কলকাতা : পঞ্চায়েত নির্বাচনকে নিশানা করে দলীয় সংগঠনকে গুছিয়ে নেওয়ার চেষ্টা শুরু করেছে সিপিএম।
শুক্রবার পূর্ব মেদিনীপুর জেলার তমলুকে সিপিএম’র জেলা সম্মেলনের প্রকাশ্য সমাবেশে মিললো তারই আগাম ইঙ্গিত।
২০০৮ সালের পঞ্চায়েত নির্বাচন থেকেই নন্দীগ্রামের জেলা পূর্ব মেদিনীপুরে বামদের বিপর্যয় শুরু হয়। ২০১১’র বিধানসভা ভোটে এ জেলার একটি আসনেও জিততে পারেননি বামফ্রন্ট প্রার্থীরা।
সিপিআইএম’র অভিযোগ, তৃণমূলের সন্ত্রাসে এই জেলাতে দলের বহু নেত-কর্মী ঘরছাড়া। অন্যান্য জেলার তুলনায় পূর্ব মেদিনীপুরে দলীয় সংগঠন অনেক বেশি কোণঠাঁসা।
আগামী পঞ্চায়েত নির্বাচনকে সামনে রেখে এ জেলায় নিজেদের অবস্থান দৃঢ় করতে চাইছে সিপিএম।
এদিন সাবেক মুখ্যমন্ত্রী জনসভায় উপস্থিত কর্মী-সমর্থকদের বলেন, যেখান থেকে হাঁটতে শুরু করেছিলাম, সেখান থেকেই আবার শুরু করতে হবে। আপনারা বুঝতে পারছেন তো কিসের কথা বলছি? পঞ্চায়েত নির্বাচন থেকে ঘুরে দাঁড়াতে হবে।
নন্দীগ্রামের জমি ইস্যুতেই বামেদের পিছুহটা শুরু হয় পূর্ব মেদিনীপুরে। আর সেই জমি ইস্যুকেই পঞ্চায়েত ভোটে হাতিয়ার করতে চলেছে বামেরা। সিপিএম নেতৃত্বের অভিযোগ, তাদের আমলে পাট্টা বিলি করা জমি ভূমিহীন কৃষকদের থেকে কেড়ে নিয়েছে তৃণমূল।
বিগত ৭ মাসে এ রাজ্যে ১২ জন আত্মহত্যা করেছেন। এদিন তমলুকের সমাবেশে কৃষক আত্মহত্যা নিয়ে সরব হন বিমান বসু।
তিনি বলেন, কৃষক কি শখে আত্মহত্যা করছে? শখে তো কেউ আত্মহত্যা করে না।
পঞ্চায়েত নির্বাচনের আগে পূর্ব মেদিনীপুর জেলায় কর্মীদের মনোবল ফিরিয়ে আনতে রাজ্য সিপিআইএম শীর্ষ নেতৃত্বের প্রায় সকলেই জেলা সম্মেলনে প্রকাশ্য সমাবেশে উপস্থিত ছিলেন। কিন্তু উল্লেখযোগ্যভাবে এই জেলার হেভিওয়েট নেতা লক্ষ্মণ শেঠ এদিন উপস্থিত ছিলেন না।
বাংলাদেশ সময়: ০১৪৭ ঘণ্টা, জানুয়ারি ০৭, ২০১২