ঢাকা, বৃহস্পতিবার, ১ কার্তিক ১৪৩২, ১৬ অক্টোবর ২০২৫, ২৩ রবিউস সানি ১৪৪৭

শিক্ষা

সাত কলেজ নিয়ে বিভিন্ন গ্রুপ গুজব ছড়াচ্ছে: শিক্ষা উপদেষ্টা

সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৫:২২, অক্টোবর ১৬, ২০২৫
সাত কলেজ নিয়ে বিভিন্ন গ্রুপ গুজব ছড়াচ্ছে: শিক্ষা উপদেষ্টা

শিক্ষা উপদেষ্টা অধ্যাপক সি আর আবরার বলেছেন, সাত কলেজ নিয়ে একটি বিশেষায়িত বিশ্ববিদ্যালয় হবে। তবে কিছুটা ভুল বোঝাবুঝি ও ভুল তথ্য ছড়ানো হয়েছে।

সেগুলো নিয়ে নানা রকম দ্বিধাদ্বন্দ্ব রয়েছে। বিভিন্ন গ্রুপ গুজব ছড়াচ্ছে, যেটা মোটেই কল্যাণকর নয়। এটা খুব চ্যালেঞ্জিং কাজ। আমরা দ্রুত স্টেকহোল্ডারদের সঙ্গে আলোচনা করে এ বিষয় চূড়ান্ত করব। নিয়ম-নীতি ও উৎসাহের মধ্য দিয়ে আমরা এটা করছি।

বৃহস্পতিবার (১৬ অক্টোবর) সচিবালয়ে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের সম্মেলন কক্ষে এইচএসসি ও সমমান পরীক্ষার ফল প্রকাশ নিয়ে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে এসব কথা বলেন শিক্ষা উপদেষ্টা। এ সময় শিক্ষাসচিব রেহেনা পারভীনসহ অন্যান্য কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।

সাত কলেজ নিয়ে এক প্রশ্নের জবাবে শিক্ষা উপদেষ্টা বলেন, বাস্তবতার প্রেক্ষিতেই সাত কলেজ নিয়ে উদ্যোগটা নেওয়া হয়েছে। অবশ্যই সাত কলেজের ছাত্র-ছাত্রীদের দাবি-দাওয়ার প্রেক্ষিতেই উদ্যোগটা নেওয়া হয়েছে। বিশেষায়িত একটা বিশ্ববিদ্যালয় করা হবে, যেখানে মানসম্মত শিক্ষা, সময়মতো পরীক্ষা গ্রহণ ও ফল প্রকাশ করা হবে। এটার মূল সমস্যা সৃষ্টি হলো যখন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অধীন হলো।

তিনি বলেন, এই সমস্যা সমাধানের জন্য সিরিজ সভা হয়েছে বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশনের উদ্যোগে। মন্ত্রণালয় ও ইউজিসি খুব নিবিড়ভাবে কাজ করেছিল। এমন কোনো অংশীদার ছিল না, যারা অংশ নেয়নি। ইউজিসি থেকে আমাকে বলা হয়েছে, সেগুলোর লিখিত ও অডিও ডকুমেন্টস আছে, সেখানে কারা কারা ছিলেন, কোন কোন প্রতিষ্ঠান, কোন কোন পেশার লোকজন ছিলেন। তার প্রেক্ষিতে তারা একটা প্রতিবেদন আমাকে দেন, যেটা আমি দায়িত্ব নেওয়ার পর পাই।

সি আর আবরার আরও বলেন, সেই প্রতিবেদনের একটা বড় বিষয় হলো, কোনো বিশ্ববিদ্যালয় করতে হলে একটা আইন প্রণয়ন করতে হয়। ওই রিপোর্টের ওপর ভিত্তি করে ইউজিসি একটা আইন প্রণয়ন করে আমাকে দিয়েছে। যে কোনো আইনের কয়েকটা ধাপ থাকে। আমরা একটা ধাপে আছি। আমরা সাড়ে ৪ হাজারের মতো মতামত নিয়েছি অনলাইনে। এ ছাড়াও লিখিতভাবে বিভিন্ন জন আমাদের কাছে মতামত দিয়েছেন। সেগুলো গত ১৫ থেকে ২০ দিন ধরে যাচাই-বাছাই করছে মন্ত্রণালয়ের ১২ জন। আগামী ২০, ২১ ও ২২ অক্টোবর সভার দিন নির্ধারণ করা হয়েছে, সেখানে এসব মতামত আমরা উপস্থাপন করব। তারপর আলাপ-আলোচনা করে ড্রাফট করে আইন মন্ত্রণালয়ে ভেটিংয়ের জন্য পাঠাব।  

উপদেষ্টা বলেন, বিষয়টি নিয়ে কোনো রকমের ব্যত্যয়, অবহেলা, ফেলে রাখা মোটেই হচ্ছে না। একই সঙ্গে পত্র-পত্রিকায় যে সমস্ত দাবি দাওয়া আসছে, সেগুলো নিয়ে আমরা সংবেদনশীল। আমরা আশা করি, এটা নিয়ে কিছুটা ভুল বোঝাবুঝি, কিছু জিনিস নিয়ে ভুল তথ্য ছড়ানো হয়েছে। সেগুলো নিয়ে নানা রকম দ্বিধাদ্বন্দ্ব রয়েছে। বিভিন্ন গ্রুপ গুজব ছড়াচ্ছে, যেটা মোটেই কল্যাণকর নয়।

তিনি বলেন, দ্রুত স্টেকহোল্ডারদের সঙ্গে আলোচনা করে চূড়ান্ত করব। যতটুকু সম্ভব নিয়ম-নীতি ও উৎসাহের মধ্য দিয়ে আমরা এটা করছি। এটা খুব চ্যালেঞ্জিং কাজ। এজন্য সব স্টেকহোল্ডার ও মিডিয়াদের সংবেদনশীল হতে হবে।

জিসিজি/এমজেএফ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।