ঢাকা, সোমবার, ১০ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৫ নভেম্বর ২০২৪, ২৩ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

অর্থনীতি-ব্যবসা

মাত্র ১০ টাকা বেতনে বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়া বাংলাদেশেই সম্ভব

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ২৩৫৬ ঘণ্টা, মার্চ ৩, ২০১৯
মাত্র ১০ টাকা বেতনে বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়া বাংলাদেশেই সম্ভব বক্তব্য রাখছেন এনবিআর’র চেয়ারম্যান মোশাররফ হোসেন ভূঁইয়া। ছবি: বাংলানিউজ

ঢাকা: মাত্র ১০ থেকে ১২ টাকা বেতনে পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়া শুধু বাংলাদেশেই সম্ভব। বিশ্বের কোনো দেশের তুলনায় এতো সস্তায় পড়ালেখা হয় না। আবার দেশে যতো বেসরকারি স্কুল আছে ঢাকা শহরের দু-চারটি বাদে সবগুলোর বেতন সরকার দেয়। সরকার বিশ্বের সব উন্নত দেশের তুলনায় বেশি জনকল্যাণে কাজ করে। অথচ কর দেওয়া মানুষের সংখ্যা কম, যা খুব লজ্জার।

রোববার (৩ মার্চ) বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমিতে কর অঞ্চল-১ আয়োজিত ব্যাংক, আর্থিক প্রতিষ্ঠান ও এয়ারলাইন্সসমূহের সঙ্গে অংশীজন রাজস্ব সংলাপে এসব মন্তব্য করেন রাজস্ব বোর্ডের (এনবিআর) চেয়ারম্যান মোশাররফ হোসেন ভূঁইয়া।

মোশাররফ হোসেন ভূঁইয়া বলেন, আমরা যখন রাস্তায় বেরুই একটু ভাঙা দেখলেই বলি দেশের উন্নয়ন হয়নি।

অথচ ওই রাস্তাটি সরকার তৈরি করেছে, সরকারি হাসপাতালগুলোয় ফ্রি চিকিৎসা, গরিব, বিধবা, বয়স্কভাতা দিচ্ছে সরকার। মাত্র ১০ থেকে ১২ টাকা বেতনে পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়ার সুযোগ করে দিচ্ছে সরকার, ঢাকা শহরের দু-চারটি বাদে সব বেসরকারি স্কুলের বেতন সরকার দেয়। অথচ সে বিষয়ে কেউ কথা বলে না। এর মূল অর্থের যোগানদাতার ভূমিকায় জাতীয় রাজস্ব বোর্ড।

এনবিআর চেয়ারম্যান বলেন, দেশে রাজস্ব আদায় কম হলে ব্যাংক ঋণ বা সঞ্চয়পত্র থেকে ঋণ নিতে হবে সরকারকে। কিন্তু সঞ্চয়পত্রের সুদ হার অনেক বেশি। আবার বিদেশ থেকে ঋণ নিলেও বড় অঙ্কের সুদ গুণতে হবে। আমাদের রাজস্ব বাড়াতে হবে, রাজস্ব না এলে উন্নয়ন কি করে হবে।

বর্তমান দেশের মানুষ ১৮ কোটি অথচ এর তুলনায় কর রিটার্ন দেয় মাত্র ২০ লাখ। এর চেয়ে লজ্জার আর কি হতে পারে।

তিনি বলেন, আমাদের ট্যাক্স জিডিবি রেশিও কম। বহু মানুষ এখনও ট্যাক্স আওতার বাইরে। বিশেষ করে যারা ছোট ব্যবসা করেন তাদের এ আওতায় আনলে ট্যাক্স বহুগুনে বেড়ে যাবে। প্রতিটি ফ্ল্যাট বাসায় আমাদের লোকবল যাবে কর দেওয়া সবাইকে উৎসাহিত করা হবে। আমরা করভীতি দূর করে কিভাবে করের আওতা বাড়ানো যায় সে বিষয় নিয়ে কাজ করছি।

ঢাকা কর অঞ্চল-১ এর কর কমিশনার নাহার ফেরদৌসী বেগম সভাপতিত্বে আয়েজিত অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন এনবিআর সদস্য গ্রেড-১ (কর প্রশাসন ও মানবসম্পদ ব্যবস্থাপনা) কালিপদ হালদার, সোনালী ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক মো. ওবায়েদ উল্লাহ আল মাসুদ, রিলায়েন্স ফিন্যান্সের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ড. মো. জালাল উদ্দিন, কাতার এয়ারওয়েজের কান্ট্রি ম্যানেজার (বাংলাদেশ) জয়প্রকাশ নায়ার প্রমুখ।

বাংলাদেশ সময়: ১৮৫২ ঘণ্টা, মার্চ ৩, ২০১৯
ইএআর/এএটি

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।