শনিবার (৯ মার্চ) এফবিসিসিআইয়ের কার্যালয়ে উজবেকিস্তানের রাষ্ট্রদূত মি. ফারহদ আরজিয়েভ এবং এফবিসিসিআই নেতাদের মধ্যে অনুষ্ঠিত এক বৈঠকে এসব বিষয়ে আলোচনা করা হয় বলে জানান তিনি। এসময় সিনিয়র সহ-সভাপতি শেখ ফজলে ফাহিম, সহ-সভাপতি মুনতাকিম আশরাফ, পরিচালক হাসিনা নেওয়াজ, মীর নিজাম উদ্দিন আহমেদ এবং তাবারাকুল তোসাদ্দেক হোসেন খান টিটু আলোচনায় অংশ নেন।
বৈঠকে এফবিসিসিআই সভাপতি বাংলাদেশের দ্রুত অগ্রসরমান অর্থনৈতিক কার্যক্রমে দেশের বেসরকারি খাতের ভূমিকা তুলে ধরে বলেন, দেশে বিনিয়োগের পরিবেশ আরও আকর্ষণীয় করতে এফবিসিসিআই তার সদস্য সংস্থাগুলোকে নিয়ে সরকারের সঙ্গে নিবিড়ভাবে কাজ করে যাচ্ছেন। একইসঙ্গে বিদেশি বিনিয়োগকারীদের বর্তমান সরকার গৃহীত ১০০টি বিশেষ অর্থনৈতিক অঞ্চলে বিনিয়োগের আহ্বান জানান তিনি।
তিনি বলেন, বিপুল সম্ভাবনা থাকা সত্ত্বেও বাংলাদেশ ও উজবেকিস্তানের দ্বিপাক্ষিক বাণিজ্য তেমন প্রসার লাভ করেনি।
দেশ দু’টির মধ্যে দ্বিপাক্ষিক বাণিজ্য বাড়ানোর লক্ষ্যে পারস্পরিক প্রতিনিধি দল বিনিময়ের ওপর তিনি গুরুত্ব আরোপ করেন।
বাংলাদেশের বস্ত্র খাত এবং ওষুধ শিল্পের বিষয়ে গভীর আগ্রহ প্রকাশ করে উজবেকিস্তানের রাষ্ট্রদূত বলেন, উজবেকিস্তানের বিপুল প্রাকৃতিক গ্যাস রয়েছে। বাংলাদেশ চাইলে তা কাজে লাগাতে পারে।
এছাড়া বাণিজ্য সম্পর্ক বৃদ্ধির সম্ভাবনা কাজে লাগাতে তিনি এফবিসিসিআইয়ের নেতাদের কাছ থেকে প্রস্তাব চান এবং তাদের খুব কাছাকাছি সময়ে উজবেকিস্তান সফরের আমন্ত্রণ জানান।
এফবিসিসিআই সিনিয়র সহ-সভাপতি শেখ ফজলে ফাহিম বলেন, কমনওয়েলথভুক্ত স্বাধীন দেশ বা সিআইএস দেশগুলোতে রফতানি সম্প্রসারণের সম্ভাবনা যাচাইয়ের লক্ষ্যে এফবিসিসিআই থেকে একটি প্রতিনিধি দল উজবেকিস্তান সফরে যেতে আগ্রহী।
দেশ দু’টির মধ্যকার পারস্পরিক সম্পর্ক বাড়ানোর লক্ষ্যে শেখ ফাহিম উজবেকিস্তান থেকে প্রযুক্তি হস্তান্তরের ওপরও গুরুত্ব আরোপ করেন।
উল্লেখ্য, ২০১৮-১৯ অর্থবছরে বাংলাদেশ ১১ দশমিক ৫০ মিলিয়ন মার্কিন ডলারের পণ্য উজবেকিস্তানে রফতানি করে এবং উজবেকিস্তান থেকে ১৬ দশমিক ১০ মিলিয়ন ডলারের পণ্য আমদানি করে। উজবেকিস্তানে বাংলাদেশের রফতানিযোগ্য পণ্যগুলো হচ্ছে পাট ও পাটজাত পণ্য, ওষুধ পণ্য এবং পারমাণবিক চুল্লি, ব্রয়লার ও যন্ত্রাংশ। আর উজবেকিস্তান থেকে মূলত টেক্সটাইল সামগ্রী, সবজি এবং কেমিক্যাল সামগ্রী আমদানি করা হয়।
বাংলাদেশ সময়: ১৯৩২ ঘণ্টা, মার্চ ০৯, ২০১৯
জিসিজি/আরআর