ঢাকা, শনিবার, ১ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ১৬ নভেম্বর ২০২৪, ১৪ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

শিক্ষা

খুবিতে গবেষণা অনুদানের চেক বিতরণ

সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৬৫৬ ঘণ্টা, অক্টোবর ৯, ২০২৩
খুবিতে গবেষণা অনুদানের চেক বিতরণ

খুলনা: খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ে (খুবি) ২০২৩-২৪ অর্থবছরের রাজস্ব/উন্নয়ন বাজেটের আওতায় গবেষণা প্রকল্পের অনুকূলে বরাদ্দকৃত অর্থের দ্বিতীয় পর্যায়ের চেক হস্তান্তর করা হয়েছে। এ পর্যায়ে ৩২ জন গবেষকের গবেষণা প্রকল্পের অনুকূলে ১ কোটি ৪৬ লাখ ৫৫ হাজার টাকার চেক বিতরণ করা হয়।

সোমবার (৯ অক্টোবর) দুপুরে বিশ্ববিদ্যালয়ের আচার্য প্রফুল্ল চন্দ্র কেন্দ্রীয় গবেষণাগারের নতুন উদ্বোধনকৃত কনফারেন্স রুমে গবেষণা ও উদ্ভাবনী কেন্দ্র আয়োজিত অনুষ্ঠানের মাধ্যমে গবেষকদের হাতে চেক তুলে দেন প্রধান অতিথি উপাচার্য প্রফেসর ড. মাহমুদ হোসেন।

তিনি বলেন, গবেষকের কাজ গবেষণা করা এবং গবেষণালব্ধ ফলাফল প্রচার করা। বর্তমান সময়ে গবেষণার ক্ষেত্রে গ্লোবাল ইমপ্যাক্ট দেখা হয়। এজন্য গবেষণার যথাযথ মান ধরে রাখতে হবে। এর পাশাপাশি কোলাবরেটিভ রিসার্চের দিকেও নজর দিতে হবে।  

উপাচার্য বলেন, খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়কে গবেষণাধর্মী বিশ্ববিদ্যালয় হিসেবে গড়ে তুলতে যা যা প্রয়োজন সবই আমরা ইতোমধ্যে অর্জন করেছি। এখন প্রয়োজন ভৌত অবকাঠামোর উন্নতি। কারণ কোয়ালিটি অ্যাডুকেশন ও রিসার্চের জন্য কোয়ালিটি এনভায়রনমেন্ট ও ইকোসিস্টেম প্রয়োজন।  

তিনি বলেন, গবেষণার জন্য সিনিয়র শিক্ষকদের পাশাপাশি আজ অনেক নবীন শিক্ষক অনুদান পেয়েছেন এটা আমাকে অনুপ্রাণিত করেছে। এখানকার শিক্ষকরা গবেষণার জন্য যে নিবেদিত তা আবারও প্রমাণিত হলো। ২০১৮-১৯ অর্থবছরের গবেষণা বরাদ্দ ৩৫ লাখ থেকে ২০২৩-২৪ অর্থবছরে ৪ কোটি টাকায় উন্নীত হয়েছে, যা বিশ্ববিদ্যালয়ের জন্য ইতিবাচক দিক। শিক্ষকদের পাশাপাশি মাস্টার্স ও পিএইচডি শিক্ষার্থীদেরও গবেষণায় উৎসাহিত করতে অনুদান দেওয়া হয়েছে।

উপাচার্য বলেন, গত দুই বছরে বিশ্ববিদ্যালয়ের চিত্র অনেকটাই বদলে গেছে। আগামী দুই বছরে আরও দ্রুতগতিতে বিশ্ববিদ্যালয় এগিয়ে যাবে। এ এগিয়ে যাওয়ার পথে শিক্ষকদের ভূমিকা গুরুত্বপূর্ণ। খুলনা বিশ্ববিদ্যালয় দেখিয়েছে কীভাবে সবাই মিলে এগিয়ে যেতে হয়। ফলে আজ অনেক ফোরামে আমাদের এ উন্নতির চিত্রকে উদাহরণ হিসেবে দেখানো হচ্ছে।  

শিক্ষকদের উদ্দেশে তিনি বলেন, গবেষণায় বরাদ্দপ্রাপ্ত এ অর্থ জনগণের ট্যাক্সের টাকা। এর যথাযথ ব্যবহার নিশ্চিত করতে হবে। গবেষণা যেন মানসম্মত হয় এবং গবেষণালব্ধ ফল যেন সমাজ, দেশ ও জাতির কল্যাণে আসে সে বিষয়ে গুরুত্ব দেওয়ার আহ্বান জানান উপাচার্য।

অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য দেন ট্রেজারার প্রফেসর অমিত রায় চৌধুরী। এছাড়া বক্তব্য দেন রেজিস্ট্রার (ভারপ্রাপ্ত) প্রফেসর খান গোলাম কুদ্দুস। গবেষণা ও উদ্ভাবনী কেন্দ্রের পরিচালক প্রফেসর ড. মোহাম্মদ কাজী দিদারুল ইসলামের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য দেন যুগ্ম পরিচালক প্রফেসর ড. তরুণ কান্তি বোস। অনুদানপ্রাপ্ত গবেষকদের মধ্য থেকে বক্তব্য দেন ফরেস্ট্রি অ্যান্ড উড টেকনোলজি ডিসিপ্লিনের প্রফেসর ড. মো. আজাহারুল ইসলাম ও প্রিন্টমেকিং ডিসিপ্লিনের প্রভাষক আসমা চৌধুরী। অনুষ্ঠানে বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন স্কুলের ডিন, ডিসিপ্লিন প্রধান, শিক্ষক ও অনুদানপ্রাপ্ত গবেষকরা উপস্থিত ছিলেন।

এর আগে ফিতা কেটে আচার্য প্রফুল্ল চন্দ্র কেন্দ্রীয় গবেষণাগারের কনফারেন্স রুমের উদ্বোধন করেন উপাচার্য প্রফেসর ড. মাহমুদ হোসেন।  

গবেষণাগারের পরিচালক প্রফেসর ড. মো. ইফতেখার শামসের সভাপতিত্বে আয়োজিত অনুষ্ঠানে বিশ্ববিদ্যালয়ের ট্রেজারার, বিভিন্ন স্কুলের ডিন, রেজিস্ট্রার (ভারপ্রাপ্ত), ডিসিপ্লিন প্রধান ও শিক্ষকরা উপস্থিত ছিলেন।

বাংলাদেশ সময়: ১৬৫৬ ঘণ্টা, অক্টোবর ০৯, ২০২৩
এমআরএম/আরবি

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।