ঢাকা, মঙ্গলবার, ১১ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৬ নভেম্বর ২০২৪, ২৪ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

শিক্ষা

অবশেষে কার্যালয়ে ফিরলেন ইবি উপাচার্য

ইবি করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৫৩৫ ঘণ্টা, মার্চ ৪, ২০২৩
অবশেষে কার্যালয়ে ফিরলেন ইবি উপাচার্য কার্যালয়ে যাচ্ছেন ইবি উপাচার্য অধ্যাপক ড. শেখ আবদুস সালাম

ইবি (কুষ্টিয়া): অডিও কাণ্ড ও ছাত্রী নির্যাতনে টালমাটাল থাকাবস্থায় গত ২৩ ফেব্রুয়ারি ছুটি নিয়ে সপরিবারে ক্যাম্পাস ছেড়ে ছিলেন ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের (ইবি) উপাচার্য অধ্যাপক ড. শেখ আবদুস সালাম।  

শনিবার (৪ মার্চ) সকাল ১০টার দিকে তিনি কার্যালয়ে ফিরেছেন।

 

উপাচার্যের কণ্ঠসদৃশ শিক্ষক নিয়োগের অডিও ফাঁসের পর গত ১৮ ফেব্রুয়ারি থেকে কার্যালয়ে তালা দেয় চাকরি প্রত্যাশী সাবেক ছাত্রলীগ নেতারা।  

এরপর থেকে আর কার্যালয়ে প্রবেশ করনেনি উপাচার্য অধ্যাপক ড. শেখ আবদুস সালাম। সে হিসেবে ১৬ দিন পর শনিবার তিনি কার্যালয়ে প্রবেশ করন। এর আগে গতকাল শুক্রবার (৩ মার্চ) দুপুর ১টার দিকে তিনি স্ত্রীসহ ক্যাম্পাসের বাংলোতে আসেন।

উপাচার্যের ব্যক্তিগত সচিব (পিএস) মনিরুজ্জামান মিল্টন বলেন,‘স্যার গতকাল দুপুরে ক্যাম্পাসে এসেছেন। দুপুরে কার্যালয়ে ছাত্রশৃঙ্খলা কমিটির সভা আছে। সভায় স্যার সভাপতিত্ব করবেন। ’

এর আগে গত ২৩ ফেব্রুয়ারি বিশ্ববিদ্যালয়ের উপ-উপাচার্য জানিয়েছিলেন, উপাচার্য মহোদয় ছুটি নিয়ে ঢাকা যান। ৩ মার্চ পর্যন্ত ছুটিতে থেকে ৪ মার্চ তিনি ক্যাম্পাসে ফিরবেন।

গত ১৬ ও ১৭ ফেব্রুয়ারি ফারহা জেবিন ও মিসেস সালাম নামে দুইটি ফেসবুক আইডি থেকে সাতটি অডিও পোস্ট করা হয়। অডিওর কথোপকথনটি বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. শেখ আব্দুস সালামের বলে দাবি করা হয়। এসব অডিওতে নিয়োগ নিয়ে ও নিয়োগ পরীক্ষার প্রশ্ন নিয়ে উপাচারর্যকে বিভিন্ন কথা বলতে শোনা যায়। তবে অডিওটিতে অন্য প্রান্তের কোনো কথা শোনা যায়নি।  

অডিওতে একটি বিভাগের শিক্ষক নিয়োগ বোর্ড বাতিল হওয়ার কারণ ও আগামীতে বোর্ড অনুষ্ঠিত হওয়া সম্পর্কে বিভিন্ন কথা বলা হয়েছে। এছাড়াও নিয়োগ প্রার্থীকে বিভিন্ন প্রশ্ন বলে দেওয়া হয়।  
গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগের নিয়োগ বোর্ড স্থগিতের ঘটনা নিয়ে এ আলোচনা করা হয়। অডিওতে ওই বিভাগের অলি নামে (সংক্ষিপ্ত নাম) এক শিক্ষক প্রার্থীর নাম ধরে সম্বোধন করতে শোনা যায়।

এ ঘটনায় শুক্রবার (১৭ ফেব্রুয়ারি) রাতে উপাচার্যের নির্দেশে ইবি থানায় একটি সাধারণ ডায়েরি (জিডি) করেছেন বিশ্ববিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত রেজিস্ট্রার এইচ এম আলী হাসান।

বিষয়টি নিয়ে দৈনিক মজুরিভিত্তিক কর্মচারী ও চাকরি প্রত্যাশী সাবেক ছাত্রলীগ নেতাকর্মীরা উপাচার্যের কার্যালয়ে তালা দিয়ে উপাচার্য বিরোধী স্লোগান দিতে থাকেন। টানা কয়েকদিন উপাচার্যের কার্যালয়ে তারা তালা দিয়ে অবরুদ্ধ করে রাখে। পরে ২০ ফেব্রুয়ারি প্রশাসন ভবনের সামনে মাইকে উচ্চ আওয়াজে অডিও বাজানো হয়।

এছাড়াও অডিওতে উপাচার্যের কথোপকথনের নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়েছে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রগতিশীল শিক্ষকদের সংগঠন শাপলা ফোরাম। একই অভিযোগে ক্ষুব্ধ ও হাতাশা ব্যক্ত করে উপাচার্যের অবস্থান জানানোর দাবি জানিয়েছে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক সমিতি।

এসব ঘটনার পর গত ২৩ ফেব্রুয়ারি ৩ মার্চ পর্যন্ত ছুটি নিয়ে উপাচার্য সপরিবারে ঢাকায় চলে যান।

বাংলাদেশ সময়: ১৪২৫ ঘণ্টা, মার্চ ০৪, ২০২৩
এসআরএস

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।