কলকাতা: দিনভর তল্লাশি চালিয়ে বুড়িশোলের জঙ্গলে আর কোনো মাওবাদীর লাশ বা আহত কাউকেই পাওয়া যায়নি। পাওয়া গেছে মাওবাদী নেত্রী সুচিত্রার ব্যাগ।
রাজ্য প্রশাসন সুত্রে জানা গেছে, ওই ব্যাগে ১৬০ গিগার পেনড্রাইভ, মাইক্রো চিপস, চিঠি, ওষুধ, কেমুফ্লেজ কাগজ, হেড ফোন, মাদুর, চাটাই, জলের বোতল ও একে৪৭ রাইফেল পাওয়া গেছে। এছাড়া নিহত মাওনেতা শশধর মাহাতোর ছবিও পাওয়া গেছে।
নিহত কিষেণজির লাশের কাছে মিলেছে তার কানে শোনার যন্ত্র, গামছা, ২টি মোবাইল, ৬টি সিম কার্ড, ১টি ডাটা কেবল, ১টি মাইক্রোচিপ, ৫ লিটারে একটি পানির বোতল ও একটি কালো ব্যাগের মধ্যে নগদ ৮০ হাজার রুপি এবং কয়েকটি চিঠি ছাড়াও গুরুত্বপূর্ণ কাগজপত্র।
গুলির আঘাতে মাওবাদী নেত্রী সুচিত্রা মাহাতো আহত বলে সন্দেহ যৌথবাহিনীর। আশেপাশের গ্রামে তার থাকার যথেষ্ট সম্ভবনা রয়েছে বলে সি আর পি এফের অনুমান। ১০ কিলোমিটার অন্তর যৌথবাহিনী মোতায়ন করা হয়েছে। টানা ৭০ ঘন্টা ধরে যৌথবাহিনীর অভিযান চলেছে।
সুচিত্রা মাহাতোর ছবি সব পত্রপত্রিকায় ছাপান হয়েছে। যাতে কেউ তাকে আশ্রয় না দেয়। গ্রামবাসীরা যাতে তাকে সাহায্য করতে না পারে তারও ব্যবস্থা করা হয়েছে।
শনিবার সকালে এডিজিএম শুভাঞ্জন রায় বলেন, শুক্রবার কিষেণজির লাশের ময়নাতদন্ত হয়নি। শনিবার সকালে তা হওয়ার পর লাশ তুলে দেওয়া হবে অন্ধ্রপ্রদেশ থেকে আসা ভাইজি দীপার কাছে।
কড়া নিরাপত্তার মধ্যে লাশটি রাখা হয়েছে মেদিনীপুর সদর হাসপাতালের মর্গে। হাসপাতালের চারদিকে কাউকে আসতে দেওয়া হচ্ছে না।
জানা গেছে, ময়না তদন্তের পর নিহত মাওবাদী নেতা কিষেণজির লাশ বিমানে পাঠানো হবে তার করিমনগরের বাড়িতে। তার কেন্দ্রীয় সরকারের তরফে রাজ্য সরকারকে প্রয়োজনীয় অনুমতি দেওয়া হয়েছে।
বাংলাদেশ সময়: ১০২২ ঘন্টা, নভেম্বর ২৬, ২০১১