ঢাকা, রবিবার, ১ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ১৭ নভেম্বর ২০২৪, ১৫ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

শিক্ষা

‘খুবিতে ৭৫ শতাংশ ফাইল নিষ্পত্তি হয়েছে ডি-নথির মাধ্যমে’

সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৫২৩ ঘণ্টা, নভেম্বর ১৯, ২০২৩
‘খুবিতে ৭৫ শতাংশ ফাইল নিষ্পত্তি হয়েছে ডি-নথির মাধ্যমে’

খুলনা: ডিজিটাইজেশনের অংশ হিসেবে খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ে (খুবি) প্রথম পর্যায়ে ই-ফাইলিংয়ের অনেক পদক্ষেপ বাস্তবায়ন করা হয়। পরে ই-নথি ও সর্বশেষ ডি-নথি চলে এসেছে।

ফেব্রুয়ারি থেকে চালুর পর এ পর্যন্ত ৭৫ শতাংশ ফাইলের নিষ্পত্তি হয়েছে ডি-নথির মাধ্যমে। এর ফলে সব কাজে স্বচ্ছতা ও গতিশীলতা বেড়েছে।

খুবির ডি-নথি বিষয়ে শিক্ষক, কর্মকর্তা-কর্মচারীদের চার দিনব্যাপী প্রশিক্ষণ কর্মসূচির উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এ কথা বলেন উপাচার্য প্রফেসর ড. মাহমুদ হোসেন।

খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ের ইনস্টিটিউশনাল কোয়ালিটি অ্যাসুরেন্স সেলের (আইকিউএসি) উদ্যোগে রোববার (১৯ নভেম্বর) দুপুরে বিশ্ববিদ্যালয়ের কবি জীবনানন্দ দাশ একাডেমিক ভবনের ডেভেলপমেন্ট স্টাডিজ ডিসিপ্লিনের ইনফরমেটিক্স ল্যাবে এ প্রশিক্ষণের আয়োজন করা হয়।

অনুষ্ঠানে উপাচার্য বলেন, বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রায় সব দপ্তর ডি-নথির আওতায় এসেছে। যেগুলো বাকি আছে সেগুলোও পর্যায়ক্রমে ডি-নথির আওতায় আসবে।  

তিনি বলেন, নতুন প্রযুক্তি যত সহজই হোক না কেন, খাপ খাওয়াতে সময় লাগে। প্রযুক্তির সঙ্গে খাপ খাওয়ানোর মানসিকতা গুরুত্বপূর্ণ একটি বিষয়। বিশ্ববিদ্যালয়ের সিনিয়র শিক্ষক ও কর্মকর্তা-কর্মচারীরাও এ বিষয়ে আগ্রহী হয়েছেন, এ ধারা অব্যাহত থাকুক। কারণ বিশ্ববিদ্যালয়ের কোয়ালিটি অর্জন সবার বিষয়।

উপাচার্য বলেন, প্রতিটি জায়গায় আমাদের স্বচ্ছতা ও জবাবদিহিতা নিশ্চিত করতে হবে। এজন্য সবাইকে ডিজিটাল বেজড সিস্টেম ডেভেলপ করতে হবে। ডি-নথি বিষয়ে শতাধিক শিক্ষক ইতোমধ্যে প্রশিক্ষণ নিয়েছেন। পাশাপাশি কর্মকর্তা-কর্মচারীদেরও এ বিষয়ে প্রশিক্ষণ দেওয়া হয়েছে। হাতে-কলমে তাদের এ প্রশিক্ষণ গ্রহণ পেশাগত জীবনে কাজে আসবে। আগামীতে কর্মকর্তা-কর্মচারীদের এসিআরও দেওয়া হবে প্রযুক্তির ওপর দক্ষতার ভিত্তিতে। কারণ যেকোনো ধরনের স্বীকৃতি মানুষকে অনুপ্রাণিত করে।

তিনি বলেন, ডি-নথি ব্যবহারের ক্ষেত্রে নির্দেশিকা তৈরি করা হয়েছে। যার মাধ্যমে ডি-নথি বিষয়ে কিছু ভুলে গেলে সবাই এর ব্যবহার সম্পর্কে জানতে পারবে। ডি-নথি ব্যবহারের ফলে এখন নোট শিটের কোনো অংশ কাটা-ছেঁড়া যাবে না, তবে কাজের ক্ষেত্রে ভুল হলে পরে তা সংশোধন করা যাবে। তিনি ডি-নথি বিষয়ে ধারাবাহিকভাবে এ ধরনের প্রশিক্ষণ আয়োজনের জন্য আইকিউএসির পরিচালকসহ সংশ্লিষ্ট সবাইকে আন্তরিক ধন্যবাদ জানান।

আইকিউএসির পরিচালক প্রফেসর ড. মোহাম্মদ জিয়াউল হায়দারের সভাপতিত্বে উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে আরও বক্তব্য দেন ডি-নথি টেকনিক্যাল কমিটির আহ্বায়ক প্রফেসর ড. মো. সোহেল মাহমুদ শের। স্বাগত বক্তব্য দেন আইকিউএসির অতিরিক্ত পরিচালক প্রফেসর ড. মো. মতিউল ইসলাম। অনুষ্ঠান সঞ্চালনা করেন আইকিউএসির উপ-রেজিস্ট্রার মো. নুরুল ইসলাম সিদ্দিকী।

উদ্বোধনী অনুষ্ঠানের পর রিসোর্স পারসন হিসেবে টেকনিক্যাল সেশন পরিচালনা করেন খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ের ইলেক্ট্রনিক অ্যান্ড কমিউনিকেশন ইঞ্জিনিয়ারিং ডিসিপ্লিনের শিক্ষক ও ডি-নথি টেকনিক্যাল কমিটির আহ্বায়ক প্রফেসর ড. মো. সোহেল মাহমুদ শের, উপাচার্যের সচিব সঞ্জয় সাহা, রেজিস্ট্রার দপ্তরের কাউন্সিল শাখার উপ-রেজিস্ট্রার মো. সিরাজুল ইসলাম, আইসিটি সেলের প্রোগ্রামার ইঞ্জিনিয়ার মো. ফারুক হোসেন, ইঞ্জিনিয়ার রাহুল দেব মহালদার ও রেজিস্ট্রারের সচিব হিমাদ্রী শেখর মণ্ডল। প্রশিক্ষণে বিশ্ববিদ্যালয়ের ৩৮ জন শিক্ষক, কর্মকর্তা ও কর্মচারী অংশগ্রহণ করেন।

বাংলাদেশ সময়: ১৫২২ ঘণ্টা, নভেম্বর ১৯, ২০২৩
এমআরএম/আরবি

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।