মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প জানিয়েছেন, ২০২৬ ফিফা বিশ্বকাপের ম্যাচগুলো ‘ঝুঁকিপূর্ণ’ মনে হলে তিনি সেগুলো অন্য শহরে সরিয়ে নেবেন।
আগামী আসরে যুক্তরাষ্ট্র, মেক্সিকো ও কানাডা যৌথভাবে বিশ্বকাপ আয়োজন করছে।
ফিফা আনুষ্ঠানিকভাবে আয়োজক শহরগুলো নির্ধারণ করেছে। তাই এখন ভেন্যু পরিবর্তন করলে তা হবে বড় ধরনের লজিস্টিক চ্যালেঞ্জ। এছাড়া ট্রাম্পের আসলেই এ সিদ্ধান্ত নেওয়ার ক্ষমতা আছে কিনা তা নিয়েও প্রশ্ন উঠেছে। তবে ফিফা সভাপতি জিয়ান্নি ইনফান্তিনোর সঙ্গে তার ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক এবং বিশ্বকাপ টাস্কফোর্সের চেয়ারম্যান হিসেবে তার ভূমিকা তাকে বাড়তি প্রভাবশালী করে তুলেছে।
ওভাল অফিসে সাংবাদিকদের ট্রাম্প বলেন, ‘বিশ্বকাপ অবশ্যই নিরাপদ হবে। কিন্তু যদি আমি মনে করি নিরাপদ নয়, তাহলে আমরা অন্য শহরে ম্যাচ সরিয়ে নেব। ’
বিশেষ করে ডেমোক্র্যাট নিয়ন্ত্রিত শহর সিয়াটল ও সান ফ্রান্সিসকোর বিষয়ে তাকে প্রশ্ন করা হলে তিনি নিরাপত্তা উদ্বেগের কথা উল্লেখ করেন। পাশাপাশি লস অ্যাঞ্জেলেসকেও টেনে আনেন, যেখানে আটটি ম্যাচ হওয়ার কথা রয়েছে এবং ২০২৮ অলিম্পিকও আয়োজিত হবে।
ট্রাম্প বলেন, ‘যদি কোনো শহর বিশ্বকাপ বা অলিম্পিকের জন্য সামান্যতম ঝুঁকিপূর্ণ মনে হয়, তাহলে আমরা তা হতে দেব না। প্রয়োজনে ভেন্যু বদলে দেব। ’
অপরাধ দমন ট্রাম্পের রাজনৈতিক এজেন্ডার বড় অংশ। সম্প্রতি তিনি ওয়াশিংটন ডিসিতে জাতীয় রক্ষী বাহিনী মোতায়েন করেছেন, যদিও পরিসংখ্যান বলছে ২০২৩ সালে অপরাধ বেড়ে গেলেও এখন তা কমেছে। মেমফিস ও শিকাগোতেও সেনা পাঠানোর পরিকল্পনার কথা জানিয়েছেন তিনি।
আগামী ৫ ডিসেম্বর ওয়াশিংটন ডিসিতে হবে বিশ্বকাপের গ্রুপ পর্বের ড্র। টুর্নামেন্ট চলবে ১১ জুন থেকে ১৯ জুলাই ২০২৬ পর্যন্ত।
এটি প্রথম নয়, ট্রাম্প এর আগেও বিশ্বকাপ নিয়ে মন্তব্য করেছেন। এ বছরের মে মাসে তিনি বলেছিলেন, রাশিয়াকে বিশ্বকাপে খেলার সুযোগ দেওয়া হলে তা হতে পারে ‘ইউক্রেন যুদ্ধ বন্ধ করার প্রণোদনা’। যদিও ২০২২ সালে ইউক্রেন আক্রমণের পর থেকে রাশিয়া আন্তর্জাতিক ফুটবল থেকে নিষিদ্ধ রয়েছে।
মার্চে তিনি দাবি করেছিলেন, যুক্তরাষ্ট্র, কানাডা ও মেক্সিকোর মধ্যে রাজনৈতিক ও অর্থনৈতিক উত্তেজনা নাকি বিশ্বকাপকে ‘আরও আকর্ষণীয়’ করবে। এর আগে তিনি প্রতিবেশী দুই দেশের ওপর শুল্ক আরোপ করেছিলেন।
এমএইচএম