ঢাকা, শনিবার, ১৭ কার্তিক ১৪৩১, ০২ নভেম্বর ২০২৪, ০০ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

দিল্লি, কলকাতা, আগরতলা

শেখ হাসিনাকে স্বাগত জানাতে ব্যানারে তোরণে সজ্জিত ত্রিপুরা

শামীম খান, আগরতলা থেকে | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ০০৪০ ঘণ্টা, জানুয়ারি ১০, ২০১২
শেখ হাসিনাকে স্বাগত জানাতে ব্যানারে তোরণে সজ্জিত ত্রিপুরা

আগরতলা থেকে: বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে স্বাগত জানাতে ব্যাপক প্রস্তুতি নিচ্ছে ত্রিপুরা রাজ্য সরকার।

শেখ হাসিনার এই সফরকে কেন্দ্র করে আগরতলাসহ ত্রিপুরার সীমান্ত এলাকাতেও নজরদারি বাড়ানো হয়েছে।

সীমান্তের চেক পোস্টগুলোতেও কড়া নিরাপত্তা ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। ত্রিপুরার রাজধানী আগরতলাজুড়ে নিরাপত্তা বলয় তৈরি করা হয়েছে।

১১ জানুয়ারি বুধবার শেখ হাসিনা দুই দিনের সফরে আগরতলা আসছেন। এদিন ভারতের উপ-রাষ্ট্রপতি হামিদ আনসারিও দিল্লি থেকে আগরতলা আসবেন।

বাংলাদেশের প্রতিবেশী এই রাজ্যে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সফরকে কেন্দ্র করে আগরতলায় উৎসবের আমেজ লক্ষ্য করা যাচ্ছে।

আগামী ১২ জানুয়ারি শেখ হাসিনা ত্রিপুরা কেন্দ্রীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের নবম সমাবর্তন অনুষ্ঠানে যোগ দেবেন। এতে তাকে সম্মানসূচক ডিলিট ডিগ্রি দেওয়া হবে।

এদিকে রাজ্য সরকারের পক্ষ থেকেও শেখ হাসিনাকে নাগরিক সংবর্ধনা দেওয়ার প্রস্তুতি নেওয়া হয়েছে।

আগরতলাজুড়ে সাজসাজ রব পড়ে গেছে। রাস্তায় নির্মাণ করা হয়েছে অসংখ্য তোরণ। এইসব তোরণে শোভা পাচ্ছে শেখ হাসিনার ছবি।

শেখ হাসিনাকে স্বাগত জানিয়ে রাস্তায় রাস্তায় টানানো হয়েছে ব্যানার, ফেস্টুন। এর মধ্যে গত সোমবার দুপুরে বিমানবন্দর থেকে ত্রিপুরা কেন্দ্রীয় বিশ্ববিদ্যালয় পর্যন্ত গাড়ীর মহড়া দেওয়া হয়।

নিরাপত্তা ব্যবস্থা নিশ্চিত করতে আগরতলাজুড়ে মোতায়েন করা হয়েছে, ত্রিপুরা স্টেট রাইফেলস (টিএসআর)। রাজ্য পুলিশকেও নিরাপত্তার বিশেষ দায়িত্ব দিয়ে সতর্ক রাখা হয়েছে।

প্রসঙ্গত, বাংলাদেশের মানুষের কাছে আগরতলার ঐতিহাসিক গুরুত্ব রয়েছে। বাংলাদেশের স্বাধীনতা সংগ্রামের ইতিহাসের সঙ্গে আগতলার নাম গুরুত্বের সঙ্গে উঠে আসে।

পাকিস্তান শাসনামলে তৎকালীন সামরিক শাসক জেনারেল আইয়ুব খান বাঙালির অবিসংবাদিত নেতা জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের নামে আগরতলা ষড়যন্ত্র মামলা দিয়ে কারাবন্দি করে।

বঙ্গবন্ধুর মুক্তির দাবিতে বাঙালির দুর্বার আন্দোলনে নতি স্বীকার করে শেখ মুজিবকে ছেড়ে দিতে বাধ্য হয় আইয়ুব সরকার। ১৯৬৯-এর গণঅভ্যুত্থানের মধ্য দিয়ে তিনি কারাগার থেকে মুক্তি পান।

এই ঘটনার পরই শেখ মুজিবুর রহমান বঙ্গবন্ধু উপাধিতে ভূষিত হন।

১৯৭১ এর মহান মুক্তিযুদ্ধে বর্বর পাক হানাদার বাহিনীর হত্যাযজ্ঞ ও নির্যাতনের হাত থেকে রেহাই পেতে লাখ লাখ মানুষ সীমান্ত পেরিয়ে আগরতলাসহ ত্রিপুরার বিভিন্ন স্থানে আশ্রয় নেয়।

বাংলাদেশ সময়: ০০৩৫ ঘণ্টা, জানুয়ারি ১০, ২০১২

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।