কলকাতা: একের পর এক অসুস্থকে আনা হচ্ছে হাসপাতালে। অনেককে অ্যাম্বুলেন্সে তুলে পাঠিয়ে দেওয়া হচ্ছে কলকাতার হাসপাতালে।
ডায়মন্ড হারবার মহকুমা হাসপাতালে বৃহস্পতিবার সকালে ওয়ার্ডগুলিতে ঘুরতে ঘুরতে হঠাৎ চোখে পড়ল একটি শিশুর মুখ। একগাদা লাশের পাশে তারও চিকিৎসা চলছে। জানা গেল, বিষাক্ত মদ্যপানে অসুস্থ হয়ে পড়েছে ওই শিশুও।
নাম-ঠিকানা জিজ্ঞাসা করায় বলল, ‘আমার নাম অমিত মাকাল। বাবা কার্তিক মাকাল। ’
জানা গেল, মন্দিরবাজার থানা এলাকার ভাড়িউড়ানের বাসিন্দা ১২ বছরের অমিতও বিষাক্ত মদ্য পান করে অসুস্থ হয়ে পড়েছে। কখনও স্কুলের মুখ না দেখা অমিত মাছ ধরে দিন কাটায়।
পাশেই ছিলেন ওর বাবা কার্তিক মাকাল। বললেন, ‘সম্পর্কিত ঠাকুর্দা সন্ন্যাসী মাকালের সঙ্গে ছেলেটা মাঝে-মধ্যেই চোলাই খেতে যেত। মঙ্গলবার বিকেলেও গিয়েছিল। সন্ধ্যাবেলা ছেলেটার মাথা ঘুরছিল। গা বমিবমি করছিল। বদহজম ভেবে গা করিনি। পরে বাড়াবাড়ি হওয়ায় হাসপাতালে নিয়ে আসা। ’
চিকিৎসকরা জানিয়েছেন, সঙ্কটজনক অবস্থা কাটিয়ে উঠতে পারেনি অমিত। আর অমিতের বাবা জানাচ্ছেন, এলাকার চোলাই মদের ভাটি ছিল ৫টি। গত ৬ মাসে তা বেড়ে হয়েছে ৯টি।
ভারতের পশ্চিমবঙ্গের দক্ষিণ চব্বিশ পরগণার মগরাহাটের সংগ্রামপুরে বিষাক্ত মদ্যপানে গুরুতর অসুস্থ হয়ে ১০১ জন মারা গেছে। মৃতদের সবাই খেটে খাওয়া মানুষ।
বাংলাদেশ সময়: ১৩১২ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ১৫, ২০১১