কলকাতা: খুচরা ব্যবসায় বিদেশি বিনিয়োগের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ জানাতে বৃহস্পতিবার সারা ভারতে খুচরা ব্যবসায়ীরা হরতাল পালন করছে।
কলকাতাতেও সকাল ৬টা থেকে হরতাল শুরু হয়েছে।
ভারতে খুচরা ৫১ শতাংশ বিদেশি বিনিয়োগের সিদ্ধান্ত নিয়েছে কেন্দ্রীয় মন্ত্রিসভায়। ফলে দেশের ব্যবসায়ীরা ক্ষতির আশঙ্কায় এ নীতির বিরোধিতা করছে।
এরই ধারাবাহিকতায় দিল্লি, মুম্বাই ও কলকাতার ২১০টি ব্যবসায়ী সংগঠন এ হরতালে সামিল হয়েছে।
খুচরা ব্যবসায়ীরা তাদের ব্যবসায় বিদেশিদের অনুপ্রবেশ মানতে চাইছে না। কারণ তারা মনে করছেন, এতে শুধু তাদের স্বার্থ বিঘিœত হবে তাই নয়, বহু লোক কাজ হারাবে বলেও মনে করছেন তারা।
ব্যবসায়ীদের অনেক সংগঠন মনে করছেন, সরকারের বক্তব্য অনুযায়ী কৃষকরা এতে লাভবান হবে না। কারণ চাষের ক্ষেত্রেও কৃষকদের বিদেশিরা নিয়ন্ত্রণ করবে। যার ফলে এর প্রভাব খুচরা ব্যবসায় পড়বে।
নয়াদিল্লিতে বিজেপি প্রধানমন্ত্রী মনমোহন সিং ও মুখ্যমন্ত্রী শিলা দিক্ষিতের কুশপতুল দাহ করে। ২০ জায়গায় বিক্ষোভ দেখায় বিজেপির সদস্যরা।
অল ইন্ডিয়া ট্রেডার্সের প্রেসিডেন্ট নরেন্দ্র মদন সংবাদমাধ্যমে বলেন, অন্য রাজ্যের মতোই দিল্লির বেশিরভাগ দোকানই এদিন বন্ধ রয়েছে।
হাওড়ার পোস্তাবাজার, যেখানে প্রতিদিন ১০ কোটি টাকার লেনদেন হয়, তার মধ্যে সরকার রাজস্ব হিসেবে পায় ১ কোটি টাকা, সেখানেও দোকানপাট সব বন্ধ। বড়বাজারের দোকানগুলোও খোলেনি। বউবাজারে স্বর্ণব্যবসায়ীরাও এ ধর্মঘটে সামিল হয়েছে।
খুচরা ব্যবসার ক্ষেত্রে বিদেশি বিনিয়োগ নিয়ে বাম-ডান সব দলই প্রতিবাদ জানাচ্ছে। গত কয়েকদিনসহ এদিনও সংসদ এ ইস্যুতে অচল হয়ে গেছে।
প্রধানমন্ত্রী মনমোহন সিং বিরোধীদের সব বিরোধিতাকে খারিজ করে জানিয়ে দিয়েছেন, খুচরা ব্যবসার ক্ষেত্রে বিদেশি বিনিয়োগ থেকে তারা আর পিছিয়ে আসবে না। ফলে ইউপিএ-র দুটি শরিক দল তৃণমূল ও ডিএমকেসহ বিরোধীরা কংগ্রেসের বিরুদ্ধে সরব হয়েছে।
বাংলাদেশ সময়:১৬১৮ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ০১, ২০১১