কলকাতা: বিদ্যুৎ চুরির ঘটনার তদন্তে গেলে বৃহস্পতিবার রাতে দক্ষিণ ২৪ পরগনা জেলার মগরাহাট থানার নৈনান গ্রামে পুলিশের সাথে গ্রামবাসীদের ব্যাপক সংর্ঘষ হয়। এই ঘটনায় পুলিশের গুলিতে ২ নারী নিহত হয়েছেন।
স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, এলাকায় রাস্তাঘাট ও বিদ্যুতের সংযোগ দেওয়ার দাবি জানায় এলাকার মানুষ। বিদ্যুতের বেআইনি লাইন কেটে দেওয়া নিয়ে বিডিওর সঙ্গে তারা কথা বলতে চান। কিন্তু তার দেখে পাওয়া যায় নি।
এরপরই বিদ্যুতকর্মীদের সঙ্গে স্থানীয় মানুষের বচসা বাধে। এরপরে বিরাট পুলিশবাহিনী আসে উত্তেজিত জনতাকে ছত্রভঙ্গ করতে। কোন কথা বলার সুযোগ না দিয়ে পুলিশ তাদের মারতে শুরু করে বলে অভিযোগ। ঘটনাস্থলের সামনে একটি মাদ্রাসায় ঢুকে সেখানকার ছাত্রদের নির্বিচারে পুলিশ মারে বলেও অভিযোগ করা হয়েছে।
প্রশাসন সূত্রে বলা হয়েছে, পুলিশ প্রথমে লাঠি চার্জ করে ও তারপরে কাঁদানে গ্যাসের সেল ফাটায়। এরপর উত্তেজিত পুলিশ বাহিনীকে আক্রমণ করলে তারপরে গুলি চালায় তারা।
এদিন ঘটনাস্থলে কিশোরীর রেজিনা খাতুন (১৪) মৃত্যু হয়। পরে হাসপাতালে সাইদা বিবি (২৮) মৃত্যু হয়। আহতরা হাসপাতালে ভর্তি। এর মধ্যে আহত কিশোর জব্বর নাইয়া ন্যাশনাল মেডিক্যাল কলেজে ভর্তি তার অবস্থা আশঙ্কাজনক।
শুক্রবার এলাকায় পুলিশ টহল চলেছে। এলাকায় যথেষ্ট উত্তেজনা রয়েছে। ঘটনার প্রতিবাদে শনিবার ১২ ঘন্টার হরতালের ডাক দিয়েছে স্থানীয় মানুষজন।
মুখ্যমন্ত্রী মমতা ব্যানার্জি পুলিশের গুলি চালানোর ঘটনার তদন্তের কথা বলেছেন। এর পেছনে কোন রাজনৈতিক উস্কানি আছে কিনা তাও তিনি খতিয়ে দেখতে বলেছেন।
মুখ্যমন্ত্রীর নির্দেশে এদিন সকালে নৈনান গ্রাম পরিদর্শনে যান কেন্দ্রীয় মন্ত্রী মুকুল রায়, শোভন চট্টোপাধ্যায়।
বামেদের পক্ষে আবদুর রেজ্জাক মোল্লা, সুভাষ নস্কর ও সুজন চক্রবর্তী ঘটনাস্থলে যান। এলাকার মানুষের সঙ্গে কথা বলেন। এছাড়া কংগ্রেসের প্রতিনিধি দলও সেখানে যান।
বাংলাদেশ সময়: ১৬৩৭ ঘন্টা, ডিসেম্বর ২, ২০১১