কলকাতা : উত্তর দিনাজপুরের রায়গঞ্জ ইউনিভার্সিটি কলেজে নিজের কক্ষেই প্রহৃত হলেন অধ্যক্ষ দিলীপ দে সরকার। বৃহস্পতিবার দুপুরে তৃণমূল ছাত্র পরিষদের সমর্থকরা তাকে ব্যাপক মারধর করে।
স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, বৃহস্পতিবার দুপুরে রায়গঞ্জ ইউনিভার্সিটি কলেজের ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ দিলীপ দে সরকারের কাছে ডেপুটেশন জমা দিতে যায় তৃণমূল ছাত্র পরিষদের সদস্যরা। কিন্তু দলীয় পতাকা হাতে কলেজে ঢুকেই ভাঙচুর চালাতে শুরু করে তারা। অধ্যক্ষের ঘরে ঢুকে বিক্ষোভ দেখাতে থাকে তৃণমূল ছাত্র পরিষদের সদস্যরা। তাকে ঘর থেকে টেনে হিঁচড়ে বের করে আনা হয়।
তারপর কলেজ চত্বরেই পুলিসের সামনে তাকে আর এক দফা মারধর করা হয়। ঘটনার সময় উপস্থিত ছিলেন স্থানীয় তৃণমূল কাউন্সিলর ভোলা মুখার্জি ও তৃণমূল নেতা তিলক চৌধুরী। গোটা ঘটনায় ক্ষুব্ধ ও ব্যথিত অধ্যক্ষ পদত্যাগের ইচ্ছা প্রকাশ করেছেন।
কলেজের অধ্যাপকদের অভিযোগ, কাছেই কয়েকজন পুলিশ দাঁড়িয়ে থাকলেও, তারা অধ্যক্ষকে মারধরের সময় বাঁচাতে এগিয়ে আসেনি। লোহার রড দিয়ে আঘাত করা হয় তার বুকে। তাকে বাঁচাতে গিয়ে আক্রান্ত হন ওই কলেজেরই অধ্যাপক সুব্রত সাহা। পরে অবশ্য তাকে উদ্ধার করে কলেজের বাইরে নিয়ে যায় পুলিশ। ব্যাপক ভাঙচুর চলে ওই কলেজে। এই ন্যক্কারজনক ঘটনার জেরে অনির্দিষ্টকালের জন্য বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে কলেজ।
স্থানিয় সূত্রটি আরো জানাচ্ছে, ঘটনার সূত্রপাত গত বুধবার। তৃণমূল ছাত্র পরিষদের কর্মী তপন নাগ মনোনয় পত্র জমা দিতে গেলে তাকে ধরে ছাত্র পরিষদের সমর্থকেরা মারধর করে বলে অভিযোগ।
ওই ঘটনার প্রতিবাদে বৃহস্পতিবার উত্তর দিনাজপুর জেলা তৃণমূল কার্যনির্বাহী সভাপতি তিলক চৌধুরী এবং তার স্ত্রী, রায়গঞ্জ পুরাসভার কাউন্সিলর তথা রাজ্য মহিলা কমিশনের সদস্যা কেয়া চৌধুরীর নেতৃত্বে একটি বিশাল মিছিল রায়গঞ্জ ইউনিভার্সিটি কলেজে ডেপুটেশন জমা দিতে গেলে ছাত্র পরিষদের সঙ্গে শুরু হয় সংঘর্ষ।
ঘটনার প্রতিবাদে একটি মিছিলও করেন অধ্যাপকরা। ছিলেন কলেজের শিক্ষাকর্মীরাও। এই ঘটনার ব্যাপক চ্যাঞ্চলের সৃস্টি হয়েছে রাজ্যে শিক্ষামহলে।
বাংলাদেশ সময় : ০১৫৭ ঘণ্টা, জানুয়ারি ০৬, ২০১২