ঢাকা, রবিবার, ২৩ আষাঢ় ১৪৩১, ০৭ জুলাই ২০২৪, ২৯ জিলহজ ১৪৪৫

অর্থনীতি-ব্যবসা

পাট দিবসে ১৮ ব্যক্তি-প্রতিষ্ঠানকে পুরস্কৃত করবে সরকার

স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ০০৩৩ ঘণ্টা, মার্চ ৫, ২০১৯
পাট দিবসে ১৮ ব্যক্তি-প্রতিষ্ঠানকে পুরস্কৃত করবে সরকার সচিবালয়ে বস্ত্র ও পাটমন্ত্রী গোলাম দস্তগীর গাজীর সংবাদ সম্মেলন

ঢাকা: পাট চাষে কৃষকদের আগ্রহ সৃষ্টি, দেশীয় ও আন্তর্জাতিক বাজারে পাট ও পাটপণ্যের ব্যবহার বৃদ্ধি এবং সোনালি আঁশের উজ্জ্বল সম্ভাবনা তুলে ধরার লক্ষ্যে প্রতিবছরের মতো এবারও ৬ মার্চ ‘জাতীয় পাট দিবস’ পালন করতে যাচ্ছে সরকার।

তৃতীয়বারের মতো ‘জাতীয় পাট দিবস’ পালনের দিন পাট দিবসে ১৮ ব্যক্তি-প্রতিষ্ঠানকে পুরস্কৃত করা হবে বলে জানিয়েছে বস্ত্র ও পাট মন্ত্রণালয়।
 
সোমবার (৪ মার্চ) বিকেলে সচিবালয়ে বস্ত্র ও পাটমন্ত্রী গোলাম দস্তগীর গাজী সংবাদ সম্মেলনে এ তথ্য জানান।


 
বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে (বিআইসিসি) পাট দিবসের মূল অনুষ্ঠান এবং ৬-৭ মার্চ দু’দিনব্যাপী পাটপণ্য মেলা আয়োজন করা হয়েছে। এবারের জাতীয় পাট দিবসের শ্লোগান নির্ধারণ করা হয়েছে-‘সোনালি আঁশের সোনার দেশ, জাতির পিতার বাংলাদেশ’।
 
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা প্রধান অতিথি হিসেবে অনুষ্ঠানের উদ্বোধন ঘোষণা করবেন বলে জানান মন্ত্রী।
 
পাট দিবসে রাজধানীর গুরুত্বপূর্ণ সড়ক ও সড়কদ্বীপে পাট ও পাটজাত পণ্য দিয়ে বর্ণিল আলোকসজ্জায় সজ্জিত করা হবে। প্রচারণার জন্য ব্যাপক পোস্টার, লিফলেট, ব্যানার ও বিলবোর্ড স্থাপন করা হচ্ছে।
 
পাট দিবসের গুরুত্ব ও পাট সংক্রান্ত বিষয়ে আগ্রহ সৃষ্টির লক্ষ্যে সেরা পাটচাষি; সেরা পাটবীজ উৎপাদনকারী; কাঁচাপাট রপ্তানিকারক সেরা প্রতিষ্ঠান; পাটপণ্য উৎপাদনকারী সেরা পাটকল (সরকারি); পাটপণ্য উৎপাদনকারী সেরা পাটকল (বেসরকারি); সরকারি পাটকলে সর্বোচ্চ পাট সরবরাহকারী; পাটপণ্য রপ্তানিকারক সেরা প্রতিষ্ঠান (বেসরকারি);বহুমুখী পাটপণ্য রপ্তানিকারক সেরা পাটকল (বেসরকারি); বহুমুখী পাটপণ্য রপ্তানিকারক সেরা উদ্যোক্তা প্রতিষ্ঠান; বহুমুখী পাটপণ্য উৎপাদনকারী সেরা উদ্যোক্তা (নারী); বহুমুখী পাটপণ্য উৎপাদনকারী সেরা উদ্যোক্তা (পুরুষ);পাটসুতা রপ্তানিকারক সেরা প্রতিষ্ঠান (বেসরকারি); সর্বোচ্চ পাটপণ্য রপ্তানিকারক (ট্রেডার্স); পাটশিল্পের উন্নয়ন গবেষণা ও শিক্ষাসহ ১৪ ক্যাটাগরিতে ১৮ ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠানকে পুরস্কার দেওয়া হবে।
 
মন্ত্রী বলেন, পণ্যে পাটজাত মোড়কের বাধ্যতামূলক ব্যবহার আইন, ২০১০ এর অধীন ১৯টি পণ্যের মোড়কীকরণে পাটপণ্যের বাধ্যতামূলক ব্যবহার দেশের অভ্যন্তরে ১৫০ কোটি পাটের বস্তার চাহিদা সৃষ্টি হয়েছে।
 
আইন কার্যকরে পলিথিনের বিকল্প পাটের বস্তা ব্যবহারে অভিযান নিয়ে মন্ত্রী বলেন, সারাদেশ নির্বাচনমুখী ছিল, তখন আমরা এগুলি খেয়াল করতে পারিনি। নির্বাচনের পরে এখন কিন্তু অপারেশন আরম্ভ হয়েছে। বিভিন্ন জেলা, বিভিন্ন জায়গা, বিভিন্ন চালকলে যেখানে যেখানে চালের বস্তা ব্যবহার হবে সেই জায়গায় কিন্তু আমরা অপারেশন শুরু করেছি। কিছুদিনের মধ্যে আরো অনেক বেশি ভ্রাম্যমাণ আতদালত খুব বেশি করে পাবেন। সেগুলো পেলে আমরা এগুলো রোধ করতে পারবো। এরই মধ্যে অনেক অভিযান পরিচালনা করা হয়েছে।
 
কাঁচাপাট রপ্তানি কমানোর বিষয়ে মন্ত্রী বলেন, কাঁচাপাট দেশে যখন বিক্রি হয়ে যায়, অবশিষ্ট যেটুকু থাকে সেটি রপ্তানি হয়। আমার পাটচাষিরা চায় পাটটা নগদে বিক্রি হোক। তারা যখন নগদে বিক্রি করে ফেলে, যেটা অবশিষ্ট থাকে সেটি বিক্রি হয়। সাধারণত রপ্তানিকারকরা অনেক সময় এলসি করার পরে টাকা–পয়সা দেয়। কিন্তু যারা পাট কেনে তারা নগদে কেনে, প্রত্যেক চাষি চায় তার পাট নগদে বিক্রি হোক।
 
মন্ত্রী বলেন, পলিথিনের বিকল্প পাটের পলিথিন উৎপাদনের উদ্যোগ নিয়েছে সরাকর। প্রাথমিকভাবে একলাখ ব্যাগ উৎপাদন করা হবে।
 
এ বিষয়ে মন্ত্রী বলেন, এটি একটি ট্রায়াল প্রোডাকশন। কোনো উদ্যোগ কিন্তু কোনো প্রাইভেট মিল রিস্ক নেয় না। আমরা সরকার নিজেদের টাকা নিয়ে রিস্ক নিচ্ছি। এই যে পলিথিন ব্যাগ করছি, এটা মার্কেটে কতটুকু ভায়াবল হবে, প্রাইসটা কতটুকু হবে আমরা সেটা নিজেরা উদ্যোগ নিয়ে করছি। যদি ভায়াবল হয়ে যায় তাহলে সরকারিভাবে কতটুকু হবে? 

‘পলিথিনে যদি একচ্যুয়ালি সাকসেসফুল হয়ে যাই, শুধু আমাদের দেশে কেন, সারা পৃথিবী পলিথিনের ব্যাগটা নেবে। এটা আমরা চেষ্টা করছি, এখন আমরা ট্রায়ালে আছি। আবিষ্কার হয়েছে, এটা কতটুকু সাকসেসফুল হবে। রিস্ক নিতেই হবে। রিস্ক না নিলে কোনো কিছু হয় না। আমরা স্বাধীনতা যুদ্ধে রিস্ক নিয়েছিলাম, আমরা স্বাধীনতা পেয়েছি। সুতরাং, রিস্ক নিতেই হবে। ’
 
মন্ত্রী আরো বলেন, আমরা সরকারিভাবে একটা ফান্ড দিয়ে এটাকে খাঁড়া করার চেষ্টা করতেছি, এটা লস হোক আর লাভ হোক। আমরা চেষ্টা করে যাচ্ছি, যদি লাভ হয়ে গেলো তো হয়ে গেলো, চান্স পেয়ে গেলাম। আর লোকসান হয়ে গেলে তো সরকারের লোকসান হয়ে গেলো। কিন্তু পাটকে বাঁচাতে হলে আমাদের রিস্ক নিতেই হবে।
 
বাংলাদেশ সময়: ১৯৩১ ঘণ্টা, মার্চ ০৪, ২০১৯
এমআইএইচ/এএ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।