কলকাতা: কলকাতার অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় গ্রেপ্তার হওয়া এএমআরআই হাসপাতালের ডাইরেক্ট অফ বোর্ডের ৭ সদস্যকে শনিবার আলিপুর আদালতে তোলা হয়। তাদের বিরুদ্ধে অনিচ্ছাকৃত খুনের অভিযোগ করা হয়েছে পুলিশের পক্ষে।
এদিন তাদের আলিপুর প্রধান ফৌজদারি আদালতের বিচারপতি বিবেকানন্দ সুরের এজলাশে মামলাটি ওঠে। আসমীদের পক্ষে কোন আইনজীবী এদিন দাঁড়ননি।
বিচারপতি এদিন ৬ আসামি- এসকে টোডি, রবি টোডি, প্রসান্ত গোয়েঙ্কা, দয়ানন্দ আগরওয়াল, মনিশ গোয়েঙ্কাকে ১০ দিনের পুলিশ রিমাণ্ডে রাখার নির্দেশ দেন। অপর আসামী রাধেশ্যাম আগরওয়ালকে অসুস্থ থাকার জন্য ২০ ডিসেম্বর অন্য সবার সাথে আদালতে উপস্থিত থাকার জন্য নির্দেশ দেন।
এদিকে এদিন বিকেলে আদালত চত্তরে দোষীদের শাস্তি ও আইনজীবীদের তাদের পক্ষে না দাঁড়ানোর দাবি নিয়ে আলিপুর বার ও ল ক্লার্ক এ্যাসোশিয়েশানের পক্ষ থেকে মিছিল ও বিক্ষোভ করা হয়।
এদিকে মুখ্যমন্ত্রী মমতা ব্যানার্জি ঘোষণা দিয়েছেন এ ঘটনায় বিচার বিভাগীয় তদন্ত করা হবে।
এএমআরআই অগ্নিকাণ্ডে শুক্রবার রাত সাড়ে ১১টায় আরও একজনের মৃত্যু হওয়ায় মৃতের সংখ্যা বেড়ে হল ৯০। ৩টি বাদে সব মৃতদেহ সনাক্ত করনের কাজ হয়ে গেছে।
অন্যদিকে, এএমআরআই-এর তিনটি ইউনিটের লাইসেন্স বাতিল করে দিয়েছে রাজ্য সরকার। এএমআরআই ঢাকুরিয়া, মুকুন্দপুর, সল্টলেককে বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে।
এএমআরআই-এর রোগীদের অন্যান্য হাসপাতালে স্থানান্তরিত করা হচ্ছে। এএমআরআই সব ইউনিট খালি করে দিতে রাজ্য সরকার নির্দেশ দিয়েছে। রাজ্য সরকার বেসরকারি হাসপাতালের অবকাঠামোর জন্য নতুন আইন করতে চলেছে বলে মহাকরণ সুত্রে জানা গেছে।
বাংলাদেশ সময়: ২১২৩ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ১০, ২০১১