আট ব্যাংকের কাছে থেকে আরও ১০ কোটি ৪০ লাখ ডলার কিনেছে বাংলাদেশ ব্যাংক। প্রতি ডলার ১২১.৭৮ টাকা থেকে ১২১.৮০ টাকা দরে এসব ডলার কেনা হয়েছে।
এ নিয়ে বাণিজ্যিক ব্যাংক থেকে বাংলাদেশ ব্যাংকের ডলার কেনার পরিমাণ দাঁড়াল ১৯৮ কোটি ১০ হাজার ডলার।
সোমবার (৬ অক্টোবর) এ তথ্য জানিয়েছে বাংলাদেশ ব্যাংক।
ডলারের চাহিদা কমে যাওয়ায় বাণিজ্যিক ব্যাংকগুলোতে বাড়তি ডলার জমা হতে থাকে। এ অবস্থায় বাজারে ডলারের দাম পড়ে যাওয়া রোধ করতে মাল্টি প্রাইস অ্যাকশন মেথডে ব্যাংকগুলোর কাছে থেকে এ ডলার কিনে নেয় কেন্দ্রীয় ব্যাংক।
প্রবাসী আয় প্রবাহ বৃদ্ধি, রপ্তানি আয় বৃদ্ধি অব্যাহত থাকা ও বৈদেশিক সাহায্যের কিস্তি ছাড়ের কারণে ডলার প্রবাহ বৃদ্ধি পায়। একই সময়ে আমদানি ব্যয় কিছুটা নিয়ন্ত্রণ করার কারণে ব্যাংকগুলোতে বাড়তি ডলার জমা হতে থাকে।
ডলার উদ্বৃদ্ধ হওয়ার পেছনে পাচার নিয়ন্ত্রণে বাংলাদেশ ব্যাংকের উদ্যোগও ভুমিকা রাখে। বর্তমান সরকার বিদেশে পাচার হয়ে যাওয়া অর্থ ফেরত আনতে নানামুখী উদ্যোগের পাশাপাশি নতুন করে পাচার রোধে কঠোর অবস্থান নেয়। এতে হুন্ডিও কিছুটা কমে। এতে ডলারের জন্য দ্বারস্থ হওয়ার পরিবর্তে মানুষ ডলার বিক্রি করে, যা বাংলাদেশ ব্যাংকের বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভে যোগ হচ্ছে।
বাংলাদেশ ব্যাংকের তথ্য অনুযায়ী, চলতি বছরের জুলাই থেকে সোমবার (৬ অক্টোবর) পর্যন্ত বিভিন্ন বাণিজ্যিক ব্যাংক থেকে প্রায় ১৯৮ কোটি ১০ লাখ ডলার কিনেছে।
বাংলাদেশ ব্যাংকের গৃহীত নানা উদ্যোগের কারণে ডলারের দাম এখন পুরোপুরি বাজারের ওপর নির্ভরশীল হয়ে উঠেছে। এটি আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিলের (আইএমএফ) একটি অন্যতম শর্ত ছিল। আইএমএফের ঋণের শর্ত অনুযায়ী, বাংলাদেশের যে পরিমাণ রিজার্ভ থাকার কথা, বর্তমানে তার চেয়ে বেশি রিজার্ভ রয়েছে।
জেডএ/এমজেএফ