ঢাকা: বাংলাদেশে তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি, পশুপালন ও দুগ্ধজাত খাত, নবায়নযোগ্য জ্বালানি খাত, বিমানবন্দর আধুনিকীকরণ, কার্গো ভিলেজে সুবিধা বাড়ানো এবং পর্যটনের বিকাশে আন্তর্জাতিকমানের হোটেল নির্মাণ বিনিয়োগে আগ্রহী কানাডার ব্যবসায়ীরা।
রোববার (৪ মে) বাণিজ্য উপদেষ্টা শেখ বশিরউদ্দীনের সঙ্গে বৈঠক করেছে কানাডার ইন্দো-প্যাসিফিক বাণিজ্য প্রতিনিধিদল।
বৈঠকে তারা দ্বিপক্ষীয় বাণিজ্য-বিনিয়োগ ও সহযোগিতা বাড়ানো নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা করেন।
কানাডা ও বাংলাদেশের মধ্যে বাণিজ্য-বিনিয়োগ সম্প্রসারণের ক্ষেত্রগুলো চিহ্নিত করার ওপর গুরুত্বারোপ করে শেখ বশিরউদ্দীন বলেন, উইন উইন বিজনেস রিলেশন দুদেশের জন্য সুবিধাজনক হবে।
কানাডাকে বাংলাদেশে আরও বেশি বিনিয়োগের আহ্বান জানিয়ে উপদেষ্টা বলেন, বাংলাদেশে নবায়নযোগ্য জ্বালানির বেশ চাহিদা রয়েছে। চট্টগ্রামের মিরসরাই অর্থনৈতিক অঞ্চলে ইন্ডাস্ট্রিয়াল ব্যবহারের জন্য দীর্ঘমেয়াদে জমি বরাদ্দ দেওয়া হচ্ছে। কানাডার ব্যবসায়ীরা এখানে বিনিয়োগ করে নিজেরা লাভবান হতে পারে এবং বাংলাদেশকেও লাভবান হতে সাহায্য করতে পারে।
পল থোপিল বলেন, বাংলাদেশ কানাডার অন্যতম প্রধান বাণিজ্যিক অংশীদার। বাংলাদেশের তৈরি পোশাক শিল্পের একটি উল্লেখযোগ্য ক্রেতাও দেশটি। এ সময় তিনি দুদেশের মধ্যে বাণিজ্য বাড়াতে জয়েন্ট ওয়ার্কিং গ্রুপকে কার্যকর করা ও এয়ার সার্ভিস অ্যাগ্রিমেন্টের ওপর গুরুত্বারোপ করেন।
কানাডার ইন্দো-প্যাসিফিক বাণিজ্য প্রতিনিধি বলেন, বাংলাদেশে তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি, পশুপালন ও দুগ্ধজাত খাত, নবায়নযোগ্য জ্বালানি খাত, বিমান বন্দর আধুনিকীকরণ, কার্গো ভিলেজে সুবিধা বাড়ানো এবং পর্যটনের বিকাশে আন্তর্জাতিকমানের হোটেল নির্মাণ বিনিয়োগে তার দেশ আগ্রহী।
বাংলাদেশে নিযুক্ত কানাডার হাইকমিশনার অজিত সিং, সিনিয়র ট্রেড কমিশনার ডেবরা বয়েস, বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের সচিব মাহবুবুর রহমান, বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটন মন্ত্রণালয়ের সচিব নাসরীন জাহান ও বাংলাদেশ বেসামরিক বিমান চলাচল কর্তৃপক্ষের চেয়ারম্যান এয়ার ভাইস মার্শাল মো. মঞ্জুর কবীর ভূঁইয়া এ সময় উপস্থিত ছিলেন।
জিসিজি/আরবি