তদারকিতে থাকা স্পেশাল আইজি (দার্জিলিং) এন রমেশবাবু জানান, হাসপাতালে চিকিৎসাধীনদের মধ্যে জনা তিরিশের অবস্থা আশঙ্কাজনক। তাঁদের শিলিগুড়িতে উত্তরবঙ্গ মেডিক্যাল কলেজে পাঠানোর কাজ শুরু হয়েছে।
মোর্চার সাংগঠনিক সম্পাদক ঈশামণি পাখরিন বলেছেন, “ঘটনার সময়ে অনেক শিশু ও মহিলা ওই সেতুতে ছিল। অনেকের খোঁজ মিলছে না। আমাদের স্বেচ্ছাসেবকরা উদ্ধারের কাজে নেমেছেন। পুলিশ-প্রশাসন, দমকলও রয়েছে। তবে রাতের বেলায় পাহাড়ি নদীতে নেমে উদ্ধারের কাজ করা বেশ কঠিন। সে জন্য সমস্যা হচ্ছে। ”
খবর পেয়েই দ্রুত উদ্ধার ও চিকিৎসার কাজ করার জন্য উত্তরবঙ্গ মেডিক্যাল কলেজ-সহ হাসপাতালগুলিতে কন্ট্রোল রুম খোলার নির্দেশ দিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। মুখ্যমন্ত্রী বলেছেন, “মর্মান্তিক ঘটনা।
সরকারি সূত্রের খবর, ১৯৪২ সালে প্রায় ২২৫ ফুট দীর্ঘ ওই ঝুলন্ত সেতুটি চুংথুং চা বাগানে যাতায়াতের জন্য তৈরি হয়। পরে আরও কয়েকটি চা বাগান গড়ে ওঠে। জেলা পরিষদ থাকাকালীন কয়েকবার সেতু মেরামত করা হয়। গোর্খা পার্বত্য পরিষদের বিজনবাড়ির প্রাক্তন সিপিএম কাউন্সিলর কে বি ওয়াতার বলেন, “সুবাস ঘিসিংয়ের আমলে ১৯৮৮ সালে সেতুটি মেরামত করা হয়েছিল। তার পরে আর সংস্কার হয়নি।
বাংলাদেশ সময়: ০৭৩৪ ঘণ্টা, অক্টোবর ২৪, ২০১১