কলকাতা: বাজারের ওপর থেকে সরকারি নিয়ন্ত্রণ তুলে নিচ্ছে বর্তমান রাজ্য সরকার। এখন থেকে শিক্ষা ও স্বাস্থ্য বাজার থেকে কিনতে হবে।
তিনি বলেন, বিশ্বব্যাপী অর্থনৈতিক সঙ্কট চলেছে। সঙ্কটের মুখে পড়েছে পুজিবাদী দেশগুলি। তৃতীয় বিশ্বের ওপর থেকে সেই ঘাটতি মেটাতে চাইছে পুজিবাদীরা। কেন্দ্রীয় উদারনীতির প্রতিফলন ঘটছে রাজ্যে।
রাজ্যের শিক্ষা নিয়ে তিনি বলেন, তৃণমূলের শাসনকালে শিক্ষকেরা কোনো মর্যাদা পাচ্ছে না। কলেজে কলেজে অধ্যক্ষ নিগ্রহ তারই প্রমাণ।
মুখ্যমন্ত্রী বলেছেন, অধ্যক্ষদের রাজনীতি করা চলবে না এদিন তা নিয়ে প্রশ্ন তোলেন সূর্যকান্ত মিশ্র।
তিনি বলেন, শান্তিনিকেতন বিশ্বভারতীর আচার্য প্রধানমন্ত্রী। তিনিও তো কোন রাজনৈতিক দলের প্রতিনিধি।
তিনি আরও বলেন, পিপিপি মডেলকে তৃণমূল পাবলিক-প্রাইভেট নয়, প্রাইভেট-পাবলিক মডেলে পরিণত করতে চাইছে। রেডিমেড আইন বানাচ্ছে সরকার। কারো মতামত নেয় না। একতরফা অর্ডিন্যান্স আনছে সরকার।
এদিন তিনি আরো অভিযোগ করেন, মুখ্যমন্ত্রী মাওবাদীদের ব্যবহার করেছেন।
এদিকে, ছাত্র সংসদ নির্বাচন পরিচালনার জন্য এদিন রাজ্য নির্বাচন কমিশনের দ্বারস্থ হয় শিক্ষা দপ্তর। কলেজে কলেজে নির্বাচন নিয়ে যে অশান্তি হচ্ছে তারই নিরসনে এই পদক্ষেপ।
কিন্তু নির্বাচন কমিশন পরিস্কার জানিয়ে দিয়েছে, পঞ্চায়েত, বিধানসভা, রাজ্যের লোকসভা নির্বাচন পরিচালনা করা তাদের দায়িত্ব, অন্য কোনো নির্বাচন নয়। এ ব্যাপারে তারা পরামর্শ দিতে পারেন মাত্র।
বাংলাদেশ সময়: ২০১৬ ঘণ্টা, জানুয়ারি ১৩, ২০১২