ঢাকা, মঙ্গলবার, ১১ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৬ নভেম্বর ২০২৪, ২৪ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

শিক্ষা

ঢাবিতে অভিযুক্ত ২ ভর্তিচ্ছুর ফের পরীক্ষায় ১ জন ফেল

| বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ০৯০১ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ২, ২০১৬
ঢাবিতে অভিযুক্ত ২ ভর্তিচ্ছুর ফের পরীক্ষায় ১ জন ফেল

২০১৬-১৭ শিক্ষাবর্ষে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ‘ঘ’ ইউনিটের ভর্তি পরীক্ষায় জালিয়াতের অভিযোগে অভিযুক্ত দুই শিক্ষার্থীর পুনরায় পরীক্ষা নিয়েছে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ।

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়: ২০১৬-১৭ শিক্ষাবর্ষে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ‘ঘ’ ইউনিটের অনার্স প্রথমবর্ষ ভর্তি পরীক্ষায় জালিয়াতের অভিযোগে অভিযুক্ত দুই শিক্ষার্থীর পুনরায় পরীক্ষা নিয়েছে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ।

শুক্রবার (০২ ডিসেম্বর) সকালে সামাজিক বিজ্ঞান অনুষদের ডিন অফিসে ভাইভা দিতে আসলে তাদের এমসিকিউ পরীক্ষা নেওয়া হয়।

অভিযুক্ত দুই শিক্ষার্থী হলেন- মেধা তালিকায় ৫ম স্থানে থাকা তাজরীন আহমেদ খান মেধা ও ৭৮তম স্থানে থাকা নুর মাহফুজা দৃষ্টি (নিপু)। এই দু্‌ই শিক্ষার্থীর জালিয়াতি নিয়ে অনুসন্ধানী সংবাদ প্রকাশ করে বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম। তারপর থেকে বিষয়টি সবার নজর আসে এবং কর্তৃপক্ষের টনক নড়ে।

ঢাবি ডিন অফিস সূত্র জানায়, এ দুই শিক্ষার্থী মৌখিক পরীক্ষায় অংশ নিতে আসলে জালিয়াতের অভিযুক্ত তাজরীনকে নতুন করে প্রণীত প্রশ্নপত্রে পরীক্ষা দিতে বলা হয়। শুধু বাংলা ও ইংরেজি বিষয়ে পরীক্ষা নেওয়া হয়। প্রতি বিষয়ে ২৫টি করে সর্বমোট ৫০টি প্রশ্ন দেওয়া ছিল। প্রতি প্রশ্নের মান ১.২০ করে প্রশ্নের সর্বমোট মান ৬০ নম্বর।

ওএমআর শিটে নেওয়া উত্তরপত্র মূল্যায়নে দেখা যায়, তাজরীন বাংলা বিষয়ে ১৭টি প্রশ্নের উত্তর ভরাট করেন। এরমধ্যে বাংলায় সঠিক হয় ৯টি এবং ভুল হয় ৮টি। তার প্রাপ্ত নম্বর ৮ দশমিক ৪। অথচ মূল ভর্তি পরীক্ষায় বাংলায় পেয়েছিলেন ২৭ নম্বর।  ‘ঘ’ ইউনিটের ভর্তি নির্দেশিকা অনুযায়ী, বাংলায় নূন্যতম ৮ পেলেও তিনি কোনো বিষয় মনোনয়নের জন্য বিবেচিত হবেন না। আর ইংরেজিতে ২৩টি প্রশ্নের উত্তর ভরাট করেন তিনি। এতে সঠিক হয় ১৫টি ও ভুল হয় ৭টি। প্রাপ্ত নম্বর ১৫ দশমিক ৬। পাস নম্বর ৮ হিসেবে তিনি ন্যূনতম পাস করেন। অথচ মূল ভর্তি পরীক্ষায় তিনি ২৪ নম্বর পান।

অপরদিকে, আর এক অভিযুক্ত ৭৮তম মেধা তালিকায় স্থান পাওয়া তাজরীনের আত্মীয় নূর মাহফুজা দৃষ্টি (নিপু)। তাকেও একই প্রশ্নে পরীক্ষা নেওয়া হয়। মেধা তালিকায় অবস্থান করলেও নিপু আজকের পরীক্ষায় ফেল করেছেন। বাংলা অংশে ৩০ এর মধ্যে পেয়েছেন ৬ দশমিক ৬ এবং ইংরেজি অংশে ৩০ এর মধ্যে পায় ১১ দশমিক ৪ নম্বর।

এ প্রসঙ্গে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. আ আ ম স আরেফিন সিদ্দিক বাংলানিউজকে বলেন, জালিয়াতি করে পার পাওয়ার কোনো সুযোগ নেই। বিষয়টি গুরুত্ব সহকারে খতিয়ে দেখা হচ্ছে। ওদের মাধ্যমে পুরো চক্রকে আটক করার চেষ্টা করা হবে।

সংশ্লিষ্ট ডিনের সঙ্গে এ বিষয়ে কথা বলবেন বলেও জানান ঢাবি উপাচার্য।

প্রসঙ্গত, গত ২৮ অক্টোবর (শুক্রবার) অনুষ্ঠিত ‘ঘ’ ইউনিটের ভর্তি পরীক্ষার দিনই প্রশ্নপত্র ফাঁসের অভিযোগ ওঠে। পরীক্ষা শুরুর আগে ও পরীক্ষা চলাকালীন অনলাইনের মাধ্যমে প্রশ্ন ফাঁসের প্রমাণ মেলে জালিয়াতির অভিযোগে আটক শিক্ষার্থীদের মোবাইল থেকে।

পরবর্তীতে অনুসন্ধানে জানা যায়, নয় লাখ টাকায় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) ‘ঘ’ ইউনিটে মেধা তালিকায় ৫ম স্থান অর্জন করার অভিযোগ উঠেছে ভর্তিচ্ছু তাজরীন আহমেদ খান মেধা ও তার পরিবারের বিরুদ্ধে।

** ৯ লাখ টাকায় ঢাবির ‘ঘ’ ইউনিটে মেধাক্রম ৫ম!

বাংলাদেশ সময়: ১৪৫৫ ঘন্টা, ডিসেম্বর ০২, ২০১৬
এসকেবি/টিআই

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।