কলকাতা: রায়গঞ্জ কলেজে অধ্যক্ষকে মারধরের ঘটনার দু`দিন পর আদালতে আত্মসমর্পণ করলেন ঘটনার অন্যতম প্রধান অভিযুক্ত তৃণমূল নেতা তিলক চৌধুরী। আর এজলাসে দাঁড়ানোর চার ঘণ্টার মধ্যেই জামিন পেলেন তিনি।
অধ্যক্ষ নিগ্রহকারী জেলা স্তরের ৩ তৃণমূল নেতা এখনও রয়ে গিয়েছেন ধরা ছোঁয়ার বাইরে। শুক্রবার ওই ঘটনায় যে ৯ জনকে পুলিস গ্রেফতার করে তারা নেহাতই তৃণমূলের নীচুতলার কর্মী। ধৃতদের বিরুদ্ধে অভিযোগও আনা হয় জামিন যোগ্য ধারায়। তারা জামিনও পেয়ে যান।
রায়গঞ্জ ইউনিভার্সিটি কলেজের ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ দিলীপ দে সরকারকে মারধরের সময় তৃণমূলের ৪ জেলাস্তরের নেতা হামলার সময় ঘটনাস্থলে ছিলেন। একাধিক ভিডিও ছবিতে দেখা গেলেও তাদের কাউকেই গ্রেফতার করতে পারেনি জেলা পুলিস। তবে শেষ পর্যন্ত দলের নির্দেশে তিলক চৌধুরীর আদালতে আত্মসমর্পণের ফলে কিছুটা স্বস্তি পেয়েছে প্রশাসন।
তৃণমূলের নীচুতলার যে ৯ জন কর্মীকে পুলিস গ্রেফতার করেছিল, তাদের জামিন যোগ্য ১৪৩, ৩২৫ ও ৪২৭ ধারায় গ্রেফতার করা হয়।
ফলে তারা শুক্রবারই জামিন পেয়ে যান। ইতোমধ্যে ঘটনার জেরে রায়গঞ্জ থানার আইসি জ্যোতিষচন্দ্র রায়কে বদলির নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। অথচ ঘটনার সময় স্ত্রীর মৃত্যুর কারণে ছুটিতে ছিলেন তিনি।
ভারতীয় সময়: ১৭০৭ ঘন্টা, জানুয়ারি ০৭, ২০১২