ঢাকা, শনিবার, ১৪ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ৩০ নভেম্বর ২০২৪, ২৮ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

অর্থনীতি-ব্যবসা

নিষেধাজ্ঞা শেষ, ২ মাস পর জেলেরা মেঘনায়

| বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ০০৩৯ ঘণ্টা, মে ১, ২০২০
নিষেধাজ্ঞা শেষ, ২ মাস পর জেলেরা মেঘনায় মাছ ধরতে মেঘনায় জেলেরা। ছবি: বাংলানিউজ

লক্ষ্মীপুর: ইলিশের উৎপাদন বৃদ্ধি ও জাটকা রক্ষায় মার্চ ও এপ্রিল দুই মাস চাঁদপুরের ষাটনল থেকে লক্ষ্মীপুরের রামগতি পর্যন্ত ১০০ কিলোমিটার মেঘনা নদীর অভয়াশ্রমে সব প্রজাতির মাছ ধরা নিষিদ্ধ করে সরকার। নিষেধাজ্ঞা থাকায় এ সময়ে জেলেরা মেঘনায় মাছ ধরা থেকে বিরত থাকেন।

বৃহস্পতিবার (৩০ এপ্রিল) দুই মাস পূর্ণ হওয়ায় নিষেধাজ্ঞা উঠে যাচ্ছে। ফলে শুক্রবার (১ মে) থেকে জেলেরা মেঘনায় ফের মাছ ধরা শুরু করবেন।

তবে বৃহস্পতিবার সন্ধ্যা থেকে জেলেরা মাছ ধরার প্রস্তুতি নিতে দেখা গেছে। সব ঠিকঠাক করে রাত ১২টার পর জেলেরা নদীতে মাছ শিকারে যায়।

দীর্ঘ দুই মাস পর লক্ষ্মীপুর সদর, রায়পুর, রামগতি ও কমলনগর উপজেলার প্রায় ৬০ হাজার জেলে নদীতে মাছ শিকারে যাচ্ছেন। এর আগে তারা নদীতে মাছ শিকারে যাওয়ার সব প্রস্তুতি সম্পন্ন করেছেন। নৌকা মেরামত, জাল বোনা ও ছেঁড়া জাল তুলে নিয়েছেন।

জেলেদের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, দুই মাস মাছ ধরা থেকে বিরত থাকার পর বৃহস্পতিবার দিবগত রাত ১২টার পর থেকে নদীতে মাছ শিকারে যাচ্ছেন তারা। বিকল্প কর্মসংস্থান না থাকায় গত দুই মাস ধারদেনা করে সংসার চালিয়েছেন তারা। এখন নদীতে মাছ ধরা পড়লে সামনের দিনগুলো ভালো কাটবে বলে আশা তাদের।

এদিকে কিছু অসাধু জেলে গত দুই মাস সুযোগ পেলেই নদীতে মাছ শিকার করেছেন বলে অভিযোগ উঠেছে।

লক্ষ্মীপুর জেলা মৎস্য কর্মকর্তা মোহাম্মদ বিল্লাল হোসেন বলেন, নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে নদীতে মাছ শিকার করা জেলেদের জেল-জরিমানা করা হয়েছে। জব্দকৃত জাল আগুনে পুড়িয়ে ধ্বংস করা হয়। শুক্রবার থেকে জেলেরা নদীতে মাছ শিকার করতে পারবেন উল্লেখ করে তিনি বলেন, তবে ৩০ জুন পর্যন্ত জাটকা শিকার করা যাবে না। জাটকা রক্ষায় অভিযান অব্যাহত থাকবে।

লক্ষ্মীপুর জেলা মৎস্য অফিস সূত্রে জানা যায়, লক্ষ্মীপুরে ৪৫ হাজার ৭৭১ জন নিবন্ধিত জেলে রয়েছেন। নিষিদ্ধ সময়ে সব প্রজাতির মাছ ধরা থেকে বিরত থাকায় এদের মধ্যে থেকে ২৪ হাজার ২৪৭ জন জেলেকে খাদ্য সহায়তা দেওয়া হয়েছে।

বাংলাদেশ সময়: ০০৩৫ ঘণ্টা, এপ্রিল ৩০, ২০২০
এসআর/এএটি

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।