ঢাকা, মঙ্গলবার, ১০ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৬ নভেম্বর ২০২৪, ২৪ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

অর্থনীতি-ব্যবসা

পোল্ট্রির মাংস ও ডিম রপ্তানির উদ্যোগ

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ০৫২৪ ঘণ্টা, মার্চ ১০, ২০১৯
পোল্ট্রির মাংস ও ডিম রপ্তানির উদ্যোগ আন্তর্জাতিক পোল্ট্রি-শো’র সমাপনী অনুষ্ঠান

ঢাকা: অভ্যন্তরীণ চাহিদা মিটিয়ে সরকার এখন বিদেশে পোল্ট্রির মাংস ও ডিম রপ্তানির কথা ভাবছে। এজন্য নানা উদ্যোগ হাতে নেওয়া হয়েছে। এখন ব্যবসায়ীদের অ্যান্টিবায়োটিকের ব্যবহার সহনীয় মাত্রায় রাখতে হবে। না হলে বিশ্ববাজারে রফতানির জায়গা থেকে ঝরে পড়তে হবে।

শনিবার (৯ মার্চ) সন্ধায় রাজধানীর ইন্টারন্যাশনাল কনভেনশন সিটি, বসুন্ধরায় তিন দিনব্যাপী আন্তর্জাতিক পোল্ট্রি-শোর সমাপনী দিনে এসব কথা বলেন মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ প্রতিমন্ত্রী আশরাফ আলী খান খসরু।

তিনি বলেন, সরকার কৃষি ও পোল্ট্রি বান্ধব।

সম্ভাবনাময় এ খাতের উন্নয়নে জাতীয় প্রাণিসম্পদ উন্নয়ন নীতিমালা ও পোল্ট্রি উন্নয়ন নীতিমালা প্রণয়ন করেছে। নিরাপদ খাদ্য উৎপাদনে মৎস্য ও পশুখাদ্য আইন-২০১০ ও নিরাপদ খাদ্য আইন-২০১৩ করা হয়েছে।

প্রাণিসম্পদ প্রতিমন্ত্রী আরো বলেন, আমরা এখন পোল্ট্রির মাংস ও ডিম রপ্তানির কথা ভাবছি। এজন্য ব্যবসায়ীদের অ্যান্টিবায়োটিকের ব্যবহার কী মাত্রায় হচ্ছে সেটা দেখতে হবে। আমাদের অবশ্যই সহনীয় মাত্রায় এটার ব্যবহার করতে হবে। না হলে আমরা বিশ্ববাজারে রফতানির জায়গা থেকে ঝরে পড়ব। একই সঙ্গে এর মাত্রা বেশি হলে দেশের মানুষও স্বাস্থ্যঝুঁকিতে পড়বে।

মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের সচিব রইছউল আলম মন্ডল বলেন, পোল্ট্রি শিল্পের রোডম্যাপ অনেক পুরনো, এটার আপডেট জরুরি হয়ে পড়েছে। মধ্যপ্রাচ্যের দেশগুলোতে পোল্ট্রির ডিম ও মাংস রপ্তানির জন্য সরকার ইতোমধ্যে উদ্যোগ নিয়েছে। এজন্য গাইডলাইন অচিরেই তৈরি করা হচ্ছে।

নিরাপদ খাদ্য কর্তৃপক্ষের চেয়ারম্যান মোহাম্মদ মাহফুজুল হক বলেন, সুস্থ জাতি গঠনে নিরাপদ খাদ্যের কোনো বিকল্প নেই। আমাদের যেকোন মূল্যে খাদ্য নিরাপদ নিশ্চিত করতে হবে।

অনুষ্ঠানে আরো বক্তব্য রাখেন প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তরের মহাপরিচালক হীরেশ রঞ্জন ভৌমিক, বাংলাদেশ পোল্ট্রি ইন্ডাস্ট্রিজ সেন্ট্রাল কাউন্সিলের (বিপিআইসিসি) সভাপতি মসিউর রহমান, ওয়াল্ড পোল্ট্রি সায়েন্স অ্যাসোসিয়েশনের (বাংলাদেশ) সভাপতি শামসুল আরেফিন খালেদ, সাধারণ সম্পাদক মো. মাহাবুব হাসান প্রমুখ।

এবারের মেলায় প্রায় ১ লাখ দর্শনার্থী পরিদর্শন করেছেন। তিন দিনব্যাপী মেলায় বেস্ট স্টল হিসেবে প্রথম পুরস্কার পায় এসিআই লিমিটেড, দ্বিতীয় হয় নাহার অ্যাগ্রো কমপ্লেক্স এবং তৃতীয় হয়েছে রেনাটা লিমিটেড।

বাংলাদেশ সময়: ০০২২ ঘণ্টা, মার্চ ১০, ২০১৯
ইএআর/এমজেএফ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।