কলকাতা: ‘কংগ্রেস নয়, সিপিএমের ‘বি’ টিম তৃণমূল কংগ্রেস’ বলে উল্লেখ করেছেন কংগ্রেস সাংসদ দীপা দাশমুন্সি। বুধবার ধর্মতলায় এক সমাবেশে তিনি তৃণমূলকেই সিপিএমের ‘বি’ টিম হিসেবে উল্লেখ করেন।
ধানের সহায়ক মূল্যের দাবিতে এদিন কংগ্রেসের ডাকে মেট্রো চ্যানেলের সমাবেশে রাজ্য কংগ্রেসের সমস্ত শীর্ষ নেতৃত্বই মুখ্যমন্ত্রীর তীব্র সমালোচনা করেন। সকলের গলার সুরই ছিল এক। রাজ্যের বিভিন্ন জেলা থেকে এদিন ধান ও লাঙল নিয়ে এই বিক্ষোভে শামিল হন কৃষকরা।
মুখ্যমন্ত্রীর সমালোচনা করতে গিয়ে রাজ্যের সেচমন্ত্রী মানস ভূঁইয়া বলেন, কোনো বিষয়ে সরকারের দৃষ্টি আকর্ষণ করতে গেলেই চক্রান্ত হয়ে গেল? সরকার নানান সমস্যার সমাধানে ব্যর্থ হচ্ছে। এটাও কী কংগ্রেসের দোষ?
তিনি বলেন, সারের ওপর থেকে ভর্তুকি তুলে নেওয়ার যে অভিযোগ রাজ্যের তরফে করা হচ্ছে, তা ঠিক নয়। কেন্দ্র কোথাও ভর্তুকি তোলেনি। তেমনি ২০ লক্ষ টন ধান সঞ্চয় করার পরিকল্পনা ছিল রাজ্যের। ধান সংগ্রহে ব্যর্থ হয়েছে সরকার। কৃষকরা ধানের ন্যায্য দাম পাচ্ছেন না। ফলে আত্মঘাতী হচ্ছেন কৃষক। এর জন্য সরকারই দায়ী।
তিনি এদিন রীতিমত হুমকি দিয়ে বলেন, রাজ্যসরকার জনবিরোধী সিদ্ধান্ত নিলে আমরা প্রতিবাদ করবই। প্রয়োজনে মন্ত্রীপদ ছাড়তেও রাজি আছি।
একই সুর শোনা গেল কংগ্রেস সাংসদ দীপা দাসমুন্সির গলায়ও। তিনি বলেন, রাজ্যে পরিবর্তনের যে কথা বলা হচ্ছে তা শুধু পতাকার রং বদলের। শাসনের কোন পরিবর্তন হয়নি।
তিনি বলেন, আগে রাজ্যে জেলায় জেলায় সিপিএমের গুন্ডারা অত্যাচার চালাত। এখন তৃণমূল এই কাজে যুক্ত হয়েছে।
তিনিও হুঁশিয়ারি দিয়ে বলেন, কংগ্রেসের সঙ্গে জোট গড়েই রাজ্যে সরকার গড়েছে তৃণমূল। একথা ভুলে গেলে চলবে না। আমাদের সিপিএমের ‘বি’ টিম বলা হচ্ছে। অথচ কেন্দ্রে লোকপাল বিল প্রশ্নে সিপিএমের সঙ্গে হাত মিলিয়েছে তৃণমূল।
এদিন সমাবেশ মঞ্চে দীপা দাসমুন্সি ও মানস ভূইয়া ছাড়াও কংগ্রেসের পক্ষে উপস্থিত ছিলেন প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি প্রদীপ ভট্টাচার্য, রাজ্যের যুব কংগ্রেস সভাপতি মৌসম বেনজির নূর প্রমুখ।
মৌসম বলেন, সরকারের কাজের বিরুদ্ধে সরব হয়েছি বলেই কী আমরা বি টিম।
বাংলাদেশ সময়: ১৮৩০ ঘন্টা, জানুয়ারি ০৪, ২০১২