গত সেপ্টেম্বরে নেপালকে হারিয়ে সাফ চ্যাম্পিয়ন হয়ে ইতিহাস গড়েছিল বাংলাদেশ নারী ফুটবল দল। কিন্তু এরপর একের পর এক দুঃসংবাদ এসেই চলেছে।
ছোটন বলেন, ‘হ্যাঁ, আমি নারী দলের দায়িত্ব ছাড়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছি। চলতি মাসের ৩১ তারিখ পর্যন্ত আছি। গত সাত-আট বছর অক্লান্ত পরিশ্রম করেছি। পারিবারিক জীবন, ব্যক্তিগত জীবনে সময় দিতে পারিনি। কেবল যাওয়া-আসার মধ্যে ছিলাম। একের পর এক টুর্নামেন্টে যে শারীরিক-মানসিক চাপ সেটা থেকে আমার বিশ্রাম দরকার। ’
২০০৯ সাল থেকে নারী দলের দায়িত্ব সামলাচ্ছেন ছোটন। ২০১৭ সাল থেকে বয়সভিত্তিক সাফের বেশ কয়েকটি টুর্নামেন্টে ফাইনালে নিয়ে গেছেন দলকে। ২০১৭ সালে সাফ অনূর্ধ্ব-১৫, ২০১৮ সালে সাফ অনূর্ধ্ব-১৮, ২০২১ সালে সাফ অনূর্ধ্ব-১৯ টুর্নামেন্টে চ্যাম্পিয়ন হয়েছে বাংলাদেশ। সবগুলো আসরেই ডাগআউটে ছিলেন তিনি। বয়সভিত্তিকে এমন সাফল্যের পর নতুন করে স্বপ্ন বুনতে থাকে জাতীয় দলকে নিয়ে। সেই প্রত্যাশাও পূরণ করেন ছোটন। গত বছর নেপালে অনুষ্ঠিত সাফে চ্যাম্পিয়নশিপে অপরাজিত চ্যাম্পিয়ন হয় তার দল। তাতে মেয়েদের ফুটবলের প্রতি সমর্থকদের আগ্রহ আরও বেড়ে যায়। কিন্তু ঠিক তখনই চাকরি ছেড়ে দিচ্ছেন ছোটন।
ভবিষ্যৎ গন্তব্য এখনো ঠিক করেননি। তবে গত নভেম্বরে বসুন্ধরা কিংসের পক্ষ থেকে কোচ হওয়ার প্রস্তাব দেওয়া হয়েছিল তাকে। এমনটাই জানিয়েছেন ছোটন, 'সাফ জয়ের পর বাফুফে ৫০০ ডলার বেতন বাড়িয়েছিল আমার। পারিশ্রমিক নিয়ে আমার কোনো অভিযোগ নেই। গত নভেম্বরে বসুন্ধরা আমাকে ভালো অফার দিয়েছিল। কিন্তু বাফুফে আমাকে ছাড়েনি। ভবিষ্যতে কোথায় যাব এনিয়ে এখনো কোনো চিন্তা-ভাবনা করিনি। আগে এখান থেকে বের হই, তারপর বিশ্রাম নেব। বিশ্রামটা জরুরি আমার জন্য। '
বাংলাদেশ সময়: ১৭০১ ঘণ্টা, মে ২৬, ২০২৩
এআর/এএইচএস