আগরতলা (ত্রিপুরা): বিলোনীয়ার চন্দ্রপুরে প্রায় পাঁচশ বছরের পুরনো মসজিদ প্রাঙ্গণে শুরু হয়েছে সংহতি মেলা।
সোমবার থেকে শুরু হওয়া এই মেলা তিন দিন চলবে।
১৯৯২ সালে অযোধ্যায় বাবরি মসিজদ ধ্বংস হয়। ওই বছরই রাজনগর থেকে কিছুটা দূরে জঙ্গলের মধ্যে উদ্ধার করা হয় মসজিদটি। একেবারে ভাঙাচোরা অবস্থায়। ওই মসজিদ থেকে ঢিল ছোড়া দূরত্বে বাংলাদেশ। এর পরের বছর থেকে অর্থাৎ ১৯৯৩ সাল থেকে ওই ভাঙা মসজিদের প্রাঙ্গণে শুরু হয় সংহতি মেলা।
বর্তমানে মসজিদটি সংস্কার করা হয়েছে। এর চূড়ায় বসানো হয়েছে সাদা মার্বেল। ওই চত্বরটি সাজিয়ে গুছিয়ে করা হয়েছে পর্যটনের স্থান।
স্থানীয় বিধায়ক সুধন দাস জানিয়েছেন, এই মসজিদটি কম করে হলেও ৫০০ বছরের পুরনো। এর ঐতিহাসিক গুরুত্ব রয়েছে। ভারত সরকারের আর্কিওলজিক্যাল সার্ভেকে বলা হয়েছে, এই মসজিদটি অধিগ্রহণ করার জন্য।
প্রতিবছর সীমান্তের দুপারের মানুষ জড়ো হন এই মেলা উপলক্ষে। পারস্পরিক কুশল বিনিময় আদান প্রদান করেন তারা। এবার ঠিক একই রকম মিলনের আবহে উদযাপিত হচ্ছে সংহতি মেলা। ভারত-বাংলাদেশের শিল্পীরা সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান পরিবেশন করছেন।
এ বছর মূল সংহতি মেলার দিন অর্থাৎ ৬ ডিসেম্বর পড়েছে আশুরা। ফলে এই দিনটি একটু বিশেষ গুরুত্ব পেয়েছে এখানকার মানুষের কাছে। রাজ্যের বিভিন্ন প্রান্তে পালিত হচ্ছে মহরম।
এ দিনই ভেঙে ফেলা হয়েছিল ঐতিহাসিক বাবরি মসজিদ। ফলে দেশজুড়ে কঠোর নিরাপত্তা ও সতর্কতা জারি করা হয়েছে। ত্রিপুরাতেও জারি হয়েছে বিশেষ সতর্কতা। রাজ্যের বিশেষ বিশেষ স্থানগুলোতে নজরদারি চালাচ্ছে নিরাপত্তা কর্মীরা।
বাংলাদেশ সময়: ১৬৩০ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ০৬, ২০১১