ঢাকা: মানবদেহ যে বৈচিত্র্যে ভরা এক রহস্য তা আবারও প্রমাণ করেছেন রাশিয়ার নাগরিক আলেক্সান্ডার।
সাধারণত আমরা নিজেরা ঘুরে পেছন দিকে তাকাই।
কিন্তু এই দুঃসাহসী কসরৎ কীভাবে দেখাতে পারেন আলেক্সান্ডার? তিনি বলছেন, মাথা পেছন দিকে যতদূর ঘোরানো যায় সেই চর্চা অনেক আগে থেকেই শুরু করি আমি।
আলেক্সান্ডার বলেন, বহু বছর জিমন্যাস্টিক চর্চার পরে আমি উপলব্ধি করি আমার শরীরের কশেরুকা খুবই নমনীয় হয়ে গেছে। তখন সিদ্ধান্ত নেই এই চর্চার। ধাপে ধাপে এগিয়ে এক পর্যায়ে আমার মাথা একদম পেছন দিকে নিতে সক্ষম হই।
রাশিয়ান এই বিস্ময়তরুণ বলেন, শুরুতে যখন চেষ্টা করি তখন সারা শরীরের শক্তি দরকার হতো আমার, সেই সঙ্গে শতভাগ মনোযোগ। মাঝে মাঝে অদ্ভুত শব্দ হতো। এক সময় আমি উপলব্ধি করলাম আমার চেষ্টা সফল এবং আমি কোনো ধরনের ব্যথা অনুভব করছি না।
আলেক্সান্ডারের চিকিৎসক বলেন, গত ৩০ বছরের রেডিওলজিস্ট জীবনে মাথা ১৮০ ডিগ্রি ঘুরিয়ে ফেলার ঘটনা আমি দেখিনি। আলেক্সান্ডারের এই সক্ষমতা সম্পূর্ণ ব্যতিক্রম। জন্মগতভাবেই এ ক্ষমতা পেয়ে থাকতে পারে সে। এটা একবারে সম্ভব নয় এবং চেষ্টা করাও উচিৎ নয়। কারণ এই চেষ্টায় ঘাড় ভেঙে যাওয়ার সমূহসম্ভাবনা থেকে যায়।
ভিডিও:
বাংলাদেশ সময়: ০০০৫ ঘণ্টা, জানুয়ারি ১৫, ২০১৫